ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মদের দোকানে তাণ্ডব চালিয়ে মাতাল হয়ে বাথরুমে পড়ে রইল র‍্যাকুন ঋণের চাপে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এয়ারলাইনস বেচে দিচ্ছে পাকিস্তান সৌদিতে চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠছে কাল, আলো ছড়াবেন জোলি-ঐশ্বরিয়ারা এখনও ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আবারও সংশোধন হচ্ছে আরপিও বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ নেতৃত্বের ফয়সালা আসমান থেকে আসে: হাসনাত নতুন দুই ছানা পেল সন্তানহারা সেই মা কুকুর রাবির ৩ শিক্ষক বরখাস্ত, ২ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল তুরাগ নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার ইমরান খানের জন্য চিন্তিত ভারতীয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী, উৎপত্তিস্থল যেখানে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শুরু হবে: ট্রাম্প হবিগঞ্জের প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে ফেলে যাওয়া নবজাতককে সারা রাত পাহারা দিল একদল কুকুর! বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের পাশে প্রায় ৫শ ব্যাগে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার এভারকেয়ারের পাশে উড়বে সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ৪ দিন পর নীলফামারী-রংপুর রুটে বাস চলাচল শুরু ২৫ বছর আগে যা ছিলাম, এখন তার চেয়েও চাঙা বলার পরই বৈঠকে এক ঘণ্টা ঘুমালেন ট্রাম্প

ইসিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আইনের সংশোধনের দাবি জামায়াতের

  • আপলোড সময় : ১৮-০৫-২০২৫ ০৬:০৮:০৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-০৫-২০২৫ ০৬:০৮:০৪ অপরাহ্ন
ইসিকে জবাবদিহির আওতায় আনতে আইনের সংশোধনের দাবি জামায়াতের
নির্বাচন কমিশনারদের অবসরের পরও জবাবদিহির আওতায় আনতে বিদ্যমান আইনে সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী।রোববার (১৮ মে) জাতীয় সংসদের এলডি হলে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে সংলাপের দুপুরের বিরতিতে দলটির নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মো. তাহের এ তথ্য জানিয়েছেন।তিনি বলেছেন, ‘দেশের বিদ্যমান আইনে অনিয়মের অবসরে যাওয়া নির্বাচন কমিশনারদের শাস্তির তেমন বিধান নেই। এ জন্য আইন সংশোধনের প্রস্তাব দিয়েছে জামায়াতে ইসলামী।’





সংলাপে নির্বাচনের বিষয়ে আলোচনা করেছেন জানিয়ে তাহের বলেন, ‘গত ১৫ বছর বা তার আগে নির্বাচন কমিশন সুষ্ঠুভাবে দায়িত্বপালন করেননি বা করতে পারেননি। প্রধান কারণ হচ্ছে বিদ্যমান আইনে নির্বাচন কমিশনারদের ত্রুটি-বিচ্যুতি এবং তাদের ভুলভ্রান্তির জন্য খুব বেশি শাস্তির বিধান আমাদের দেশে নেই।’তিনি বলেন, ‘আমরা বলেছি নির্বাচন কমিশনারেদের চাকরিকালীন সময়ে সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল তাদের ওপরে শাস্তি নিশ্চিত করতে পারে এবং সেখানে তারা তদন্ত করতে পারে। আমরা বলছি যখন তাদের চাকরি চলে যাবে মেয়াদ শেষ হবে, তখন কোনো আইনের আওতায় তারা থাকে না। আমরা প্রস্তাব করছি তাদের জন্য একটি আইনের সংশোধন করে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে এবং নির্বাচন কমিশন থেকে অবসরের পরেও তাদেরকে শাস্তির আওতায় আনতে হবে। এ জন্য প্রয়োজনীয় আইনের সংশোধন করা দরকার।’





এ বিষয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একমত বলে দাবি করেন তাহের। জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) প্রস্তাবে জামায়াত নীতিগতভাবে একমত। তবে কমিশনের প্রস্তাবে দলটি কিছু সংশোধন দিয়েছে বলে জানিয়েছেন তিনি। তাহের বলেন, ‘মূলত রাষ্ট্র প্রধান এবং প্রধান বিচারপতিকে এনসিসিতে রাখার প্রস্তাব করেছিল। আমরা বলেছি তাদের এখান থেকে দূরে রাখতে হবে। কারণ কোনো ক্রাইসিস হলে তার সমাধানের জন্য মানুষ যাবে কোথায়? তারা হয়তো প্রধান বিচারপতি অথবা রাষ্ট্রপতির কাছে যাবে। এ জন্য তাদের নাম বাদ দেয়ার জন্য বলেছি।’




দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) অনেকটাই দুর্নীতিগ্রস্ত দাবি করে তাহের বলেন, ‘আমরা মৌলিকভাবে একটা কথা বলেছি যে দুর্নীতি দমন কমিশন নামে আমাদের যে সংস্থা আছে এটাই অনেক সময় দুর্নীতিগ্রস্ত। এটা সকল মানুষের কাছে অনেকটাই এভাবে চিহ্নিত, যে সেখানেই অনেক বেশি দুর্নীতি। আমরা দুদকের আওতাধীন একটি ওয়াচডগের একটি কাউন্সিল করার প্রস্তাব দিয়েছি। সেখানে একটি টাস্কফোর্স থাকবে, সেটা দুর্নীতিগুলোর ওপর তদন্ত করবে, চিহ্নিত করবে এবং তারা জড়িতদের প্রাথমিকভাবে শাস্তির আওতায় আনতে পারবে। যেমন-চাকরিজীবী হলে তাকে সাসপেন্ড করা, শোকজের আওতায় আনা ইত্যাদি।’





ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হলে দেশের স্বৈরাচার বা ফ্যাসিবাদ রোধ করা যাবে মন্তব্য করে তাহের বলেন, একজনের হাতে যেন সব ক্ষমতা কুক্ষিগত না হয়। সে জন্য একই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী বা দলীয় প্রধান থাকতে পারবেন না। এ রকম উদাহরণ পৃথিবীর বহু দেশে রয়েছে। প্রতিবেশী ভারতে এটা বারবারই প্র্যাকটিস হয়। সোনিয়া গান্ধী যখন কংগ্রেসের সভাপতি তখন মনমোহন সিং ছিলেন প্রধানমন্ত্রী। দেশটির বর্তমান প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও দলীয় প্রধান নন। আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্ট রিপাবলিকান দলের প্রধান না। সারা দুনিয়ায় ক্ষমতার ভারসাম্য আছে।




একজন ব্যক্তি দুইবারের বেশি প্রধানমন্ত্রী থাকতে পারবেন না এমন প্রস্তাবের বিষয়ে তাহের বলেন, অর্থাৎ ১০ বছরের বেশি কোনো ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর পদে অধিষ্ঠিত হতে পারবেন না।

কমেন্ট বক্স