টেস্ট ক্রিকেটের ‘স্বর্গ’খ্যাত গলে আজ শুরু হচ্ছে শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ সিরিজের প্রথম ম্যাচ। এই ম্যাচ দিয়েই পর্দা উঠছে আইসিসি টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের (২০২৫-২৭) নতুন চক্রের। ক্রিকেটের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই সংস্করণে এটি হবে চতুর্থ আসর।
২৫ বছর পেরিয়েও লাল-সবুজদের টেস্ট সাফল্য বরাবরই সীমিত। ২০১৯-২১ সালের প্রথম চক্রে একটিও জয় পায়নি বাংলাদেশ। দ্বিতীয় চক্রে কেবল মাউন্ট মঙ্গানুই টেস্ট জয়ই ছিল স্মরণীয়। তবে তৃতীয় চক্রে ১২ টেস্টে ৪ জয়ের মাধ্যমে কিছুটা আলোর রেখা দেখাতে পেরেছে শান্ত-লিটন-মিরাজরা। এবার চতুর্থ চক্রে লাল বলের ক্রিকেটে আরও এক ধাপ এগিয়ে যাওয়ার সুযোগ টাইগারদের সামনে।
এই চক্রে মোট ১২টি টেস্ট খেলবে বাংলাদেশ। এর মধ্যে গল ও কলম্বোতে শুরু হচ্ছে প্রথম সিরিজ। এরপর বাকি ১০টি ম্যাচ ২০২৬ ও ২০২৭ সালে, পাঁচটি সিরিজে ভাগ হয়ে অনুষ্ঠিত হবে। প্রতিটি সিরিজেই থাকবে দুটি করে টেস্ট।
২০২৬ সালের মার্চে ঘরের মাঠে পাকিস্তানের বিপক্ষে শুরু হবে টাইগারদের দ্বিতীয় সিরিজ। এরপর আগস্টে দীর্ঘ ২৩ বছর পর সফর করবে অস্ট্রেলিয়ায়—যেখানে এখনো টেস্ট খেলেননি সাকিব, মুশফিক কিংবা তামিম।
২০২৬ সালের অক্টোবরে ঘরের মাঠে খেলবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে, আর নভেম্বরে সফর করবে দক্ষিণ আফ্রিকায়। বাংলাদেশের টেস্ট চক্র শেষ হবে ২০২৭ সালের ফেব্রুয়ারিতে, ঘরের মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সিরিজ দিয়ে। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটি হবে ৯ বছর পর প্রথম টেস্ট সিরিজ।
উৎসাহজনক খবর হলো—২০২৫-২৭ চক্রে বাংলাদেশ যেসব দলের বিপক্ষে খেলবে, তাদের মধ্যে চার দলের বিপক্ষেই সর্বশেষ সিরিজে হারেনি টাইগাররা। অস্ট্রেলিয়া, ইংল্যান্ড ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের সঙ্গে সিরিজ ড্র এবং পাকিস্তানকে করেছে হোয়াইটওয়াশ।
এবারের চক্রে সবচেয়ে বেশি ২২টি ম্যাচ খেলবে অস্ট্রেলিয়া, আর ইংল্যান্ড খেলবে ২১টি। প্রথম তিন আসরের ফাইনাল হয়েছিল ইংল্যান্ডে—সাউদাম্পটন, ওভাল ও সর্বশেষ লর্ডসে। এবারও একই ধারাবাহিকতা রাখার সম্ভাবনা রয়েছে, যদিও ভারতও আয়োজক হতে আগ্রহী। তবুও যুক্তরাজ্যের টেলিগ্রাফের মতে, পরবর্তী তিন আসরও ইংল্যান্ডেই আয়োজন করবে আইসিসি।