আজ শনিবার সন্ধ্যা ৭টায় প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় ড. ইউনূসের সাথে বৈঠকে বসবে বিএনপি এবং রাত ৮টায় জামায়াত। দল দু'টি থেকে পৃথকভাবে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।বিএনপির প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। জামায়াতের প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দিবেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।রাজনীতিতে অস্থিরতার পরিপ্রেক্ষিতে প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করতে চান বলে গত বৃহস্পতিবার (২২ মে) খবর বের হয়। তবে শুক্রবার প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমেদ তৈয়্যব জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করছেন না।
এদিকে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ জানান, অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পদত্যাগ চায় না বিএনপি। তবে তিনি থাকতে না চাইলে বিকল্প বেছে নেবে জনগণ।অন্যদিকে, গত বৃহস্পতিবার দেশের বর্তমান উদ্ভূত পরিস্থিতি থেকে উত্তরণে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকতে প্রধান উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আহ্বান জানান বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমান এদিকে, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেছেন, ড. ইউনূসকে দায়িত্বে থেকেই রাজনৈতিকভাবে সব সমস্যার সমাধান করতে হবে।শুক্রবার রাতে ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
নাহিদ লিখেছেন, বাংলাদেশের রাজনীতিকে সকল প্রকার আধিপত্যবাদ থেকে মুক্ত করে স্বাধীন ও সার্বভৌমভাবে পরিচালনা করাই আমাদের লক্ষ্য। বাংলাদেশকে বারবার বিভাজিত করা হয়েছে, জাতীয় ঐক্য বিনষ্ট করা হয়েছে, বাংলাদেশেকে দুর্বল করে রাখার লক্ষ্যে।আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ করার পর থেকে আবারও দিল্লি থেকে ছক আঁকা হচ্ছে দেশে অস্থিতিশীলতা তৈরি করার, দেশকে বিভাজিত করার। গণতান্ত্রিক রূপান্তরকে বাধাগ্রস্ত করে আরেকটা এক-এগারোর বন্দোবস্ত করার পাঁয়তারা চলছে, লেখেন তিনি।নাহিদ আরও লিখেছেন, ফ্যাসিবাদ ও আধিপত্যবাদের বিরুদ্ধে দেশপ্রেমিক, বাংলাদেশপন্থী ও ধর্মপ্রাণ ছাত্র-জনতাকে সার্বভৌমত্ব, সংস্কার ও জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পক্ষে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। দেশপ্রেমিক সেনা অফিসার ও সৈনিকদের সার্বভৌমত্ব ও বাংলাদেশ রক্ষায় প্রস্তুত থাকতে হবে।
বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের নিয়মিত বৈঠক শেষে অনির্ধারিত আলোচনায় তার পদত্যাগের ভাবনার কথা বলেন। জানা যায়, এ সময় তিনি সরকারের বিভিন্ন উদ্যোগে নানা প্রতিবন্ধকতার কথা বলেন। প্রায়ই সড়ক আটকে আন্দোলন, সংস্কারসহ বিভিন্ন বিষয়ে দলগুলোর মধ্যে ঐকমত্য না হওয়া, রাষ্ট্রীয় কাজে নানা পক্ষের অসহযোগিতাসহ দেশের বিরাজমান পরিস্থিতিতে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেন তিনি।