মুক্তিযোদ্ধাদের স্বীকৃতি বাতিল সংক্রান্ত সংবাদকে ‘ভিত্তিহীন ও ভুয়া’ বলে আখ্যা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আজাদ মজুমদার।
বুধবার (৪ জুন) দুপুরে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির মিলনায়তনে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ মন্তব্য করেন।
আজাদ মজুমদার বলেন, “মুজিবনগর সরকারের যাঁরা দায়িত্বে ছিলেন, তাঁরা প্রকৃত অর্থেই মুক্তিযোদ্ধা। তাঁদের স্বীকৃতি দিয়ে কারও সম্মান ক্ষুণ্ন হয়নি। কিছু সংবাদমাধ্যম মিথ্যা তথ্য ছড়িয়েছে, যা জনগণকে বিভ্রান্ত করেছে। আশা করি তারা দ্রুত সংশোধনী দিয়ে দুঃখ প্রকাশ করবে।”
তিনি আরও হুঁশিয়ার করেন, “এ ধরনের ভুল ও বিভ্রান্তিকর সংবাদ প্রকাশের ক্ষেত্রে সরকার ভবিষ্যতে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।”
এর আগে, মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা ফারুক ই আজম স্পষ্ট করে জানান, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জাতীয় চার নেতা—সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, মো. মনসুর আলী ও এ এইচ এম কামরুজ্জামান মুক্তিযোদ্ধা হিসেবেই বিবেচিত হবেন।
তিনি বলেন, “মুজিবনগর সরকারে নেতৃত্বদানকারীরা মুক্তিযোদ্ধা, আর তাদের সহযোগী কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘সহযোগী মুক্তিযোদ্ধা’ হিসেবে বিবেচিত হবেন। বিষয়টি ভুলভাবে উপস্থাপন করায় গণমাধ্যমে বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে।”