ঢাকা , সোমবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৫ , ১৯ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
লাম্বি জুদাই’ খ্যাত রেশমাকে সম্মান জানালেন নেপালি গায়ক মেট্রোরেলের নকশায় ত্রুটি থাকতে পারে: ডিএমটিসিএল পরিচালক বিএনপির স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে প্রাইভেটকারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ, নিহত ১ অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদ সম্মেলন আজ আজ থেকে জাতীয় নির্বাচনের ক্যাম্পেইন শুরু, প্রথম টিজার প্রকাশ যে কারণে ১৫ মিনিট বন্ধ মেট্রোরেল কেনিয়ায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু নির্বাচনের পরে হবে ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা রাশিয়ার তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওজন কমানোর বিপজ্জনক পিল যথাসময়ে ভোটের পাশাপাশি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন চায় এনসিপি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিবন্ধিত কি না, যেভাবে জানবেন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার প্রেমিকের মৃত্যু সালমান শাহর ভক্তদের স্লোগানে উত্তাল প্রেসক্লাব টাঙ্গাইলে অসময়ে রেকর্ড বৃষ্টি, শীতকালীন সবজির ক্ষতির শঙ্কা তেলেঙ্গানার মন্ত্রী হলেন ভারতের সাবেক অধিনায়ক আজহারউদ্দিন মালয়েশিয়ার পেট্রোনাস টাওয়ার থ্রিতে অগ্নিকাণ্ড এনসিপিকে ‘শাপলা’ না দেওয়ার কারণ জানালেন সারোয়ার তুষার শতাব্দীর সব থেকে ভয়াবহ তাণ্ডব চালিয়ে অবশেষে দুর্বল হলো ঘূর্ণিঝড় মেলিসা বোনকে খুন করে হাত-পা ভেঙে লাশ বস্তায় ভরেন ভাই, পুলিশকে বলেন ‘বস্তায় গম

জাতীয় সংগীত গেয়ে ‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু

  • আপলোড সময় : ১৬-০৫-২০২৫ ০৫:০৪:০৫ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৬-০৫-২০২৫ ০৫:০৪:০৫ অপরাহ্ন
জাতীয় সংগীত গেয়ে ‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু
জাতীয় সংগীতের মাধ্যমে প্রগতিশীল নারী, শ্রমিক, শিক্ষার্থী, সাংস্কৃতিক ও পেশাজীবী সংগঠনগুলোর আয়োজনে ‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ কর্মসূচি শুরু হয়েছে। শুক্রবার (১৬ মে) বিকেল সাড়ে ৩টায় রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়তে এ কর্মসূচি শুরু হয়। 'নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ কর্মসূচির মূল স্লোগান ‘আমরা মিলিত হবো সম্মিলিত মুক্তির দাবিতে।’



অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে দেখা যায়, বিকেল ৩টা থেকেই নারীরা মানিক মিয়া এভিনিউতে আসতে শুরু করেছেন। পাশাপাশি রয়েছেন পুরুষরাও। কর্মসূচি উপলক্ষ্যে ছোট একটি স্টেজ তৈরি করা হয়েছে। কর্মসূচির শুরুতে জাতীয় সংগীত গাওয়া হয়। মঞ্চের সামনে শতশত নারী দাঁড়িয়ে অনুষ্ঠানে শামিল হয়েছেন। তাদের হাতে ফোস্টুন রয়েছে।



এর আগে সংবাদ সম্মেলন ‘নারীর ডাকে মৈত্রীযাত্রা’ জানায়, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান’-এর সময় নারীদের সরব উপস্থিতি ও সক্রিয় অংশগ্রহণ ছিল চোখে পড়ার মতো। কিন্তু তার পরেও রাষ্ট্রীয় নীতিনির্ধারকরা এবং সামাজিক কাঠামো নারীদের সেই ভূমিকার স্বীকৃতি দিতে ব্যর্থ হয়েছে। নারীরা শুধু রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে নয়, শ্রমক্ষেত্র থেকে শুরু করে শিক্ষাঙ্গন, সংস্কৃতি এবং প্রতিদিনের জীবনে যেভাবে সংগ্রাম করে যাচ্ছেন, তার মূল্যায়ন এখনো পর্যাপ্ত নয়।

দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নারী শিক্ষার্থী, শ্রমজীবী নারী, যৌনকর্মী ও ক্ষুদ্র জাতিসত্তার নারীদের উপর যেসব নিপীড়ন চলছে, তার বেশিরভাগই থেকে যাচ্ছে বিচারের বাইরে। পুঁজিবাদী রাষ্ট্রকাঠামো এবং ধর্মীয় প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী যৌথভাবে নারীদের প্রতি সহিংসতা ও বৈষম্যকে আরও শক্তিশালী করছে। নারীদের নিজস্ব স্বরকে দাবিয়ে রাখার অপচেষ্টা স্পষ্ট হয়ে উঠেছে প্রতিটি ঘটনাতেই।



সংবাদ সম্মেলন থেকে আরও জানানো হয়, এ কর্মসূচি কেবল নারীদের স্বার্থরক্ষা নয় বরং এটি একটি বৃহৎ রাজনৈতিক ও সামাজিক মুক্তির আন্দোলনের অংশ। সমাজের সব স্তরের মানুষকে এই যাত্রায় শামিল হওয়ার আহ্বান জানিয়ে বলা হয় ‘নারীমুক্তি কোনো একক ইস্যু নয়, এটি শ্রমিক-মজুরের মুক্তি, জাতিসত্তার অধিকার, বাকস্বাধীনতা এবং গণতান্ত্রিক আন্দোলনের সঙ্গেই জড়িত। তাই এই যাত্রা শুধুই নারীর নয়, বরং সকল প্রগতিশীল শক্তির মিলনমঞ্চ।’



এ পর্যন্ত কর্মসূচিতে সংহতি জানিয়েছে ৫০টিরও বেশি সংগঠন। তাদের মধ্যে রয়েছে—বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন, বিপ্লবী ছাত্র মৈত্রী, সমাজতান্ত্রিক ছাত্র ফ্রন্ট, নারী মুক্তি কেন্দ্র, উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, হিল উইমেনস ফেডারেশন, আদিবাসী ইউনিয়ন, গার্মেন্টস শ্রমিক মুক্তি আন্দোলন, বিজ্ঞান আন্দোলন মঞ্চ, সমাজতান্ত্রিক মহিলা ফোরাম, বাংলাদেশ নারী জোট, নারী সংহতি, ছাত্রফ্রন্ট (মার্কসবাদী), তীরন্দাজ, শ্রমিক অধিকার আন্দোলনসহ আরও অনেকে।

কমেন্ট বক্স