ক্যানটিন পরিচালনা নিয়ে সচিবালয়ে কর্মচারীদের দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে আহত হয়েছেন কয়েকজন।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে সংঘর্ষের পর বুধবার (২৫ জুন) সকাল থেকে বাংলাদেশ সচিবালয় বহুমুখী সমবায় সমিতি লিমিটেড পরিচালিত ক্যানটিন ও ওএমএসের দোকানগুলো বন্ধ রয়েছে।
সূত্র জানায়, সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সংগঠন ‘বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ’ দুই ভাগে বিভক্ত। একপক্ষে আছেন মো. বাদিউল কবীর ও নিজাম উদ্দিন আহমেদ, অন্য পক্ষে মো. নূরুল ইসলাম ও মুজাহিদুল ইসলাম সেলিম।
জানা গেছে, গণঅভ্যুত্থানে সরকার পতনের পর কর্মচারী সংগঠনের একটি পক্ষ ক্যানটিনের দখল নেওয়ার চেষ্টা করে। তবে বর্তমান দায়িত্বে থাকা সমবায় সমিতি নির্ধারিত মেয়াদ পর্যন্ত পরিচালনার পক্ষে অবস্থান নেয়। এ নিয়ে সমবায় অধিদপ্তর অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থাপনা কমিটি গঠন করে। তবে তার আগেই এক পক্ষ ক্যানটিন দখলে নেয়।
পরে সমবায় সমিতির আগের কমিটি দায়িত্ব হস্তান্তর করে এবং উচ্চ আদালতে রিট করে। আদালত অন্তর্বর্তীকালীন কমিটির কার্যক্রমে স্থগিতাদেশ দেয়। এই রায় ঘিরেই মঙ্গলবার রাতে সংঘর্ষ ঘটে।
নূরুল ইসলাম গ্রুপের অভিযোগ, আদালতের রায় জানাতে গেলে বাদিউল গ্রুপ হামলা চালায়। অন্যদিকে বাদিউল গ্রুপের দাবি, নূরুল ইসলাম গ্রুপ আদালতের রায় উপেক্ষা করে জোর করে ক্যানটিন চালাতে চাইছিল।
ঘটনার পর পদ্মা ক্যানটিন, ২ নম্বর ক্যানটিন, মিল্ক ভিটার দোকানসহ সচিবালয়ের সব দোকান-ক্যানটিন বন্ধ রয়েছে। ৪ নম্বর ভবন ও আশপাশের এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশ।
ঘটনার পর বাদিউল কবীর বিকেলে সংবাদ সম্মেলনের ঘোষণা দিয়েছেন।