ঢাকা , রবিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫ , ১৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
গণ আধিকারের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেলেন মামুন এনসিপি কেন জামায়াতে যাচ্ছে, জানালেন আখতার ফয়সাল দেশ ছেড়ে পালিয়েছে, স্বীকার করলো পুলিশ ২৬ মামলায় জিতে, অবশেষে পুলিশের হাতে ভুয়া আইনজীবী এনসিপি থেকে পদত্যাগ করে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা তাসনিম জারার পুকুরে ধরা পড়ল ৮ কেজি ওজনের কাকিলা মাছ আজ থেকে জুনিয়র বৃত্তি পরীক্ষা শুরু পাগলা মসজিদের দানবাক্সে মিলল ৩৫ বস্তা টাকা, চলছে গণনা জাতীয় স্মৃতিসৌধের পরিদর্শন বইতে যা লিখলেন তারেক রহমান ছাত্রশিবিরের নতুন সেক্রেটারি জেনারেল সিবগাতুল্লাহ মনোনয়ন সংগ্রহ করলেন শিশির মনির ৩০০ ফিটের জনসমাগম নির্বাচন নিয়ে সমালোচকদের সব সন্দেহ দূর করে দিয়েছে উপদেষ্টারা না আসা পর্যন্ত শাহবাগ ছাড়ব না : জাবের সিরিয়ায় জুমার নামাজে মসজিদে বিস্ফোরণ, নিহত ৩ ১৯ বছর পর বাবার সমাধিস্থলে যাচ্ছেন তারেক রহমান বদলে গেল উত্তরাধিকার সম্পত্তি ভাগাভাগি পদ্ধতি তারেক রহমানকে স্বাগত জানাতে সড়কের দুপাশে বিপুল নেতা-কর্মী ‘ফেরা’ বিমানে বসে নিজের অনুভূতির কথা জানালেন তারেক রহমান খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে সরকার ঢাকায় জেঁকে বসেছে শীত, তাপমাত্রা নামল ১৫ ডিগ্রিতে

সীমান্তে ঘুরছে মানসিক রোগী: স্থানীয়রা বলছেন ‘তারা ভারত থেকে পুশইন’

  • আপলোড সময় : ১১-০৫-২০২৫ ০২:৩৮:১৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১১-০৫-২০২৫ ০২:৩৮:১৬ অপরাহ্ন
সীমান্তে ঘুরছে মানসিক রোগী: স্থানীয়রা বলছেন ‘তারা ভারত থেকে পুশইন’
পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া উপজেলার সীমান্ত ঘেঁষা হাট-বাজারগুলোতে মানসিক ভারসাম্যহীন অসংখ্য রোগী ঘুরে বেড়াচ্ছে, যাদের বেশিরভাগই পরিচয়হীন। স্থানীয়রা দাবি করছেন, এসব পাগল ভারতীয় নাগরিক, এবং তাদের দ্বারা রোগ-জীবাণু ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

সীমান্তবর্তী হাট-বাজারগুলোতে এসব মানসিক রোগী প্রায়ই ঘোরাফেরা করছে। তাদের শরীর থেকে বের হচ্ছে দুর্গন্ধ এবং পরনে পুরোনো ও ময়লা কাপড়। তেঁতুলিয়া উপজেলায় ভারতের সঙ্গে সীমান্ত সংলগ্ন বাংলাবান্ধা স্থলবন্দর রয়েছে, যেখানে এসব মানসিক রোগীদের উপস্থিতি বেশি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। দোকান বা রাস্তার পাশে তারা বসে, দাঁড়িয়ে বা ঘুরে বেড়াচ্ছে।

স্থানীয়দের ভাষ্যমতে, বেশিরভাগ মানসিক রোগীর ভাষা এবং দৈহিক গঠন দেখে তারা ভারতীয় নাগরিক বলে মনে হয়। তাদের অনেকেই বিষয়ভিত্তিক কথা বললেও ভাষা দুর্বোধ্য। দোকান বা স্থানীয় মানুষজন তাদের খাবার সরবরাহ করছে, তবে কেউ তাদের কোনো পরিচয় জানে না।

স্থানীয়রা মনে করেন, ভারতীয় সীমান্ত বাহিনী (বিএসএফ) কৌশলে এই মানসিক রোগীদের বাংলাদেশে পাঠিয়ে দিচ্ছে। এদের দ্বারা সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

স্থলবন্দরের শ্রমিকরা বলেন, এই রোগী সংখ্যা দিন দিন বাড়ছে, এবং অন্তত আট থেকে ১০ জন অপরিচিত মানসিক রোগী প্রায়ই বাজারে দেখা যাচ্ছে। তারা এক বা দুইদিনের মধ্যে হারিয়ে যাচ্ছে, তারপর আবার নতুন মানসিক রোগী আসছে। বিশেষ করে সীপাহীপাড়া বাজার, তীরনইহাট বাজার, শালবাহান হাট এবং তেঁতুলিয়া শহর এলাকায় এই মানসিক রোগীদের উপস্থিতি বেশি।

স্থানীয় পরিবেশ কর্মীরা জানান, এসব মানসিক রোগী ভারতের নাগরিক হতে পারে এবং তারা পরিবেশ ও স্বাস্থ্যগত ঝুঁকি তৈরি করছে। বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) পঞ্চগড় জেলার সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম খায়ের বলেন, “এটি অমানবিক এবং অস্থির পরিস্থিতি। এসব রোগী ভারতীয় হতে পারে, তবে তাদের স্বাস্থ্য ঝুঁকি আমাদের সমাজে ছড়িয়ে পড়তে পারে। সরকারকে বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখতে হবে।”

স্থানীয় ব্যবসায়ী মামুন হোসেন বলেন, “এদের অবস্থা অত্যন্ত দুঃখজনক। তবে আমাদের সবচেয়ে বড় উদ্বেগ হচ্ছে, এদের দ্বারা কোনো সংক্রামক রোগ ছড়িয়ে পড়তে পারে।”

সরকারের উদ্যোগের দাবি জানিয়ে, স্থানীয়রা মনে করছেন এসব মানসিক রোগী দ্রুত সুরক্ষিত ও পরিচয় শনাক্ত করার প্রক্রিয়ায় আনা উচিত, যাতে তাদের জন্য একটি সুস্থ পরিবেশ নিশ্চিত করা যায় এবং পরিবেশে রোগবালাই না ছড়ায়।

কমেন্ট বক্স
বাংলাদেশে ১ নম্বর কনডম ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল এসএমসি’র সেনসেশন

বাংলাদেশে ১ নম্বর কনডম ব্র্যান্ডের স্বীকৃতি পেল এসএমসি’র সেনসেশন