দ্বিতীয় মেয়াদে মার্কিন প্রেসিডেন্টের দায়িত্বগ্রহণের পর প্রথম পূর্ণাঙ্গ সফর হিসেবে মধ্যপ্রাচ্যকে বেছে নিয়েছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। বিশ্বব্যাপী শুল্ক ঝড় তোলার পর ট্রাম্পের এ সফরেও অগ্রাধিকার পাচ্ছে বাণিজ্যিক খাতগুলো। সে তুলনায় উপসাগরীয় অঞ্চলটির বিভিন্ন স্থানে চলা সংঘাত নিরসনের আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে কম।ট্রাম্পের এ মধ্যপ্রাচ্য সফর নিয়ে সম্প্রতি বিশ্লেষণাত্মক এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সংবাদমাধ্যম নিউইয়র্ক টাইমস।মার্কিন প্রেসিডেন্টদের মধ্যপ্রাচ্যে সফর মানেই বড় কোনো রাজনৈতিক বার্তা। কিন্তু নিউইয়র্ক টাইমস বলছে, ট্রাম্পের এবারের সফরটি কেবলই ব্যবসায়িক পরিসর বাড়ানোর। যেখানে দ্বিপাক্ষিক চুক্তির পাশাপাশি অগ্রাধিকার পেয়েছে পারিবারিক ব্যবসার লাভের দিকও।
সৌদি আরব, কাতারের পর সংযুক্ত আরব আমিরাতেও ট্রাম্পকে দেয়া হয়েছে রাজকীয় অভ্যর্থনা। রিয়াদ ও দোহায় চুক্তি হয়েছে অস্ত্র বিক্রি, উড়োজাহাজ, পারমাণবিক প্রযুক্তি ও কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা নিয়ে। ঘোষণাও এসেছে এক ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ পরিকল্পনার।
কিন্তু ট্রাম্পের এই সফরে বৃহস্পতিবার (১৫ মে) পর্যন্ত ছিল না কোনো কূটনৈতিক উদ্যোগ। মধ্যপ্রাচ্য সংকট নিয়েও দেখা যায়নি উল্লেখযোগ্য তৎপরতা। অথচ আগের মার্কিন প্রেসিডেন্টদের ভূমিকা ছিল আলাদা। জিমি কার্টার সফরের সময় শান্তি চুক্তি করেছিলেন, ক্লিনটন চেষ্টা করেছিলেন ফিলিস্তিনের নেতা ইয়াসির আরাফাতের সঙ্গে সমঝোতা করতে। আর ওবামা চেয়েছিলেন মুসলিম বিশ্বের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের সম্পর্ক নতুন মাত্রায় নিতে।
নিউইয়র্ক টাইমসের বিশ্লেষণে বলা হয়েছে, উপসাগরীয় অঞ্চলটিতে বিশাল সম্পদের নিয়ন্ত্রণ করেন কেবল কয়েকজন নেতা। এ জন্যই বাণিজ্যের পরিসর বাড়াতে মধ্যপ্রাচ্যকে বেছে নিয়েছেন ট্রাম্প। লাভজনক করছেন পারিবারিক ব্যবসাকেও। বিভিন্ন গণমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, এরইমধ্যে সৌদি তহবিল থেকে ট্রাম্প জামাতা কুশনারের কোম্পানি পেয়েছে দুই বিলিয়ন ডলার। এছাড়া, সৌদি মালিকানাধীন কোম্পানির সঙ্গে ট্রাম্প অর্গানাইজেশনের রিয়েল এস্টেট চুক্তি, আর লিভ গলফ-এর সৌজন্যে চার বছর ধরে ট্রাম্প রিসোর্টে আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্ট আয়োজন - সব মিলিয়ে সফরের উদ্দেশ্যটা কেবল রাষ্ট্রীয় নয়, ব্যক্তিগতও।
Mytv Online