ঢাকা , শুক্রবার, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৪ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন ভেনেজুয়েলার ওপর নৌ অবরোধের হুমকির নিন্দা ইরানের গুম ও নির্যাতনের মামলা শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে’ বলে গাড়ি ম্যানেজ করেন ফয়সাল মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ফিরছেন তারেক রহমান হাসনাতের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দুই ‘সন্দেহভাজন’ আটক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা শেষ স্ট্যাটাসে হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী দ্রুত বিচার আইনের দুই মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস-আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি হাদিকে গুলির আগের রাতে ফয়সাল তার বান্ধবীকে দেশ কাঁপানোর বার্তা দেন মানিক মিয়া এভিনিউয়ে বিএনসিসির বর্ণাঢ্য বিজয় র‍্যালি ঢাকার নিরাপত্তা নিশ্চিতে ডিএমপির চেকপোস্ট ব্যবস্থা জোরদার ট্রাইব্যুনালে নিজের বিচার টিভিতে সরাসরি সম্প্রচারের আবেদন ইনুর শীতে মাইগ্রেনের সমস্যা বেড়েছে? যা করতে পারেন চায়ের সঙ্গে যে খাবারগুলো খাওয়া ক্ষতিকর নয়াদিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে তলব ওমরাহ ও হজের সময় শিশু হারানো রোধে সৌদি আরবে বিশেষ ব্রেসলেট চালু বাংলাদেশ সীমান্তে ভারত ৮০ শতাংশ এলাকায় কাঁটাতারের বেড়া স্থাপন করেছে অস্ট্রেলিয়ায় ইহুদিদের প্রাণ বাঁচিয়ে ‘জাতীয় হিরো’ আল আহমেদ

ভারতের কর্নাটকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো ৭৫

  • আপলোড সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ০৪:২৯:৫৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ৩১-০৫-২০২৫ ০৪:২৯:৫৪ অপরাহ্ন
ভারতের কর্নাটকে প্রাকৃতিক বিপর্যয় ও ভূমিধসে মৃতের সংখ্যা ছাড়ালো ৭৫
সরকারিভাবে বর্ষা প্রবেশ না করলেও কর্নাটক ইতোমধ্যেই বিপর্যয়ের মুখে। অকাল অতিবৃষ্টিতে রাজ্যের ৩১টি জেলার জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। কোথাও বন্যা, কোথাও আবার পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন হাজারো মানুষ। পাহাড়ি এলাকায় দেখা দিয়েছে নতুন আতঙ্ক—ভূমিধস।

বিশেষ করে দক্ষিণ কর্নাটকের মেঙ্গালুরু অঞ্চলে একাধিক স্থানে ধস নামার খবর পাওয়া গেছে। মেঙ্গালুরুর উল্লালে ভূমিধসের কারণে মৃত্যু হয়েছে ৮ জনের। এছাড়া রাজ্যজুড়ে বন্যা ও জমে থাকা পানিতে প্রাণ হারিয়েছেন অন্তত ৬৭ জন। শুধু রাজধানী বেঙ্গালুরুতেই জমা পানিতে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মারা গেছেন ৫ জন।

এ প্রসঙ্গে কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া জানিয়েছেন, বর্ষা আসার আগেই রাজ্যে স্বাভাবিকের চেয়ে ১৫০ শতাংশ বেশি বৃষ্টি হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় ২০ লাখ মানুষ সরাসরি এই দুর্যোগের শিকার। সরকার আশঙ্কা করছে, পরিস্থিতি ভয়াবহ বিপর্যয়ের দিকে এগোচ্ছে।

দুই বছর আগের স্মৃতি ঘেঁটে অনেকেই বলছেন, ইতিহাস আবারও ফিরে আসছে। তখন বেঙ্গালুরুতে বৃষ্টির পানি জমে এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছিল যে, অফিসে যেতে কোম্পানিগুলোকে নৌকা ভাড়া করতে হয়েছিল। এবারও তার পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছেন নগরবাসী।

পরিবেশবিদ ও আবহাওয়াবিদেরা বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতি ২০১৮ সালের কেরালার বন্যার মতো ভয়াবহ পরিণতির ইঙ্গিত দিচ্ছে। অথচ এখনো সরকারিভাবে বর্ষা প্রবেশ করেনি কর্নাটকে।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, দুর্যোগ মোকাবিলায় রাজ্যের দুর্যোগ প্রতিরোধ দফতরের হাতে রয়েছে কয়েক হাজার কোটি টাকা। সেই অর্থ থেকেই নিহতদের পরিবারকে ক্ষতিপূরণ এবং ক্ষতিগ্রস্ত ঘরবাড়ির পুনর্নির্মাণ বা সংস্কারের ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তবে প্রশ্ন উঠেছে—প্রাক-বর্ষার এই দুর্যোগ কেন? সরকারি সূত্র বলছে, অতিবৃষ্টির পাশাপাশি জলাবদ্ধতার অন্যতম কারণ হলো নিকাশি ব্যবস্থার বিপর্যয়। সেচ দফতরের তথ্য অনুযায়ী, রাজ্যের ৪১ হাজার নিকাশি খালের মধ্যে ১৪ হাজারই এখন দখলদারদের কবলে। খাল ভরাট করে বানানো হয়েছে ঘরবাড়ি।

এই পরিস্থিতির পরিপ্রেক্ষিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন এবং যেকোনো ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন

উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন