ইসরায়েলের সঙ্গে ১২ দিনের যুদ্ধে নিহত প্রায় ৬০ জন ইরানি সেনা কমান্ডার, পারমাণবিক বিজ্ঞানী ও নিরাপত্তা কর্মকর্তার রাষ্ট্রীয় জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইরানে। নিহতদের মধ্যে ছিলেন বিপ্লবী গার্ডের শীর্ষ পর্যায়ের কর্মকর্তারাও।
শনিবার (২৮ জুন) স্থানীয় সময় সকালে রাজধানী তেহরানের কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয় এই জানাজা। লাখো মানুষ এতে অংশ নেয়। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে জানাজার অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।
লাইভ টেলিকাস্টে দেখা গেছে, কালো পোশাক পরা শোকপালনকারীরা ইরানের পতাকা উড়িয়ে এবং নিহতদের ছবি হাতে নিয়ে শোক প্রকাশ করছেন।
সকাল ৮টা থেকে জানাজার আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়। তেহরানের কেন্দ্রে ইরানের জাতীয় পতাকায় মোড়ানো কফিনগুলো স্থাপন করা হয়, যেগুলোর গায়ে নিহতদের ইউনিফর্ম পরা প্রতিকৃতি প্রদর্শিত হয়।
গত ১৩ জুন শুরু হওয়া ১২ দিনের যুদ্ধে ইসরায়েল ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র মিলে ইরানের তিনটি পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা চালায়। যুদ্ধবিরতি ঘোষিত হয় ২৪ জুন। উভয় পক্ষই নিজেদের বিজয়ী দাবি করে।
এ বিষয়ে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনি বলেন, ট্রাম্প অযথা ঘটনাগুলো বাড়িয়ে বলেছেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রের সেই দাবি নাকচ করে দেন যে, ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি কয়েক দশক পিছিয়ে গেছে।
নিহতদের মধ্যে ৪ জন নারী ও ৪ জন শিশু রয়েছে। জানাজায় তাদের কফিন আজাদি স্ট্রিট দিয়ে ট্রাকে করে আনা হয়। এ সময় ভিড় করা মানুষজন ‘মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েলের ধ্বংস হোক’ স্লোগান দিতে থাকেন।
যুদ্ধবিরতির পর এই প্রথমবারের মতো এত বড় পরিসরে শীর্ষ কমান্ডারদের জন্য প্রকাশ্যে জানাজা অনুষ্ঠিত হলো। ইরানি রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনের খবরে জানানো হয়, জানাজার দিন সরকারি অফিস বন্ধ রাখা হয়েছিল, যাতে সরকারি কর্মকর্তারাও এতে অংশ নিতে পারেন।