ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। যৌন হয়রানি ও সমকামিতাসহ একাধিক অভিযোগের প্রেক্ষিতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
সোমবার (৩০ জুন) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক মনজুরুল হকের স্বাক্ষরিত অফিস আদেশে বলা হয়, গত ৩১ মে অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভার সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কর্মচারী দক্ষতা ও শৃঙ্খলা বিধির ৪(১)(F) ধারায় হাফিজুল ইসলামের কর্মকাণ্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা পরিপন্থি বিবেচিত হওয়ায় তাকে চাকরি থেকে অপসারণ করা হয়েছে।
এর আগে, গত বছরের ডিসেম্বরে শিক্ষার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে গঠিত তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের আলোকে, ২২ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিত সিন্ডিকেট সভায় হাফিজুল ইসলামকে এক বছরের বাধ্যতামূলক ছুটি ও বাৎসরিক ইনক্রিমেন্ট বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারিতে পুনরায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। তদন্ত শেষে ৩১ মে সিন্ডিকেট চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়।
ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ ক্লাবের সভাপতি বোরহান উদ্দীন বলেন, ‘প্রথমে প্রশাসন তেমন কার্যকরী পদক্ষেপ নেয়নি। তবে এখন স্থায়ীভাবে বহিষ্কারের ফলে আমরা সন্তুষ্ট। এটি আমাদের দীর্ঘ আন্দোলনের ফসল। আমরা চাই, ক্যাম্পাসে যেসব শিক্ষক শৃঙ্খলা ভঙ্গ করেছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’
এ বিষয়ে হাফিজুল ইসলামের প্রতিক্রিয়া জানতে ফোন করা হলেও তিনি রিসিভ করেননি।
উল্লেখ্য, গত বছর অক্টোবর মাসে তার বিরুদ্ধে ২৭ দফা অভিযোগ তুলে শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ করেন। অভিযোগগুলোর মধ্যে যৌন হয়রানি, সমকামিতা, শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন, ও শিক্ষার্থী হেনস্তার মতো গুরুতর বিষয় ছিল। সেসময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফটক অবরোধ করে প্রতিবাদ জানায় এবং তার অপসারণের দাবি তোলে।