উত্তরবঙ্গের প্রবেশদ্বার হিসেবে পরিচিত গাজীপুরের কালিয়াকৈরের চন্দ্রা ত্রিমোড় এলাকাজুড়ে কয়েক কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ধীরগতিতে চলছে যানবাহন।
ঢাকা থেকে বের হওয়া অনেক গাড়িই যাত্রী তুলতে বারবার থেমে পড়ায় এই ধীরগতি তৈরি হয়েছে বলে জানান সংশ্লিষ্টরা। ফলে ঈদযাত্রায় যাত্রীদের পড়তে হচ্ছে ভোগান্তিতে।
গাজীপুর থেকে চন্দ্রা পৌঁছাতে প্রায় দুই ঘণ্টা লেগেছে—এমন অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন একটি কারখানার কর্মকর্তা মেহেদী হাসান।
একই অভিজ্ঞতার কথা জানান বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা শেখ কাইয়ুম। তিনি বলেন, ‘চন্দ্রা থেকে কোনোভাবেই বাস পাচ্ছিলাম না। পরে দীর্ঘ অপেক্ষার পর অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে বাসে উঠতে হয়েছে।’
গাড়ির সংকটে কাঙ্ক্ষিত যান না পেয়ে অনেককেই খোলা ট্রাক বা পিকআপে ঝুঁকি নিয়ে বাড়ি ফিরতে দেখা গেছে।
শিল্পাঞ্চল গাজীপুরে রয়েছে ২ হাজার ১৭৬টি কারখানা, যার মধ্যে ১ হাজার ১৫৪টি পোশাক কারখানা। এসব কারখানার কয়েক লাখ শ্রমিক এখন ঈদের ছুটিতে বাড়ি ফিরছেন।
বুধবার থেকেই ধাপে ধাপে এসব কারখানা ও বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে ছুটি ঘোষণার পর বৃহস্পতিবার (৫ জুন) সকাল থেকেই চন্দ্রা এলাকায় যাত্রীচাপ কয়েকগুণ বেড়ে গেছে।
এ প্রসঙ্গে নাওজোড় হাইওয়ে থানার ওসি শওকাতুল আলম জানান, ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে হাইওয়ে পুলিশ, র্যাবসহ বিভিন্ন বাহিনী একযোগে কাজ করছে। ছিনতাই ও অপরাধ প্রতিরোধেও কাজ করছে আলাদা টিম।