৪৭৭টি ড্রোন ও ৬০টি মিসাইল দিয়ে ইউক্রেনে বড় ধরনের হামলা চালিয়েছে রাশিয়া। রোববার (২৯ জুন) মধ্যরাতে এই হামলা চালানো হয়। এতে অন্তত ছয়জন আহত হয়েছেন, যাদের মধ্যে একজন শিশু রয়েছে।
ইউক্রেনের বিমানবাহিনী জানিয়েছে, হামলায় ব্যবহৃত ২৪৯টি ড্রোন ও মিসাইল ভূপাতিত করা হয়েছে, তবে ২২৬টি ড্রোন ও মিসাইল নিখোঁজ রয়েছে। ধারণা করা হচ্ছে, ইলেকট্রিক জ্যামার ব্যবহার করে সেগুলোর কার্যকারিতা নষ্ট করা হয়েছে।
এক্সে এক পোস্টে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, “যেখানেই জীবনের চিহ্ন আছে, সেখানেই রাশিয়া হামলা চালিয়েছে।” তার মতে, এই হামলা তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধের অবসান ঘটার আশাকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছে।
জেলেনস্কি আরও জানান, হামলায় বসতবাড়ি ও অন্যান্য স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এ হামলা প্রতিহত করতে গিয়ে ইউক্রেন তাদের আরেকটি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান হারিয়েছে, যেটি ছিল পশ্চিমাদের কাছ থেকে পাওয়া তিনটির মধ্যে একটি। বিমানের পাইলটও নিহত হয়েছেন বলে তিনি নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, “যতক্ষণ রাশিয়ার হামলার সক্ষমতা থাকবে, ততক্ষণ তারা হামলা চালাবে। বিশ্ব শান্তির আহ্বান জানালেও পুতিন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এই যুদ্ধ থামাতে হবে। আগ্রাসনকারীদের ওপর চাপ প্রয়োগ করা প্রয়োজন। একই সঙ্গে দরকার শক্তিশালী নিরাপত্তা।”
তিনি আরও যোগ করেন, “ব্যালিস্টিক ও অন্যান্য মিসাইল, ড্রোন এবং সন্ত্রাস থেকে রক্ষার জন্য আমাদের মার্কিন প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা প্রয়োজন। ইউক্রেন সেই প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনতে প্রস্তুত।”
ইউক্রেনের বিমানবাহিনীর যোগাযোগ বিভাগের প্রধান ইউরি ইনহাত বলেন, এটি ইউক্রেনের ওপর রাশিয়ার সবচেয়ে বড় হামলা ছিল। এতে একাধিক ধরনের ড্রোন ও মিসাইল ব্যবহৃত হয়েছে।