ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে বিএনপি নেতা ইশরাক হোসেনকে আজেকের মধ্যে শপথ পড়াতে স্থানীয় সরকারকে আইনি নোটিশ পাঠানো হয়েছে।ইশরাক হোসেনের পক্ষে এ লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন তার আইনজীবী বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ব্যারিস্টার এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী এহসানুর রহমান।বৃহস্পতিবার হাইকোর্ট প্রাঙ্গণে খোকন বলেন, হাইকোর্টের রায়ের পরও ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র হিসেবে শপথ না পাড়ালে এবার আদালত অবমাননা হবে। আদালত মামলা খারিজ করায় ইশরাকের শপথ নেওয়ায় আর কোনো বাধা রইল না। আগামী ২৬ মে এর মধ্যে তাকে শপথ পড়াতে হবে।
বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। গত ১৯ মে বিকালে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ফেসবুক পোস্টে ১০টি পয়েন্টে এর ব্যাখ্যা করেন। সেখানে বলা হয়েছে, আইনি জটিলতার কারণে শপথ পড়ানো যাচ্ছে না ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে। অথচ বিএনপির আন্দোলনকে উদ্দেশ করে তিনি লিখেছেন, আন্দোলনের যৌক্তিকতা না থাকলেও তারা গায়ের জোরে নগরভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছেন।
একটি মহল শপথ বন্ধ করার চেষ্টা করেছিল, কিন্তু সেটা ব্যর্থ হয়েছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, শপথ না পড়ালে আদালত অবমাননা হবে। আশা করি, সরকার আইনের শাসনে বিশ্বাস করবে। ট্রাইব্যুনাল এবং হাইকোর্ট ডিভিশনালের আজকের রায়ের প্রতি আস্থা রেখে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তার শপথের ব্যবস্থা গ্রহণ করবে সরকার।
বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়রের দায়িত্ব বুঝিয়ে না দেওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন স্থানীয় সরকার উপদেষ্টা। গত ১৯ মে বিকালে মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া তার ফেসবুক পোস্টে ১০টি পয়েন্টে এর ব্যাখ্যা করেন। সেখানে বলা হয়েছে, আইনি জটিলতার কারণে শপথ পড়ানো যাচ্ছে না ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনকে। অথচ বিএনপির আন্দোলনকে উদ্দেশ করে তিনি লিখেছেন, আন্দোলনের যৌক্তিকতা না থাকলেও তারা গায়ের জোরে নগরভবন বন্ধ করে আন্দোলন করছেন।
ফেসবুক পোস্টে দেওয়া ব্যাখ্যার মধ্যে রয়েছে-১. আর্জি সংশোধন অবৈধ মর্মে হাইকোর্টের রায় ভায়োলেট করে নির্বাচন কমিশন ট্রাইব্যুনাল এই রায় দিয়েছে ২. নির্বাচন কমিশন শুনানিতে অংশগ্রহণ না করায় একপাক্ষিক রায় হয়েছে এবং পরে কমিশন আপিলও করেনি ৩. আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হলেও মতামত দেওয়ার আগেই এবং একই সঙ্গে দুজন নাগরিকের পাঠানো লিগ্যাল নোটিশ উপেক্ষা করে রাত ১০টায় গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন ৪. উক্ত মামলায় স্থানীয় সরকার বিভাগ পক্ষভুক্ত ছিল না এবং রায়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনার উল্লেখ নেই ৫. শপথ না দেওয়ার কারণে নির্বাচন কমিশন স্থানীয় সরকার বিভাগকে বিবাদী করে রিট করা হয়েছে, যা এখনো বিচারাধীন ৬. বরিশাল সিটি করপোরেশন সংক্রান্ত মামলায়, আর্জি সংশোধনসংক্রান্ত হাইকোর্টের রায়কে আমলে নিয়ে খারিজ করেছে ট্রাইব্যুনাল। এতে ট্রাইব্যুনালের দ্বিমুখী অবস্থান বোধগম্য হচ্ছে না ৭. মেয়াদসংক্রান্ত জটিলতা দেখা দিয়েছে; কতদিন মেয়র থাকবেন বা আদৌ মেয়াদ আছে কিনা তা স্পষ্ট নয় ৮. নির্বাচন কমিশনের চিঠিতে কোন প্রকার আইনি জটিলতা না থাকলে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের কথা বলা হয়েছে। স্পষ্টতই বিতর্কিত রায়, স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রতি কোনো নির্দেশনা না থাকা, লিগ্যাল নোটিশ ও রিট পিটিশন বিচারাধীন থাকা সংক্রান্ত আইনি জটিলতা রয়েছে ৯. এই জটিলতা নিরসনে আইন মন্ত্রণালয়ের মতামত চাওয়া হয়েছে ও ১০. আওয়ামী আমলের অবৈধ নির্বাচনগুলোকে বৈধতা দেওয়ার প্রশ্নও প্রাসঙ্গিক হয়ে উঠেছে। রাজনৈতিক দলগুলো যদি স্বীকার করে যে, আওয়ামী আমলের নির্বাচনগুলো বৈধ, তবে সরকারের জন্য এসব প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হবে না।