ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৪ অক্টোবর ২০২৫ , ২৯ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
এ ওয়ান পলিমার ও আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ডিলার সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত পরোয়ানা জারি হওয়া সেনা কর্মকর্তাদের বিচারের ক্ষমতা ট্রাইব্যুনালের রয়েছে নোবেল শান্তি পুরস্কারের তথ্য ফাঁসের সন্দেহ, তদন্তে কমিটি শিক্ষকদের অবস্থান কর্মসূচিতে পুলিশের সাউন্ড গ্রেনেড-জলকামান মসজিদুল আকসার খতিবের ওপর ৬ মাসের নিষেধাজ্ঞা আরিয়ানের বিরুদ্ধে মামলা করায় বিপাকে সমীর ওয়াংখেড়ে শিশুদের ‘নোবেল’ পুরস্কারে মনোনীত কিশোরগঞ্জের মাহবুব ঢাকায় সামান্য বৃষ্টির সম্ভাবনা, তাপমাত্রা থাকবে অপরিবর্তিত ত্রাণ বিতরণ সিম্বলিক, মূল উদ্দেশ্য ছিল অবরোধ ভাঙা : শহিদুল আলম জুলাই জাতীয় সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠান দুই দিন পেছাল ভারী অস্ত্র নিয়ে পাক সেনাদের ওপর আফগানিস্তানের হামলা, সীমান্তে সংঘর্ষ গাজা থেকে সেনা প্রত্যাহার শুরু করেছে ইসরায়েল সালিশ মনঃপূত না হওয়ায় পিটিয়ে ব্যবসায়ীকে হত্যা নওগাঁয় গণপিটুনিতে ডাকাত নিহত আমি এ দোকানের ‘বান্ধা কাস্টমার’: মারজুক রাসেল নববধূর সাজে নজর কাড়লেন সেলেনা গোমেজ মক্কায় পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের যেভাবে আবদার মেটালেন মুশফিক রুক্মিণীকে বিয়ে করা নিয়ে যা বললেন দেব নারীদের জন্য তারেক রহমানের ৬ অঙ্গীকার কিছু চিহ্নিত ব্যক্তির দায় প্রতিষ্ঠানের ওপর দেওয়া উচিত নয়: বিএনপি
জাতিসংঘের বিবৃতি

৪২৭ রোহিঙ্গাকে নিয়ে আচমকাই ডুবলো দুই নৌকা

  • আপলোড সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৪:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ২৪-০৫-২০২৫ ০৪:৫৮:৩৭ অপরাহ্ন
৪২৭ রোহিঙ্গাকে নিয়ে আচমকাই ডুবলো দুই নৌকা
বঙ্গোপসাগরের মিয়ানমার উপকূলে পৃথক দুটি নৌকাডুবির ঘটনায় অন্তত ৪২৭ জন রোহিঙ্গা নিখোঁজ হয়েছেন। আজ শনিবার (২৪ মে) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা ইউএনএইচসিআর এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। নিখোঁজদের মধ্যে রয়েছেন নারী, পুরুষ ও শিশুরা।

বিবৃতিতে জানানো হয়, প্রথম দুর্ঘটনাটি ঘটে ৯ মে। ওইদিন মিয়ানমারের আরাকান রাজ্যের উপকূল থেকে ২৬৭ জন রোহিঙ্গাকে নিয়ে রওনা হয় একটি ইঞ্জিনচালিত নৌকা। তবে কিছুদূর এগোনোর পরই তা ডুবে যায়। নৌকাডুবির পর মাত্র ৬৬ জন যাত্রী জীবিত ফিরে আসেন, বাকিদের আর খোঁজ মেলেনি।

এর ঠিক পরদিন, ১০ মে ঘটে আরও একটি অনুরূপ দুর্ঘটনা। ওইদিনও আরাকান উপকূল থেকে একটি কাঠের ইঞ্জিনচালিত নৌকা রওনা দিয়েছিল ২৪৭ জন যাত্রী নিয়ে। একইভাবে কিছুদূর গিয়েই সেটিও ডুবে যায়। এবার বেঁচে ফেরেন মাত্র ২১ জন। নিখোঁজ বাকি ২২৬ জনের কোনো সন্ধান এখনও পাওয়া যায়নি।

এই দুই মর্মান্তিক ঘটনায় গভীর শোক ও উদ্বেগ প্রকাশ করেছে ইউএনএইচসিআর। সংস্থাটির এশিয়া ও প্যাসিফিক ব্যুরোপ্রধান হাই কিউং জুন বলেন, "মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে চলা সহিংসতা এবং রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর ওপর লাগাতার নির্যাতন-নিপীড়ন তাদেরকে এমন বিপজ্জনক পথ বেছে নিতে বাধ্য করছে।"

রোহিঙ্গা সংকটের সূত্রপাত ২০১৭ সালের আগস্টে, যখন আরাকান স্যালভেশন আর্মি (আরসা) রাখাইনের পুলিশ স্টেশন ও সেনা ছাউনিতে একযোগে হামলা চালায়। প্রতিক্রিয়ায় মিয়ানমার সেনাবাহিনী ভয়াবহ হামলা শুরু করে রোহিঙ্গা অধ্যুষিত গ্রামগুলোতে। নির্যাতন, ধর্ষণ, লুটপাট ও অগ্নিসংযোগের মুখে হাজার হাজার রোহিঙ্গা নাফ নদী পেরিয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়।

বাংলাদেশ সরকার কক্সবাজারের কুতুপালংয়ে শরণার্থী শিবির স্থাপন করে তাদের আশ্রয় দেয়। এরপর জাতিসংঘসহ আন্তর্জাতিক সহায়তাকারী সংস্থাগুলোর সহায়তায় খাদ্য, চিকিৎসা ও অন্যান্য জরুরি সেবা প্রদান শুরু হয়। বর্তমানে কুতুপালংসহ অন্যান্য শিবিরে ১৫ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গা বসবাস করছেন।

৯ ও ১০ মে নিখোঁজ হওয়া রোহিঙ্গা যাত্রীরা কোথায় যাচ্ছিলেন, তা নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে, তারা উন্নত জীবনের আশায় ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া বা দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার অন্য কোনো দেশে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
এ ওয়ান পলিমার ও আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ডিলার সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত

এ ওয়ান পলিমার ও আনোয়ার গ্যালভানাইজিং ডিলার সম্মেলন ২০২৫ অনুষ্ঠিত