সিলেটের জাফলংয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের দুই উপদেষ্টার গাড়ি আটকে বিক্ষোভের ঘটনায় গোয়াইনঘাট উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জাহিদ খানকে বহিষ্কার করেছে কেন্দ্রীয় যুবদল।
শনিবার (১৪ জুন) সকালে জাফলং পর্যটনকেন্দ্র পরিদর্শন শেষে ফেরার পথে পরিবেশ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান ও বিদ্যুৎ ও জ্বালানি উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খানের গাড়িবহরে স্থানীয় যুবদল ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বাধা দিয়ে বিক্ষোভ করেন।
ঘটনার পর কেন্দ্রীয় যুবদল তাৎক্ষণিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেয়। শনিবার দিবাগত রাতে কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ নুরুল ইসলাম নয়নের স্বাক্ষরিত এক আদেশে জাহিদ খানকে প্রাথমিক সদস্যপদসহ দল থেকে বহিষ্কার করা হয়।
এ তথ্য নিশ্চিত করেন যুবদলের কেন্দ্রীয় সহ-দপ্তর সম্পাদক মিনহাজুল ইসলাম ভূঁইয়া।
এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, বহিষ্কৃত নেতাদের ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ডের দায় দল বহন করবে না। সংগঠনের নেতাকর্মীদের তাদের সঙ্গে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করার নির্দেশও দেওয়া হয়।
বিক্ষোভে আরও জড়িত ছিলেন পূর্ব জাফলং ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি আজির উদ্দিন, জেলা ছাত্রদলের সহ-সাধারণ সম্পাদক সোহেল আহমদ, উপজেলা শ্রমিক দলের সভাপতি আবদুল জলিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবদুস সালাম ও ধর্মবিষয়ক সম্পাদক রমজান মোল্লা।
বহিষ্কারের পর নিজের ফেসবুকে প্রতিক্রিয়া জানিয়ে জাহিদ খান লেখেন, “আলহামদুলিল্লাহ, দলীয় সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই। ব্যক্তি নয়, দলই বড়। আমার শুভাকাঙ্ক্ষীদের অনুরোধ করবো, এমন কিছু লিখবেন না যাতে দলের ক্ষতি হয় বা আপনাদের সম্মানহানি ঘটে।”
উল্লেখ্য, সিলেটে পাথর উত্তোলন সংশ্লিষ্ট নানা ঘটনায় এর আগেও দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়। গত ১৪ অক্টোবর জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রফিকুল ইসলামের পদ স্থগিত করা হয়, আর সর্বশেষ গত ৯ জুন পাথর উত্তোলনে জড়িত থাকায় জেলা যুবদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবুল কাশেমকে বহিষ্কার করা হয়।