ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪ , ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
যুক্তরাষ্ট্রে অভিযোগের পর আদানি গ্রুপের শেয়ারে ধস ব্যারিস্টার সুমনকে লক্ষ্য করে ডিম নিক্ষেপ লিখে রাখেন, আমি আবারও এমপি-মন্ত্রী হবো : শাহজাহান ওমর আইজিপি হিসেবে দায়িত্ব নিলেন বাহারুল আলম মূল সড়কে না হলেও অলিগলিতে চলার অনুমতি চান অটোরিকশা চালকরা নতুন সিইসি হলেন সাবেক সচিব নাসির উদ্দীন নির্বাচন কমিশনার হলেন যারা বার্সার প্রস্তাব পেয়েও যে কারণে যোগ দেননি বুফন মারা গেছেন সাবেক ব্রিটিশ উপ-প্রধানমন্ত্রী জন প্রেসকট রিকশাচালকদের হটালো সেনাবাহিনী, যানচলাচল শুরু রামপুরায় অনিয়ম রোধে রেলে যুক্ত হলো ৫ নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ল্যান্ডমাইন বিস্ফোরণের প্রাণহানিতে শীর্ষে মিয়ানমার সায়ানাইড দিয়ে বন্ধুদের হত্যার দায়ে এক নারীর মৃত্যুদণ্ড মামলা করতে গিয়ে গ্রেপ্তার সাবেক এমপি শাহজাহান ওমর সিরিয়ায় ইসরায়েলের বিমান হামলায় কমপক্ষে নিহত ৩৬ আপত্তিকর ভিডিও ধারণের অভিযোগ তিশার সুযোগ পেলে শেখ হাসিনার পক্ষে লড়াইয়ের ঘোষণা দিয়েছেন জেড আই খান পান্না মির্জা ফখরুলের সাথে বৈঠকে ভুটানের রাষ্ট্রদূত ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা ৬ মামলা বাতিল শেখ হাসিনা এখনো বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী, এ কথা বলেননি ট্রাম্প

দুই মাসে ঘর থেকে ব্যাংকে ফিরেছে ১৪ হাজার কোটি টাকা

  • আপলোড সময় : ১২-১১-২০২৪ ০২:৫৩:৪৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১২-১১-২০২৪ ০২:৫৩:৪৩ অপরাহ্ন
দুই মাসে ঘর থেকে ব্যাংকে ফিরেছে ১৪ হাজার কোটি টাকা
গত বছর নভেম্বর থেকে ব্যাংক থেকে টাকা তুলে নিজেদের কাছে রাখার প্রবণতা বৃদ্ধি পায়, যা ব্যাংকগুলোর ওপর বাড়তি চাপ তৈরি করেছিল। তবে ১০ মাস পর এখন ঘরে রাখা সেই টাকা ব্যাংকে ফিরতে শুরু করেছে। সেপ্টেম্বর-অক্টোবর দুই মাসে ১৪ হাজার কোটি টাকার বেশি জমা পড়েছে ব্যাংকে। বাংলাদেশ ব্যাংকের হালনাগাদ প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ব্যাংক থেকে টাকা তোলার প্রবণতা ছিল কিছু কারণে—যেমন উচ্চ মূল্যস্ফীতি, নির্বাচনকেন্দ্রিক অনিশ্চয়তা, দুই ঈদের অতিরিক্ত খরচ, ব্যাংক মার্জের খবর, এবং জুলাই-আগস্টের আন্দোলনের প্রভাব। এই পরিস্থিতিতে মানুষ টাকা ব্যাংক থেকে তুলে নিজেদের কাছে রাখে। তবে বর্তমানে দেশের রাজনৈতিক এবং অর্থনৈতিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল হওয়ায়, মানুষের আস্থা ফিরে এসেছে ব্যাংক খাতে এবং ফলে টাকা ব্যাংকে ফিরে আসছে।

বাংলাদেশ ব্যাংকের প্রতিবেদন অনুযায়ী, অক্টোবর শেষে ছাপানো টাকার পরিমাণ ছিল তিন লাখ ৫২ হাজার ৮৯৫ কোটি টাকা, যার মধ্যে ৫১ হাজার ৮১৪ কোটি টাকা কেন্দ্রীয় ও সোনালী ব্যাংকের চেস্ট শাখায় ছিল এবং ২১ হাজার ৭৩৭ কোটি টাকা ব্যাংকগুলোর ভল্টে। অক্টোবরের শেষে, মানুষের হাতে থাকা টাকা ছিল দুই লাখ ৭৯ হাজার ৩৪৪ কোটি টাকা। এটি গত আগস্টে মানুষের হাতে থাকা টাকার চেয়ে প্রায় ১৪ হাজার কোটি টাকা কম, যা বোঝায় যে মানুষ টাকা ব্যাংকে জমা করছে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের মুখপাত্র হুসনে আরা শিখা বলেন, "সরকার পতনের পর ব্যাংকের বাইরে নগদ টাকা বেড়ে গিয়েছিল, তবে তা কমে এখন মানুষের হাতে থাকা টাকা ব্যাংকে ফিরে এসেছে, যা ব্যাংক খাতে মানুষের আস্থা ফেরানোর লক্ষণ।" 

এছাড়া, বেসরকারি ব্যাংকগুলোর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জানান, দুর্বল ব্যাংকগুলোর জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের তারল্য সহায়তার ফলে গ্রাহকদের আস্থা কিছুটা ফিরেছে, এবং দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতেও ভালো ব্যাংকগুলোর ডিপোজিট বৃদ্ধি পেয়েছে।

কমেন্ট বক্স