থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর পদ সাময়িকভাবে স্থগিত হওয়ায় দায়িত্ব পান উপপ্রধানমন্ত্রী ও যোগাযোগমন্ত্রী সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত। তবে মাত্র একদিনের জন্যই এই দায়িত্ব পালন করছেন তিনি। বুধবারই শেষ হচ্ছে তার প্রধানমন্ত্রীত্বের মেয়াদ।
দায়িত্ব নেওয়ার পর সুরিয়া ব্যাংককে আয়োজিত একটি অনুষ্ঠানে অংশ নেন। প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ৯৩তম বার্ষিকী উপলক্ষে ওই অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তবে যে কার্যালয়ের দায়িত্বে তিনি, সেটির ৯৩ বছর পূর্তি হলেও তিনি থাকছেন না ৯৩ ঘণ্টাও।
সাংবাদিকরা সংক্ষিপ্ত এই দায়িত্ব নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে প্রশ্ন এড়িয়ে যান সুরিয়া। তবে জানান, তার সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে একটি কাগজে স্বাক্ষর, যার মাধ্যমে বৃহস্পতিবার নতুন প্রধানমন্ত্রীর কাছে দায়িত্ব হস্তান্তর করবেন তিনি।
দীর্ঘ এক দশক থাই রাজনীতিতে সক্রিয় সুরিয়া জুংরুংরুয়াংকিত পরিচিত একজন অভিজ্ঞ এবং সুযোগসন্ধানী রাজনীতিক হিসেবে। ক্ষমতাসীন দলের আনুগত্য প্রকাশে কখনও পিছপা হননি বলেও গণমাধ্যমে তার পরিচিতি।
থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত জানায়, কম্বোডিয়ার সঙ্গে কূটনৈতিক টানাপোড়েনে নৈতিকতা লঙ্ঘনের অভিযোগে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রার বিরুদ্ধে যথেষ্ট ভিত্তি রয়েছে। এ কারণেই তার দায়িত্ব সাময়িকভাবে স্থগিত করা হয়েছে।
থাই গণমাধ্যম ও এনডিটিভির তথ্য অনুযায়ী, একটি ফোনালাপ ফাঁস হওয়ার পর পেতংতার্নের বিরুদ্ধে জনমনে ক্ষোভ তৈরি হয়। সেখানে তিনি কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে ‘চাচা’ সম্বোধন করেন এবং এক থাই সামরিক কর্মকর্তার সমালোচনা করেন। এরপর থেকেই তার পদত্যাগের দাবি জোরালো হয়।
সুরিয়ার স্বল্পমেয়াদি মেয়াদ শেষে আগামীকাল বৃহস্পতিবার প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নেবেন বর্তমান স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ফুমথাম উইচায়াচাই। ক্ষমতাসীন ফেউ থাই পার্টি জানিয়েছে, তিনি সহকারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করবেন, যা পদমর্যাদায় উপপ্রধানমন্ত্রীর চেয়ে উঁচু।
সুরিয়া তার ‘এক দিনের’ দায়িত্বে কেবল আনুষ্ঠানিকতা পূরণ করবেন, নাকি রেখে যাবেন কোনো চমক—সে উত্তর সময়ই বলে দেবে।