ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ১৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫ , ৩ আশ্বিন ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কলকাতায় বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড বাধ্যতামূলক করা হলো দিশা পাটানির বাড়িতে গুলি: অভিযুক্তরা ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত সানসিল্ক-এর আমন্ত্রণে ঢাকায় আসছেন পাকিস্তানি তারকা হানিয়া আমির বরফ গলছে যুক্তরাষ্ট্র-ভারত সম্পর্কের, দিল্লিতে বৈঠক টিকটক চালু থাকছে যুক্তরাষ্ট্রে, ওয়াশিংটন-বেইজিংয়ের চুক্তি ঝুঁকি মোকাবিলায় প্রস্তুতি নিতে হবে: তারেক রহমান রোজার আগেই নির্বাচন: প্রধান উপদেষ্টা জাতিসংঘের র‌্যাংকিংয়ে জার্মানিকে সরিয়ে শীর্ষ ১০ উদ্ভাবনী দেশের তালিকায় চীন তুরস্ক, সিরিয়া ও কাতার ‘শয়তানের নতুন অক্ষ’: ইসরাইলি মন্ত্রী ৮ দিন বন্ধ থাকবে ঢাকায় চীনের ভিসা অফিস মাঝ আকাশে বিমানযাত্রীকে বাঁচালেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী গাজায় ইসরায়েলি আগ্রাসনের প্রতিবাদে ইয়েমেনে বিক্ষোভ নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রীর স্বামী বিমান ছিনতাই করেছিলেন শ্রমিকদের অধিকার নিশ্চিতে নতুন সংবিধানের দাবি এনসিপি’র দুপুরে জানা যাবে জাকসু নির্বাচনের ফল পিত্তথলিতে পাথর কেন হয়, কারা বেশি ঝুঁকিতে? লন্ডনে বিবিসির সাবেক সদরদপ্তরে ভয়াবহ আগুন ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ২ মৃত্যু, হাসপাতালে ৩৬৪ সবাইকে ঘুমের ওষুধ খাইয়ে একই ‘প্রেমিকের’ সঙ্গে পালালেন দুই জা খাদ্য, পানি, বায়ু ও প্রকৃতি সুরক্ষায় বিনিয়োগ বাড়াতে হবে : রিজওয়ানা হাসান

৫ রাজাকারকে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই

  • আপলোড সময় : ১৭-০৬-২০২৫ ০৫:৪০:৩৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৬-২০২৫ ০৫:৪০:৩৭ অপরাহ্ন
৫ রাজাকারকে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই
মহীয়সী নারী মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই।

বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া গ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ।

সখিনা বেগম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এক সাহসী নারী যোদ্ধা, যিনি নিজ হাতে ধারালো দা দিয়ে নিকলীতে পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন। সেই দা বর্তমানে সংরক্ষিত আছে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।

সখিনার জন্ম কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে। তার পিতার নাম সোনাফর মিয়া, মাতার নাম দুঃখী বিবি। স্বামী কিতাব আলী মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান এবং তিনি নিঃসন্তান ছিলেন।

যুদ্ধে সখিনার ভাগনে মতিউর রহমান শহীদ হন, যার প্রতিশোধ নিতে সখিনা সশস্ত্র প্রতিরোধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন, একই সঙ্গে গুপ্তচর হিসেবে রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনাদের গতিবিধির খবর দিতেন। একসময় ধরা পড়েন এবং সেখান থেকেও পালিয়ে আসেন।

সখিনা বেগম প্রায় ৪০ বছর ধরে তার ভাগ্নি ফাইরুন্নেছা আক্তারের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। এলাকাবাসী জানায়, ছোটবেলা থেকেই তারা তার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা শুনেছেন। তিনি একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

তার এই বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস জাতির জন্য গর্ব এবং অনুপ্রেরণা। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কমেন্ট বক্স
কলকাতায় বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড বাধ্যতামূলক করা হলো

কলকাতায় বাংলায় লেখা সাইনবোর্ড বাধ্যতামূলক করা হলো