ঢাকা , রবিবার, ২৫ মে ২০২৫ , ১০ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
নাতি-নাতনির বয়সী উপদেষ্টাদের দিয়ে অভিজ্ঞ সরকার হয় না: রিজভী মাটিকে বিয়ে করলেন সংগীতশিল্পী সানি একজন গ্রাহক কয়টি সিম নিবন্ধন করতে পারবেন, জানাল বিটিআরসি বিবৃতিতে যা জানাল উপদেষ্টা পরিষদ দায়িত্ব পালন অসম্ভব করে তুললে জনগণকে জানিয়ে সিদ্ধান্ত নেবে সরকার ভারতের নতুন টেস্ট অধিনায়ক গিল গাজায় ইসরায়েলি হামলায় ডাক্তারের ৯ সন্তান নিহত সিলেট সীমান্ত দিয়ে আরও ২১ জনকে পুশ ইন সালমানের বাসায় ঢুকতে পারবেন না তারকারাও, লাগবে বিশেষ অনুমতি টেলিগ্রাম অ্যাপ নিষিদ্ধ করছে ভিয়েতনাম সর্বদলীয় বৈঠক ডেকেছেন প্রধান উপদেষ্টা ‘নজরুল পুরস্কার’ পাচ্ছেন আনোয়ারুল হক ও শবনম মুশতারী ড. ইউনূসকে রাষ্ট্রপতি করার দাবিতে শাহবাগে ‘মার্চ ফর ইউনূস’ সুদসহ অক্ষয়কে পারিশ্রমিক ফিরিয়ে দিলেন পরেশ রাওয়াল সাবেক আইনমন্ত্রীর সহযোগী তৌফিকার বিরুদ্ধে মামলা করল দুদক রাতেই দেশের ১৮ জেলায় ঝড়বৃষ্টির শঙ্কা কাজ শেষ না করে আমরা কোথাও যাচ্ছি না- পরিকল্পনা উপদেষ্টা শরীরে ৯৬ চামচ, নিজের গিনেস রেকর্ড ভেঙে ইতিহাস আবুলফজলের রোববার ড. ইউনূসের সাথে সর্বদলীয় বৈঠক বিয়ের অল্পদিনের মধ্যে সংসার ভেঙে যাওয়ায় ঘটককে হত্যা

ডেনমার্কে অবসরের বয়সসীমা বাড়ালো ৭০, নতুন আইন পাশ

  • আপলোড সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৪:৩০:২২ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৪:৩০:২২ অপরাহ্ন
ডেনমার্কে অবসরের বয়সসীমা বাড়ালো ৭০, নতুন আইন পাশ
ইউরোপের দেশ ডেনমার্কে ২০৪০ সালে সরকারি চাকরি থেকে অবসরের বয়সসীমা হবে ৭০ বছর। এ লক্ষ্যে একটি প্রস্তাবও পাশ হয়েছে দেশটির পার্লামেন্টে। যদিও এটি এখনো কার্যকর হয়নি। তবে ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে এ দেশটিতে অবসরের সর্বোচ্চ বয়সসীমা হবে।
শুক্রবার (২৩ মে) বার্তা সংস্থা এএফপি এবং সংবাদমাধ্যম বিবিসি পৃথক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে।ডেনিশ পার্লামেন্ট ফোকেটিং তাদের ওয়েবসাইটে জানিয়েছে, ৮১ জন আইন প্রণেতা নতুন আইনটির পক্ষে ভোট দিয়েছেন। তবে বিপক্ষে ভোট দিয়েছেন ২১ জন।




জানা যায়, ২০০৬ সাল থেকে নাগরিকদের গড় আয়ু অনুসারে অবসর গ্রহণের বয়স নির্ধারণ করছে ডেনমার্ক সরকার। প্রতি পাঁচ বছর পর পর তা পর্যালোচনা করা হয়। ২০৩০ সালে এই নীতিমালার আওতায় অবসর গ্রহণের বয়স হবে ৬৮ এবং ২০৩৫ সালে তা বেড়ে দাঁড়াবে ৬৯ বছরে, অবশেষে ২০৪০ সালে ৭০-এ পৌঁছাবে।




নতুন আইন অনুসারে, ১৯৭০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের পর যেই ড্যানিশ নাগরিকদের জন্ম, তাদের জন্য অবসর গ্রহণের বয়স ৭০ বছর প্রযোজ্য হবে।গত বছর ডেনমার্কের ৪৭ বছর বয়সী সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক প্রধানমন্ত্রী ম্যাতে ফ্রেডেরিকসেন বলেছিলেন, অবসর গ্রহণের বয়স ৭০ বছরে পৌঁছলে সরকার এই পদ্ধতি পুনর্বিবেচনা করতে প্রস্তুত থাকবে।গত আগস্টে দৈনিক বার্লিংস্ককে তিনি বলেন, আমরা আর বিশ্বাস করি না যে, অবসরের বয়স স্বয়ংক্রিয়ভাবে বাড়ানো উচিত। আপনি শুধু শুধু মানুষকে বলতে পারেন না যে, তাদের আরও এক বছর বেশি কাজ করতে হবে।
নতুন এই নিয়মের প্রতি তাচ্ছিল্য প্রকাশ করেছেন ডেনিশ শ্রমিকেরা। তারা সতর্ক করেছেন যে, শারীরিকভাবে কষ্টকর কাজগুলোতে নিযুক্ত শ্রমজীবী মানুষের জন্য এটি বিশেষভাবে কঠিন হবে।





এদিকে, ৪৭ বছর বয়সী ছাদ মিস্ত্রি টমাস জেনসেন দেশটির রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাধ্যম ডিআর-কে বলেন, এটি অবাস্তব ও অযৌক্তিক। আমরা কাজ করি, কাজ করি আর কাজ করি, কিন্তু এভাবে চালিয়ে যেতে পারি না আমরা। সারা জীবন কর দিয়েছি আমি। ছেলেমেয়ে ও নাতি-নাতনিদের সঙ্গে কাটানোর মতো সময়ও তো থাকা উচিত।





অবসরের এই নিয়মকে ‘সম্পূর্ণ অন্যায্য’ বলে অভিহিত করেছেন ডেনমার্কের ট্রেড ইউনিয়নগুলোর ফেডারেশনের চেয়ারম্যান জেসপার এট্রুপ রাসমুসেন। বিবিসির খবরে তার মন্তব্য উল্লেখ করে বলা হয়েছে, ডেনমার্কের অর্থনীতি স্বাস্থ্যকর। তবুও এখানে ইউরোপের সর্বোচ্চ অবসরের বয়স। অবসরের বয়স বৃদ্ধি মানে (মানুষ) একটি সম্মানজনক জীবনযাপনের অধিকার হারাবে।





অবসরের বয়স একটি সংবেদনশীল বিষয় ইউরোপে। উচ্চ প্রত্যাশিত আয়ু এবং বাজেট ঘাটতির কারণে প্রতিটি প্রজন্মকে তার পূর্বসূরিদের চেয়ে বেশি সময় ধরে কাজ করতে হচ্ছে। ফলস্বরূপ, ডেনমার্কের এই সর্বোচ্চ অবসরের বয়স নির্ধারণ কিছুটা তার সমৃদ্ধ ও আরামদায়ক নর্ডিক রাষ্ট্র হিসেবে পরিচিতির সঙ্গে দ্বন্দ্বের তৈরি করে।




৬৩ বছর বয়সেই পেনশন সুবিধা দাবি করতে পারেন প্রতিবেশী দেশ সুইডেনের নাগরিকেরা। ইমানুয়েল মাখোঁ সরকার অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ করার আইন জারি করলে ব্যাপক বিক্ষোভ ও দাঙ্গা হয়েছিল ফ্রান্সে। ১৯৫৫ থেকে ১৯৬০ সালের মধ্যে সাধারণত ৬৬ বছর বয়সে পেনশন পেতে শুরু করেন যুক্তরাজ্যে জন্মগ্রহণকারীরা। তবে ১৯৬০ সালের পর যারা জন্মগ্রহণ করেছেন, এই সীমা তাদের জন্যে ধীরে ধীরে বাড়ানো হচ্ছে।

কমেন্ট বক্স