প্রধান উপদেষ্টার আসন্ন জাপান সফরকে ঘিরে বাংলাদেশ জাপানের কাছে ৫০০ থেকে ৭৫০ মিলিয়ন ডলার, অথবা ১ বিলিয়ন ডলারের মতো আর্থিক সহায়তা প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম। এর মধ্যে ৫০০ মিলিয়ন ডলার বাজেট সাপোর্ট হিসেবে পাওয়া যেতে পারে বলে জানান তিনি।
মঙ্গলবার (২৭ মে) বিকেলে ফরেন সার্ভিস অ্যাকাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এসব তথ্য দেন।
শফিকুল আলম বলেন, “প্রধান উপদেষ্টা জাপানে যাচ্ছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ সফর। জাপানি বিনিয়োগকারীরা বাংলাদেশ নিয়ে খুবই আগ্রহী। আড়াই হাজার জাপানির জন্য একটি আলাদা ইকোনমিক জোন গঠন করা হয়েছে। ওই জোনে কীভাবে আরও বিনিয়োগ বাড়ানো যায়, সে বিষয়ে কথা হবে।”
তিনি বলেন, “ওই সেমিনারে ৩০০ জনের মতো জাপানি বিনিয়োগকারী উপস্থিত থাকবেন। তাদের সামনে বাংলাদেশের সুযোগ-সুবিধা তুলে ধরা হবে।”
মহেশখালী-মাতারবাড়ি সমন্বিত অবকাঠামো উন্নয়ন প্রকল্প প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “পুরো প্ল্যানটি এক্সিকিউট করতে ১৪০ বিলিয়ন ডলারের মতো বিনিয়োগ দরকার হবে। সফরের একটি বড় ফোকাস থাকবে কিভাবে এই ইনভেস্টমেন্ট আনা যায়।”
প্রকল্পের বিস্তারিত তুলে ধরে তিনি বলেন, “মাতারবাড়িতে ছয়টি পোর্ট টার্মিনাল হবে, যেখানে বিশ্বের বড় বড় জাহাজ ভিড়বে। এখানে একটি আধুনিক শহর গড়ে উঠবে। থাকবে পাওয়ার প্ল্যান্ট, লজিস্টিক হাব, ম্যানুফ্যাকচারিং হাব এবং এনার্জি হাব। প্রত্যেকটা সেগমেন্টে জাপানি বিনিয়োগ আনার চেষ্টা করা হবে।”
তিনি আরও জানান, “মাতারবাড়ি যখন ডেভেলপ হবে, তখন কক্সবাজারও উন্নয়ন পাবে। সেখানে দ্রুত আন্তর্জাতিক মানের বিমানবন্দর নির্মাণ করা হচ্ছে।”