প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেড় ঘণ্টার বৈঠকে দেশের চলমান রাজনৈতিক অনিশ্চয়তা দূর হওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। বৈঠকে বিএনপির পক্ষ থেকে ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাবে নীতিগতভাবে সম্মতি দিয়েছে সরকার।
তবে প্রশ্ন উঠেছে, বৈঠকে কি কেবল নির্বাচনই আলোচনার বিষয় ছিল? জানা গেছে, বৈঠকের বিষয়বস্তু আগেই বিএনপির স্থায়ী কমিটিতে আলোচিত হয়। ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন, মৌলিক কিছু সংস্কারে সম্মতি, এবং বিচার প্রক্রিয়ার অগ্রগতিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার দায়িত্ব পান তারেক রহমান।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ ও হাফিজউদ্দিন আহমদের মতে, বৈঠকে ভবিষ্যতে সরকার গঠন করলে ড. ইউনূসের আন্তর্জাতিক ভাবমূর্তি রাষ্ট্রীয়ভাবে কাজে লাগানোর বিষয়েও আলোচনা হয়।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, দেশের অর্থনৈতিক ও গণতান্ত্রিক অগ্রযাত্রায় ইউনূসের সহযোগিতা প্রত্যাশা করেছে বিএনপি। প্রস্তাবটি গৃহীত হয়েছে কিনা জানা না গেলেও তিনি গুরুত্ব অনুধাবন করবেন বলে আশা প্রকাশ করেন।
হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, সংস্কার সংক্রান্ত যেসব বিষয়ে রাজনৈতিক ঐকমত্য হয়েছে, তার কিছু অন্তর্বর্তীকালীন সরকার বাস্তবায়ন করবে, বাকিগুলো নির্বাচিত সরকার বাস্তবায়ন করবে। তিনি আরও জানান, বিচার নিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে আশ্বস্ত করেছেন তারেক রহমান। কারণ, বিগত সময়ে সবচেয়ে বেশি ভুক্তভোগী বিএনপিই হয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
অন্যদিকে, উপদেষ্টামণ্ডলীর তিন সদস্য—বিশেষ করে দুই ছাত্র উপদেষ্টা ও নিরাপত্তা উপদেষ্টার পদত্যাগের দাবি থাকলেও, বৈঠকে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান উপস্থিত ছিলেন। এর আগে বিএনপির সঙ্গে যমুনার বৈঠকে ছিলেন উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ।
তবে নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে ছাড় দিলেও উপদেষ্টাদের পদত্যাগের বিষয়ে এখনো অনড় বিএনপি।
হাফিজউদ্দিন আহমদ বলেন, “এই তিনজনের পদত্যাগের দাবি থেকে আমরা সরিনি। আমরা প্রস্তাব দিয়েছি, এখন সিদ্ধান্ত সরকারের হাতে।”
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, “এই সরকার অন্তর্বর্তী হলেও ‘নিরপেক্ষ’ তকমা রয়েছে। তাই নিরপেক্ষতা বজায় রাখাটাই এখন মুখ্য।”