বিএনপির সালাহউদ্দিন আহমদ বলছেন, পোস্টার বন্ধ করার উদ্যোগ ইতিবাচক হলেও বিলবোর্ড ও ব্যানার প্রচারণা ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় ছোট ও নতুন দলগুলো সমান সুযোগ পাবে না। জামায়াতের হামিদুর রহমান আজাদ বলেন, পোস্টার প্রচারণা উৎসবের অংশ, বিকল্প নিয়ে আলোচনা করলে আপত্তি নেই। এনসিপির আরিফুল ইসলাম আদীব মনে করেন, বিলবোর্ড বেশি ব্যয়সাপেক্ষ হওয়ায় বড় দলই বেশি সুবিধা পাবে।
নির্বাচন কমিশনের খসড়ায় প্রস্তাব রয়েছে:
- পোস্টার প্রচার বন্ধ
- দলীয় অঙ্গীকারনামা বাধ্যতামূলক
- একই প্ল্যাটফর্মে সব প্রার্থীর ইশতেহার
- সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার, তবে বিদেশি বিনিয়োগ নিষেধ
- প্রচার-অপচারে জরিমানা বাড়িয়ে দেড় লাখ টাকা
- মাইক ব্যবহার সীমাবদ্ধ (৬০ ডেসিবেল)
- আর্মস, টি-শার্ট, জ্যাকেটে প্রচার বিধি নির্ধারণ
- প্রার্থিতা বাতিলের কঠোর বিধান
সিপিবির রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, পোস্টার বন্ধ করে ব্যয়বৃদ্ধি হলে টাকার খেলা কমবে না যতক্ষণ নির্বাচন কমিশন সমানভাবে ব্যয়ভার বহন করবে না। বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক বলেন, প্রস্তাব চূড়ান্তের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর মতামত নেওয়া প্রয়োজন।
নির্বাচন কমিশন গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশ সংশোধনের পর আচরণবিধি চূড়ান্ত করবে বলে জানিয়েছে। সব পক্ষের সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে নতুন বিধিমালা প্রণয়ন করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।