যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প আশা প্রকাশ করেছেন, ‘আগামী সপ্তাহের মধ্যেই গাজায় যুদ্ধবিরতি হতে পারে।’ শুক্রবার (২৭ জুন) হোয়াইট হাউজের ওভাল অফিসে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এ তথ্য জানান।
ট্রাম্প বলেন, গাজায় যুদ্ধবিরতির জন্য যারা কাজ করছেন, তাদের কয়েকজনের সঙ্গে তার কথা হয়েছে। যদিও এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু প্রকাশ করেননি।
এদিকে, দখলদার ইসরায়েলের কৌশলগত বিষয়াবলীর মন্ত্রী রন ডেরমার আগামী সপ্তাহে ওয়াশিংটন সফরে যাচ্ছেন, যেখানে ইরান ও গাজা পরিস্থিতি নিয়ে মার্কিন প্রশাসনের সঙ্গে তার আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে।
সূত্র বলছে, ইরানের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাত শেষ হওয়ার পর গাজায় সামরিক অভিযান বন্ধ করতে ইসরায়েলের ওপর কূটনৈতিক চাপ দিচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। তার লক্ষ্য মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি ফেরানো এবং আব্রাহাম চুক্তির পরিধি আরও বাড়ানো, যাতে আরও আরব দেশ ইসরায়েলের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করে।
এদিকে, মানবিক সহায়তার অংশ হিসেবে গাজায় ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন’কে ৩০ মিলিয়ন ডলার সহায়তা দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। এই সহায়তার বিষয়টিও ট্রাম্প নিজেই নিশ্চিত করেন।
ট্রাম্প বলেন, “গাজায় ভয়াবহ অবস্থা চলছে এবং আমরা সেখানে অনেক অর্থ এবং খাদ্য সহায়তা দিচ্ছি। কারণ আমাদের দিতে হবে। আমরা এই সংঘাতের সঙ্গে জড়িত নই। কিন্তু আবার জড়িতও, কারণ সেখানে অনেক মানুষ মারা যাচ্ছে (যাদের আমাদের বাঁচাতে হবে)।’’
তবে বিতর্কিত এই ফাউন্ডেশনের কার্যক্রম ঘিরে ব্যাপক প্রশ্ন তুলেছেন মানবাধিকারকর্মীরা। জানা গেছে, সেখানে খাবার আনতে গিয়ে ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে সাড়ে পাঁচ শতাধিক ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন আরও চার হাজারের বেশি।
ট্রাম্প স্বীকার করেছেন, ‘কিছু খারাপ মানুষ’ গাজার ত্রাণ লুটপাট করছে, তবে ‘গাজা মানবিক ফাউন্ডেশন’ ভালো কাজ করছে’—এই দাবি করেন তিনি।