ভারত-পাকিস্তান সীমান্তে সশস্ত্র উত্তেজনার ভয়াবহ রূপ নিয়েছে। পাকিস্তান-নিয়ন্ত্রিত আজাদ জম্মু ও কাশ্মীরের বিভিন্ন অঞ্চলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর গোলাবর্ষণে নিহত হয়েছেন অন্তত ১৩ জন, আহত হয়েছেন ৫০ জনেরও বেশি মানুষ। নিহতদের মধ্যে রয়েছে একটি শিশুও, যার বয়স ১০ বছরেরও কম।
সরকারি মুখপাত্র মাজহার হুসেন শাহ এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন আল জাজিরাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে। তিনি জানান, “গত রাত থেকে ভারতীয় বাহিনীর লাগাতার হামলায় ব্যাপক প্রাণহানি ঘটেছে। আহতদের স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এখনো উদ্ধার অভিযান চলছে।”
ধ্বংসস্তূপের নিচে আটকে পড়ার আশঙ্কা থাকায়, বিভিন্ন এলাকায় জরুরি তৎপরতা অব্যাহত রেখেছে উদ্ধারকারী দলগুলো।
এদিকে পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি আসিফ আলী জারদারি ভারতের সামরিক তৎপরতার তীব্র নিন্দা জানিয়ে বলেন, “ভারতের অব্যাহত আগ্রাসনের জবাবে পাকিস্তানের সামনে আত্মরক্ষার বাইরে আর কোনো পথ খোলা নেই।”
তিনি আরও বলেন, “সমগ্র জাতি সশস্ত্র বাহিনীর পাশে রয়েছে। দেশের সার্বভৌমত্ব ও আঞ্চলিক অখণ্ডতা রক্ষায় আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।”
গত কয়েক সপ্তাহ ধরেই সীমান্তে ক্রমাগত উত্তেজনা বেড়ে চলেছে। বেসামরিক নাগরিকদের মধ্যে ভয়, আতঙ্ক ও অনিশ্চয়তা চরমে উঠেছে। এই পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পক্ষ থেকে দুই পারমাণবিক শক্তিধর দেশকে শান্তি ও সংযম বজায় রাখার আহ্বান জানানো হয়েছে।