ঢাকা , শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫ , ১৮ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
কর্মীদের অতিরিক্ত চাপ দিলে কি অফিস লাভবান হয়, নাকি ক্ষতিগ্রস্ত? গণঅভ্যুত্থানের বার্তা নিয়ে সোহরাওয়ার্দীতে ৪ দিনের সাংস্কৃতিক উৎসব সর্দি-কাশি কমাতে উপকারী ৫ পানীয় যেভাবে হত্যা করা হয় বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত পুলিশ কর্মকর্তা দিদারুল ইসলামকে ফার্মগেটে এক্সপ্রেসওয়ের র‍্যাম্পের নিচে ঢুকে পিলারের সঙ্গে বাসের ধাক্কা, আহত ১ ২৭ দিনেই এলো ২৫ হাজার কোটি টাকার বেশি রেমিট্যান্স পুলিশের ৪ ডিআইজিকে বাধ্যতামূলক অবসর লালমনিরহাটে দুই ট্রেনের সংঘর্ষ জামায়াত আমিরের সঙ্গে দক্ষিণ কোরিয়ার রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ ভোটের আনুপাতে হতে হবে সংসদের উচ্চ কক্ষ: নাহিদ ঐকমত্য কমিশনের বৈঠক: ওয়াকআউটের পর আবারো যোগ দিলো বিএনপি স্টেট ইউনিভার্সিটি জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাইয়ুম, সম্পাদক ফারদিন সন্ধ্যার মধ্যে যেসব অঞ্চলে ঝড়-বৃষ্টির আভাস চার সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে নিয়োগের আলোচনা থেকে ওয়াক আউট বিএনপির গাজায় যুদ্ধবিরতি ও মানবিক সহায়তার দাবিতে ফ্রান্স-মালয়েশিয়ার জোরালো আহ্বান আইন উপদেষ্টার প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল চাঁদপুরে মেঘনা থেকে অজ্ঞাতনামা নারীর মরদেহ উদ্ধার হোয়াইট হাউসের সভা থেকে বের করে দেওয়া হলো জাকারবার্গকে দেশে নারী ও শিশু নির্যাতনের ঘটনা মহামারির পর্যায়ে: উপদেষ্টা শারমীন মুরশিদ বরখাস্ত হওয়া থাই প্রধানমন্ত্রী পেলেন সংস্কৃতি মন্ত্রীর দায়িত্ব

৫ রাজাকারকে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই

  • আপলোড সময় : ১৭-০৬-২০২৫ ০৫:৪০:৩৭ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৭-০৬-২০২৫ ০৫:৪০:৩৭ অপরাহ্ন
৫ রাজাকারকে হত্যা করা বীর মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই
মহীয়সী নারী মুক্তিযোদ্ধা সখিনা বেগম আর নেই।

বার্ধক্যজনিত কারণে তিনি মঙ্গলবার (১৭ জুন) ভোরে কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর উপজেলার হিলচিয়া ইউনিয়নের বড়মাইপাড়া গ্রামে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৯৩ বছর। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন হিলচিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাজহারুল হক নাহিদ।

সখিনা বেগম ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে অংশ নেওয়া এক সাহসী নারী যোদ্ধা, যিনি নিজ হাতে ধারালো দা দিয়ে নিকলীতে পাঁচ রাজাকারকে কুপিয়ে হত্যা করেছিলেন। সেই দা বর্তমানে সংরক্ষিত আছে ঢাকার মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরে।

সখিনার জন্ম কিশোরগঞ্জের হাওরাঞ্চল নিকলী উপজেলার গুরুই গ্রামে। তার পিতার নাম সোনাফর মিয়া, মাতার নাম দুঃখী বিবি। স্বামী কিতাব আলী মুক্তিযুদ্ধের আগেই মারা যান এবং তিনি নিঃসন্তান ছিলেন।

যুদ্ধে সখিনার ভাগনে মতিউর রহমান শহীদ হন, যার প্রতিশোধ নিতে সখিনা সশস্ত্র প্রতিরোধে অংশ নেন। তিনি মুক্তিযোদ্ধাদের ক্যাম্পে রাঁধুনির কাজ করতেন, একই সঙ্গে গুপ্তচর হিসেবে রাজাকার ও পাকিস্তানি সেনাদের গতিবিধির খবর দিতেন। একসময় ধরা পড়েন এবং সেখান থেকেও পালিয়ে আসেন।

সখিনা বেগম প্রায় ৪০ বছর ধরে তার ভাগ্নি ফাইরুন্নেছা আক্তারের বাড়িতে বসবাস করছিলেন। এলাকাবাসী জানায়, ছোটবেলা থেকেই তারা তার কাছ থেকে মুক্তিযুদ্ধের নানা ঘটনা শুনেছেন। তিনি একজন খেতাবপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা।

তার এই বীরত্বপূর্ণ ইতিহাস জাতির জন্য গর্ব এবং অনুপ্রেরণা। রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় তার অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা।

কমেন্ট বক্স
কর্মীদের অতিরিক্ত চাপ দিলে কি অফিস লাভবান হয়, নাকি ক্ষতিগ্রস্ত?

কর্মীদের অতিরিক্ত চাপ দিলে কি অফিস লাভবান হয়, নাকি ক্ষতিগ্রস্ত?