ঢাকা , রবিবার, ০১ জুন ২০২৫ , ১৮ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকায় নামতেই পারলো না চারটি বিমান, উড়ে গেলো চট্টগ্রাম পাকিস্তানের ডেরায় ভারতের যুদ্ধবিমান হারানোর সত্যতা মিললো সরাসরি সম্প্রচার করা হবে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিলের শুনানি এক ধাপ পিছিয়ে টি-টোয়েন্টিতেও আফগানিস্তানের নিচে বাংলাদেশ অভিনব পন্থায় আর্জেন্টিনার স্কোয়াড ঘোষণা, ফিরেছেন মেসি শেরপুরে নালার পানিতে ডুবে জমজ বোনের মৃত্যু বাজেট ২০২৫-২৬: ন্যূনতম আয়কর ৫ হাজার টাকা, নতুনদের ১ হাজার আগামী ৫ বছরে বৈশ্বিক তাপমাত্রা রেকর্ড ছাড়ানোর শঙ্কা ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মিরে তুষারপাত, নিম্নভূমিতে বৃষ্টি বিএনপির সঙ্গে আসন ভাগাভাগির দাবি সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন: হাসনাত বাংলাদেশে দ্রুত নির্বাচন চেয়ে ভারতের দেয়া বক্তব্যের প্রতিবাদ জানালো জামায়াত ভারতের কর্নাটকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো ৭৫ ‘স্রষ্টার মৃত্যু’ বই বাতিলের দাবিতে রাজধানীতে মানববন্ধন ভারতে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে ২ হাজার, কেরালায় সংক্রমণ সর্বোচ্চ নিবন্ধন ফিরে পেতে জামায়াতের আপিলের রায় রোববার মানুষ চিনতে ভুল করেছে বিএনপি: গয়েশ্বর মিরপুরে আ. লীগ নেতা এডভোকেট নুরুল হুদা আটক যুক্তরাষ্ট্রে বাণিজ্যচুক্তির লক্ষ্যে পাকিস্তানি প্রতিনিধি দল আসছে: ট্রাম্প থাইল্যান্ডে পুলিশের ওপর হামলার অভিযোগে আটক বিড়াল সিরিয়ায় ইসরায়েলি বিমান হামলায় বেসামরিক নাগরিক নিহত

মা দিবস কেন রোববারে পালিত হয়?

  • আপলোড সময় : ১১-০৫-২০২৫ ১০:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৫-২০২৫ ১০:৫০:১৬ পূর্বাহ্ন
মা দিবস কেন রোববারে পালিত হয়?
পৃথিবীর সবচেয়ে নিঃস্বার্থ ভালোবাসা একমাত্র মায়ের থাকে সন্তানের জন্য। যে সবকিছু থেকে সন্তানকে আগলে রাখে তার সন্তানকে। শিশুর প্রথম বুলিই মা শব্দটি। একজন সন্তানের কাছে মা হচ্ছে সবচেয়ে আপন ও সবচেয়ে নিরাপদ আশ্রয়স্থল। পুরো বিশ্ব মায়ের অবদান, ত্যাগকে সম্মান জানাতে পালন করে মা দিবস।প্রতি বছর মে মাসের দ্বিতীয় রোববার সারাবিশ্বে পালিত হয় ‘বিশ্ব মা দিবস’। সেই হিসাবে আজ মা দিবস। তবে অনেকের মনেই প্রশ্ন আসতে পারে রোববার কেন পালন করা হয় মা দিবস? এর পেছনে আছে একটি কারণ।এই দিনটি পালন শুরু হয়েছিল প্রাচীন গ্রীক ও রোমানরা মা দেবী রিয়া ও সাইবেলিকে উৎসব উৎসর্গ করতে। ষোড়শ শতকে এসে এই দিনটি ইংল্যান্ডে মাদারিং সানডে’র উদ্ভব হয়। এ দিবসটি উদযাপন করা হতো লেন্টের (খ্রিস্টানদের ৪০ দিনের পর্ব) চতুর্থ রোববারে।



মাদারিং সানডেতে ছেলেমেয়েরা পারিবারিক চার্চ বা মাদার চার্চের উদ্দেশ্যে পবিত্র যাত্রা শুরু করতো। এ দিবসটি মূলত পারিবারিক পুনর্মিলনের সুযোগ করে দিত। এদিনে ঘরের ভৃত্যদের পর্যন্ত ছুটি দেওয়া হতো, বিশেষ করে মেয়েদেরকে ছুটি দেওয়া হত। যেন তারা তাদের পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পারে।মধ্যযুগে এই চর্চা চালু হয়েছিল যে, যারা কাজের জন্য যেখানে বড় হয়েছেন সেখান থেকে চলে গিয়েছেন, তারা আবার তাদের বাড়িতে বা মায়ের কাছে এবং ছোটবেলার চার্চে ফেরত আসবেন। সেটা হবে খ্রিস্টান ধর্মের উৎসব লেন্টের চতুর্থ রোববারে।
সেসময় ১০ বছর বয়স হতেই কাজের জন্য বাড়ির বাইরে চলে যাওয়াটা খুবই স্বাভাবিক ছিল। তাই এটা ছিল সবাই মিলে পরিবারের সঙ্গে আবারও দেখা করার ও একসঙ্গে সময় কাটানোর একটা সুযোগ। এভাবে ব্রিটেনে এটা মায়ের রোববার হয়ে উঠে। কিন্তু যেহেতু লেন্টের তারিখ পরিবর্তিত হয়, তাই এই রোববারও নির্দিষ্ট থাকে না।যদিও আধুনিক যুগের মা দিবসের উৎপত্তি হয় যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে প্রতি বছরের মে মাসের ২য় রোববার পালিত হয় এটি। যুক্তরাষ্ট্রে মা দিবসের আধুনিক সংস্করণ করেছিলেন জন্য আনা মারিয়া জার্ভিস নামের এক নারী। যদিও তিনি নিজে কখনো মা হতে পারেননি।




১৯০৭ সালের এক রোববার আনা মারিয়া স্কুলের বক্তব্যে মায়ের জন্য একটি দিবসের গুরুত্ব ব্যাখ্যা করেন। ১৯০৮ সালে তার নিজের মাকে সম্মান জানাতে অথবা স্মরণ করতে প্রথম মা দিবস উদযাপন করেন আনা। সেদিন ছিল আনার মা আনা রিভিস জার্ভিসের তৃতীয় মৃত্যুবার্ষিকি। ওই বছর তিনি তার সান ডে স্কুলে প্রথম এ দিনটি মাতৃদিবস হিসেবে পালন করেন। ১৯১৪ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ২৮তম প্রেসিডেন্ট উড্রো উইলসন মা দিবসকে ছুটির দিন ঘোষণা করেন।তবে একটা সময় আনা জার্ভিস নিজেই মা দিবসের প্রতি বিরক্ত হয়ে পড়েন। তিনি যে লক্ষ্যে মা দিবস পালন শুরু করেছিলেন তা এখনকার মা দিবসের সঙ্গে কোনো মিল নেই। তিনি বুঝতে পারছিলেন এই দিনটি কেবল একটি ছুটির দিন, শুভেচ্ছা কার্ড, চকলেট ও ফুল সরবরাহ প্রতিষ্ঠানের কাছে জিম্মি হয়ে আছে।



যা দেখে তিনি খুবই বিরক্ত হতে থাকেন। তিনি এ ধরনের উদযাপনের প্রতিবাদ করেন এবং এ দিনটিকে যেন চ্যারিটির জন্য অর্থসংগ্রহে ব্যবহার করা হয় তার প্রচেষ্টা চালান। তিনি মা দিবসের বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে ১৯৪৪ সালের মধ্যে ৩৩টি মামলায় জড়িয়ে পড়েন।তারপরও তার এ প্রতিবাদ থেমে থাকেনি। তিনি তার পুরো জীবন ও সঞ্চয় এ ছুটির দিনের বাণিজ্যিকীকরণের বিরুদ্ধে সংগ্রামে ব্যয় করেছেন। তিনি তার শেষ জীবনের কিছু বছর কাটান স্যানিটারিয়াম বা স্বাস্থ্যনিবাসে এবং ১৯৪৮ সালে কপর্দকহীন অবস্থায় মারা যান।তাকে ফিলাডেলফিয়ার ওয়েস্ট লরেল হিল কবরস্থানে তার মায়ের পাশে সমাহিত করা হয়। তার দাফনের আনার সম্মানে দিন পশ্চিম ভার্জিনিয়ার গ্রাফটনের অ্যান্ড্রুস চার্চের ঘণ্টা ৮৪ বার বেজেছিল। আনার লড়াই তার মৃত্যুর সঙ্গে সঙ্গেই শেষ হয়েছে। এখনো প্রতি বছর এই দিনটি পালিত হয় বিশ্ব মা দিবস হিসেবে।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকায় নামতেই পারলো না চারটি বিমান, উড়ে গেলো চট্টগ্রাম

বৈরী আবহাওয়ায় ঢাকায় নামতেই পারলো না চারটি বিমান, উড়ে গেলো চট্টগ্রাম