ইসরায়েলের সঙ্গে টানা ১২ দিনের যুদ্ধের অবসানের পর প্রথমবারের মতো জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়েছেন ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি। বৃহস্পতিবার দেওয়া এই ভাষণে তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র সরাসরি ইরান-ইসরায়েল যুদ্ধে সম্পৃক্ত হয়েছে। তাদের ধারণা ছিল, এমন না হলে ইহুদিবাদী রাষ্ট্র ইসরায়েল পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে যাবে।
ভাষণের আগে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার)-এ দেওয়া এক বার্তায় খামেনি বলেন, এই যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র কোনো সফলতা অর্জন করতে পারেনি। বরং ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান বিজয় অর্জন করেছে এবং যুক্তরাষ্ট্রের মুখে এক "কঠিন থাপ্পড়" মেরেছে।
ইংরেজিতে প্রকাশিত বার্তায় তিনি বলেন, “আমেরিকার মুখে এক কঠিন থাপ্পড় মেরেছে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরান।”
তিনি আরও বলেন, “এক সময় ট্রাম্প বলেছিলেন, ইরানকে আত্মসমর্পণ করতে হবে। এ বক্তব্যের মধ্য দিয়েই স্পষ্ট হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র কেবল ইরানের আত্মসমর্পণেই সন্তুষ্ট হতে চায়। কিন্তু ইরান কখনো আত্মসমর্পণ করবে না। আমাদের জাতি শক্তিশালী, আত্মমর্যাদাসম্পন্ন।”
ভবিষ্যতে ইরানের বিরুদ্ধে যেকোনো আগ্রাসনের চেষ্টা করলে তার চড়া মূল্য দিতে হবে—এমন হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন খামেনি। তিনি বলেন, “ইহুদিবাদীরা কখনও কল্পনাও করেনি, তারা ইরানের কাছ থেকে এমন ধাক্কা খাবে। আমাদের সশস্ত্র বাহিনী শত্রুপক্ষের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা অতিক্রম করে তাদের প্রাণকেন্দ্রগুলোতে সুনির্দিষ্ট আঘাত হেনেছে।”
এই ভাষণের মাধ্যমে খামেনি শুধু ইরানি জাতিকে নয়, আন্তর্জাতিক মহলকেও একটি কঠোর বার্তা দিয়েছেন—ইরান কোনো চাপের মুখে মাথা নত করবে না, বরং প্রয়োজন হলে পাল্টা প্রতিরোধ আরও কঠিন হবে।