ঢাকা , শুক্রবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫ , ২০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
ইসরাইলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের মদের দোকানে তাণ্ডব চালিয়ে মাতাল হয়ে বাথরুমে পড়ে রইল র‍্যাকুন ঋণের চাপে রাষ্ট্রায়ত্ত্ব এয়ারলাইনস বেচে দিচ্ছে পাকিস্তান সৌদিতে চলচ্চিত্র উৎসবের পর্দা উঠছে কাল, আলো ছড়াবেন জোলি-ঐশ্বরিয়ারা এখনও ‘ট্রাভেল পাস’ চাননি তারেক রহমান: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা আবারও সংশোধন হচ্ছে আরপিও বায়ুদূষণে আজ শীর্ষে ঢাকা, বাতাসের মান ঝুঁকিপূর্ণ নেতৃত্বের ফয়সালা আসমান থেকে আসে: হাসনাত নতুন দুই ছানা পেল সন্তানহারা সেই মা কুকুর রাবির ৩ শিক্ষক বরখাস্ত, ২ শিক্ষার্থীর ছাত্রত্ব বাতিল তুরাগ নদী থেকে যুবকের লাশ উদ্ধার ইমরান খানের জন্য চিন্তিত ভারতীয় অভিনেত্রী মুনমুন সেন এবার ৪.১ মাত্রার ভূমিকম্পে কাঁপল রাজধানী, উৎপত্তিস্থল যেখানে গাজায় যুদ্ধবিরতির দ্বিতীয় ধাপ শিগগিরই শুরু হবে: ট্রাম্প হবিগঞ্জের প্রায় ১৫ মিলিয়ন ঘনফুট গ্যাস জাতীয় গ্রিডে ফেলে যাওয়া নবজাতককে সারা রাত পাহারা দিল একদল কুকুর! বিশ্বকাপ স্টেডিয়ামের পাশে প্রায় ৫শ ব্যাগে মানুষের দেহাবশেষ উদ্ধার এভারকেয়ারের পাশে উড়বে সেনা ও বিমানবাহিনীর হেলিকপ্টার ৪ দিন পর নীলফামারী-রংপুর রুটে বাস চলাচল শুরু ২৫ বছর আগে যা ছিলাম, এখন তার চেয়েও চাঙা বলার পরই বৈঠকে এক ঘণ্টা ঘুমালেন ট্রাম্প

গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ,৩০ কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা

  • আপলোড সময় : ১০-১১-২০২৪ ০১:৩৫:৩৪ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১০-১১-২০২৪ ০১:৩৫:৩৪ অপরাহ্ন
গাজীপুরে শ্রমিক বিক্ষোভ,৩০ কারখানায় সাধারণ ছুটি ঘোষণা
বকেয়া বেতনের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছেন গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা। তারা জানিয়েছেন বারবার বেতন পরিশোধের আশ্বাস দেওয়া হলেও তা মানা হয়নি, তাই এবার বেতন ছাড়া মহাসড়ক ছাড়বেন তারা। এদিকে সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় ৩০টি কারখানায় ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে।রোববার (১০ নভেম্বর) দুপুরে গাজীপুর শিল্পাঞ্চল পুলিশ-২-এর পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম  এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

তিনি বলেন, গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা গতকাল (শনিবার) সকাল ৯টা থেকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এই দুই মাসের বেতনের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে অবস্থান করছেন। তাদের একটাই কথা, বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা হাইওয়ে ছাড়বে না।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনসহ মালিককের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সর্বশেষ তাদের (শ্রমিকদের) বেতন পরিশোধ করার কথা বলা হয়। মালিকপক্ষকে একাধিকবার সময় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু উনারা বারবার বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন, যে কারণে শ্রমিকরা এখন আর আমাদের কথা আর বিশ্বাস করে না।

তিনি বলেন, গাজীপুর মহানগরীর মালেকের বাড়ি এলাকার টিএনজেড গ্রুপের শ্রমিকরা গতকাল শনিবার সকাল ৯টা থেকে সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর এই দুই মাসের বেতনের জন্য ঢাকা-ময়মনসিংহ হাইওয়েতে অবস্থান করছেন। তাদের একটাই কথা, বেতন না পাওয়া পর্যন্ত তারা হাইওয়ে ছাড়বে না।তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, পুলিশ ও প্রশাসনসহ মালিককের সঙ্গে কথা বলে শ্রমিকদের একাধিকবার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে, গত বৃহস্পতিবার (৭ নভেম্বর) সর্বশেষ তাদের (শ্রমিকদের) বেতন পরিশোধ করার কথা বলা হয়। মালিকপক্ষকে একাধিকবার সময় দেওয়া হয়েছিল, কিন্তু উনারা বারবার বেতন পরিশোধে ব্যর্থ হয়েছেন, যে কারণে শ্রমিকরা এখন আর আমাদের কথা আর বিশ্বাস করে না।

পুলিশ সুপার সারোয়ার আলম বলেন, আমরা কোন মুখে ওদেরকে (শ্রমিকদের) বলব, তোমরা আন্দোলন প্রত্যাহার করো, তোমাদের একটা ব্যবস্থা আমরা করে দেব। শ্রমিকদের মতো মালিকের প্রতি আমাদেরও আস্থা নেই। যে কারণে ওরা গতকাল থেকে বসে আছে। আমরা তাদের একাধিকবার বুঝানোর চেষ্টা করেছি, আমাদের অফিসে এসে বসো, অবস্থান নাও। কিন্তু ওরা নাছোড়বান্দা, মহাসড়ক ছাড়বে না। এটাকে কেন্দ্র করে গতকাল সন্ধ্যায়ও ওদেরকে বোঝানো হয়েছে, রাতেও চেষ্টা করেছিলাম ওরা যায়নি। আজকে তারা আছে। এই ধারাবাহিকতায় টিএনজেড গ্রুপ, কলম্বিয়া, ভোগড়া বাইপাস, চৌরাস্তার দিকে ৩০টি কারখানা ছুটি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ। শ্রমিকরা ভেতরে ঢুকতে পারছে না।

তিনি আরও বলেন, আমরা আবারও চেষ্টা করছি। একটু আগে সেনাবাহিনী এসেছিল, আমরাসহ কথা বলেছি। আশা করি এর সমাধান হবে। এটা নিয়ে আমাদের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ, বিজিএমইএ, শ্রম অধিদপ্তর কাজ করছে।মহাসড়কের ওপর কেন এত ক্ষোভ? এমন প্রশ্নের জবাবে সারোয়ার আলম বলেন, আমার ধারণা ওরা মনে করে মহাসড়ক বন্ধ করতে পারলেই মালিকের ওপর চাপ আসে, টাকার ব্যবস্থা হয়। তাদের এরকম একটি ধারণা থাকতে পারে।

তিনি আরও বলেন, টিএনজেড গ্রুপের মালিক  দুইজন। বর্তমানে একজন দেশের বাইরে অবস্থান করছেন। যিনি দেশে আছেন তার সঙ্গে আমার কথা হয়েছে। তিনি এখন মন্ত্রণালয়ে বসে আছেন। সেখানে এক্সপোর্ট বিল্ড আপ ফান্ড আছে। সেখানে উনার কিছু টাকা আছে। উনি চাচ্ছেন এই টাকা যদি তাকে ব্যবস্থা করে দেওয়া হয়, ১১-১২ কোটি টাকার মতো, তাহলে উনি এই দুই মাসের বেতনের টাকা পরিশোধ করতে পারবেন। উনার এই জরুরি মুহূর্তে ১১ কোটি থেকে ১২ কোটি টাকার দরকার বলে উনি আমাকে জানিয়েছেন।

কমেন্ট বক্স