নেপালের নতুন প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন সুশীলা কার্কি। তিনি দেশটির সাবেক প্রধান বিচারপতি ছিলেন। প্রধান বিচারপতি থাকাকালীন দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করায় সবার মাঝে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তিনি। ২০১৬ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত মাত্র এক বছর দেশের সর্বোচ্চ আইন কর্মকর্তা ছিলেন সুশীলা।গত মঙ্গলবার কেপি শর্মা অলি প্রধানমন্ত্রিত্ব ছাড়ার পর সুশীলা কার্কির নাম শোনা যাচ্ছিল। এরপর থেকে তার জানা-অজানা বিভিন্ন তথ্যও বের হতে শুরু করে।এরমধ্যে বেরিয়ে এসেছে তার স্বামী দুর্গা প্রসাদ সুবেদী ১৯৭৩ সালে এক বিমান ছিনতাইয়ের ঘটনার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। দুর্গা প্রসাদ নেপালি কংগ্রেসের তরুণ নেতা ছিলেন। তারা ওই সময় রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াই করতেন।
আর রাজতন্ত্রের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য তাদের অর্থ প্রয়োজন ছিল। এ কারণে বিমান ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা করেন তারা। সংবাদমাধ্যম নিউজ-১৮ জানিয়েছে, ১৯৭৩ সালের ১০ জুন রয়্যাল নেপাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান বিরাটনগর থেকে কাঠমান্ডুতে আসছিল। ওই বিমানে ভারতীয় বিখ্যাত অভিনেত্রী মালা সিনহাসহ ১৯ জন যাত্রী ছিলেন। বিমান মাঝআকাশে ওঠার পর সুশীলা কার্কির স্বামী পাইলটের মাথায় পিস্তল ধরেন এবং বিমানটি ভারতের বিহারে নিয়ে যেতে বলেন।
বিমানটিতে নেপালের সরকারি ব্যাংকের প্রায় ৪০ লাখ রুপি ছিল ।বিমানটি তিনি বিহারের ফোরবেসগঞ্জে অবতরণে বাধ্য করেন। এরপর বিমান থেকে ৪০ লাখ রুপি নামিয়ে সেগুলো গাড়ি দিয়ে দার্জিলিংয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেই অর্থ নেওয়া হয় নেপালে।দুর্গা প্রসাদ ও তার সহযোগীদের পরবর্তীতে মুম্বাই থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭৫ সালের জরুরি অবস্থার সময় তাদের ছেড়ে দেওয়া হয়।বিমান ছিনতাই করে অর্থ নেওয়ার পুরো পরিকল্পনাটি সাজান নেপালি কংগ্রেসের তৎকালীন প্রভাবশালী নেতা গিরিজা প্রসাদ কৈরালা। তিনি পরবর্তীতে নেপালের প্রথম গণতান্ত্রিক উপায়ে নির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী হন। সবমিলিয়ে চারবার নেপালের প্রধানমন্ত্রী হন তিনি।
ভারতের বেনারস বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সময় দুর্গা প্রসাদের সঙ্গে সুশীলা কার্কির পরিচয় হয়। তাদের ঘরে এক সন্তানও রয়েছে।
সূত্র: নিউজ-১৮