নিরবতাকে চিরে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে ইরানের ব্যালিস্টিক মিসাইল। হামলার টানা ধাক্কায় দিশেহারা ইসরায়েলিরা এখন মানসিক বিপর্যয়ের মুখে। বেঁচে থাকলেও মনোবল ভেঙে পড়েছে বহু মানুষের। আতঙ্কে ঘুম হারাম, নাওয়া-খাওয়া অনিয়মিত—সব মিলিয়ে এক অচেনা বাস্তবতায় বাস করছেন তারা।
চোখের সামনে ধসে পড়া ভবন, ভাঙা রাস্তা আর অ্যাম্বুলেন্সের নিরন্তর শব্দ—এ যেন এক অবাস্তব নগরী। অনেকেই ঘর ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছেন স্থানীয় বম্ব শেল্টারে। কেউ কেউ ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে গড়ে তোলা বসতভিটা হারিয়ে বাকরুদ্ধ।
মাত্র ৪ দিনেই ইসরায়েলের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য হটলাইনে ফোন গেছে ৪,৫০০-এর বেশি। আতঙ্কে কাঁপতে থাকা মানুষজন দ্বারস্থ হচ্ছেন মানসিক চিকিৎসকদের। এমনকি জুম মিটিংয়ের মাধ্যমেও দেখা মিলছে চিকিৎসকদের সঙ্গে।
জনগণের চাপে ২৪ ঘণ্টা চালু রাখা হয়েছে মানসিক স্বাস্থ্য সেবাকেন্দ্র। হামলায় ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলোর বাসিন্দাদের নেওয়া হচ্ছে বিশেষ নজরদারিতে। PTSD থেকে সুরক্ষা পেতে সব সেবা মিলছে সম্পূর্ণ বিনামূল্যে।
এক ইসরায়েলি বলেন, "আমার বাড়ি কেন ধ্বংস করলো? আমরা কী করেছি? আমি এখনও কাঁদিনি। এই ধাক্কা সামলানো খুব কঠিন।"
আরেকজন বলেন, “এভাবে চলতে পারে না। যেকোনো মূল্যে এর শেষ হওয়া দরকার। শুধু ইসরায়েল-ইরান নয়, পুরো মধ্যপ্রাচ্য অস্থির হয়ে উঠেছে।”
এ পর্যন্ত ইরান-ইসরায়েল সংঘাতে নিহত হয়েছেন ১৯ জন ইসরায়েলি, আহত হয়েছেন আরও বহু মানুষ।