চট্টগ্রাম বন্দরে কমলালেবু আমদানির ঘোষণা দিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে আনা হয়েছে কোটি টাকার বিদেশি সিগারেট। চালানটি খোলার পর বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর তথ্য—ঘোষিত পণ্য নয়, ভেতরে ছিল এক কোটি ২৫ লাখ শলাকা সিগারেট।
বুধবার (২১ মে) চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের অডিট, ইনভেস্টিগেশন অ্যান্ড রিসার্চ (এআইআর) শাখার সদস্যরা চালানটি খুলে এই অনিয়ম উদঘাটন করেন। যদিও গণমাধ্যমকে তা জানানো হয় বৃহস্পতিবার (২২ মে)।
ঘটনায় জড়িত ঢাকার আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান আহসান করপোরেশন গত ১৫ মে ‘কমলালেবু’ আমদানির ঘোষণা দিয়ে চালানটি এনে চট্টগ্রাম বন্দরে খালাসের প্রক্রিয়া শুরু করে। পণ্য খালাসে যুক্ত ছিল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট দিবা ট্রেডিং লিমিটেড।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউস জানায়, ঘোষণার সঙ্গে পণ্যের অমিল সন্দেহজনক মনে হলে কনটেইনারটি ‘ফোর্সড কিপ ডাউন’ পদ্ধতিতে পরীক্ষা করা হয়। এতে দেখা যায়, কনটেইনারে রয়েছে ১ হাজার ২৫০ কার্টুন ল্যামার ও অস্কার ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট এবং মাত্র ৩৮ কার্টুন ঘোষিত পণ্য ‘ফ্রেশ ন্যাভেল অরেঞ্জ’।
এআইআর শাখার প্রাথমিক ধারণা—চালানটি দিয়ে প্রায় ৩০ কোটি টাকার শুল্ক ফাঁকি দেওয়ার অপচেষ্টা করা হয়েছিল।
চট্টগ্রাম কাস্টম হাউসের ডেপুটি কমিশনার মো. সাইদুল ইসলাম বলেন,
“ভুয়া ঘোষণা ও নথিপত্র ব্যবহার করে বিপুল রাজস্ব ফাঁকির চেষ্টা করা হয়েছে। তদন্ত শেষে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”
তিনি আরও জানান, দেশে বৈধভাবে বিদেশি সিগারেট আমদানির ক্ষেত্রে সিগারেটের প্যাকেটে বাংলায় ধূমপানবিরোধী সতর্কবার্তা লেখা বাধ্যতামূলক। কিন্তু জব্দ করা সিগারেটগুলোতে সেই সতর্কবার্তা ছিল না।
নিয়মানুযায়ী মান যাচাই শেষে এই পণ্য ধ্বংস অথবা নিলামে বিক্রি করা হবে বলেও জানিয়েছেন কাস্টমস সংশ্লিষ্টরা।
Mytv Online