পাকিস্তান সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল আসিম মুনির প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারিকে সরিয়ে দেওয়ার সব গুঞ্জনকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, এমন খবর সরকার ও রাষ্ট্রের বিরোধীদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচারণা ছাড়া কিছু নয়। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য ডনের প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়। গত জুলাইয়ে পাকিস্তানের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খবর ছড়ায়, প্রেসিডেন্ট জারদারিকে পদত্যাগ করতে বলা হতে পারে এবং সেনাপ্রধানই দেশের সর্বোচ্চ পদে বসতে পারেন। তবে প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মোহসিন নাকভি দ্রুতই এসব দাবি প্রত্যাখ্যান করেন।উর্দু ভাষার সংবাদপত্র ডেইলি জংয়ের কলাম লেখক সুহাইল ওয়ারাইচ শনিবার প্রকাশিত এক নিবন্ধে দাবি করেন, সম্প্রতি ব্রাসেলসে এক বৈঠকে সেনাপ্রধান নিজেই তাঁকে বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর গুঞ্জন সম্পূর্ণ মিথ্যা।
যুক্তরাষ্ট্র সফর শেষে বেলজিয়ামে অল্প সময় অবস্থান করেন জেনারেল মুনির। সেখানে আলোচনার প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, পাকিস্তানের প্রেসিডেন্ট কিংবা প্রধানমন্ত্রীকে সরানোর চেষ্টা চলছে—এমন কথা সম্পূর্ণ ভুয়া। যারা এসব ছড়াচ্ছে তারা সরকারবিরোধী। রাজনৈতিক অরাজকতা সৃষ্টিই তাদের লক্ষ্য।নিবন্ধে আরও বলা হয়, ‘ব্রাসেলসের বৈঠকে মুনির জানান—আল্লাহ আমাকে দেশের রক্ষক বানিয়েছেন। আমি অন্য কোনো পদ চাই না।’রাজনীতি প্রসঙ্গে সেনাপ্রধান মন্তব্য করেন, রাজনৈতিক পুনর্মিলন তখনই সম্ভব, যখন আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাওয়া হবে। যদিও তিনি কার উদ্দেশে বলেছেন তা স্পষ্ট নয়, তবে ধারণা করা হচ্ছে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) ও কারাবন্দী নেতা ইমরান খানকেই ইঙ্গিত করেছেন।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক নিয়ে মুনির বলেন, ‘আমেরিকা ও চীনের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখাই হবে পাকিস্তানের লক্ষ্য। আমরা এক বন্ধুকে অন্য বন্ধুর জন্য উৎসর্গ করব না।’এ ছাড়া তিনি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের শান্তি প্রচেষ্টাকে ‘সত্যিকারের’ বলে উল্লেখ করেন এবং জানান, নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য ট্রাম্পকে মনোনয়ন দেওয়ার ক্ষেত্রে পাকিস্তানই প্রথম উদ্যোগ নেয়, পরে অন্য দেশগুলোও এতে সায় দেয়।