ঢাকা , শনিবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২৫ , ৬ পৌষ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হঠাৎ অসুস্থ বিএনপি মহাসচিব ভেনেজুয়েলায় মাদকবিরোধী অভিযান চালাতে কংগ্রেসের অনুমতির প্রয়োজন নেই: ট্রাম্প ওসমান হাদিকে নিয়ে আপত্তিকর মন্তব্য, চিকিৎসককে অব্যাহতি শহীদ হাদির জানাজা ঘিরে ডিএমপির ৭ নির্দেশনা বাংলাদেশে মার্কিন নাগরিকদের জন্য দূতাবাসের সতর্কতা জারি আমরা এখানে কাঁদতে আসিনি, ফাঁসির দাবি নিয়ে এসেছি-সম্মিলিত নারী প্রয়াস প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার সম্পাদকের সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার ফোনালাপ বুর্জ খলিফায় বজ্রপাত, ভিডিও ভাইরাল হাদির মৃত্যুতে শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা হাদির মাগফেরাত কামনায় শুক্রবার সারাদেশে বিশেষ দোয়া-প্রার্থনার আহ্বান ধর্ম মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক গুম ও হাওর সংক্রান্ত অধ্যাদেশ অনুমোদন ভেনেজুয়েলার ওপর নৌ অবরোধের হুমকির নিন্দা ইরানের গুম ও নির্যাতনের মামলা শেখ হাসিনা ও ১২ সেনা কর্মকর্তার বিচার শুরুর আদেশ স্ত্রীর সঙ্গে ঝামেলা হয়েছে’ বলে গাড়ি ম্যানেজ করেন ফয়সাল মেয়েকে নিয়ে ২৫ ডিসেম্বর সকালে ফিরছেন তারেক রহমান হাসনাতের নির্বাচনী প্রচারণা থেকে দুই ‘সন্দেহভাজন’ আটক উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠক অনুষ্ঠিত যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা যুক্তরাষ্ট্র ছাড়ার কথা ভাবছেন আতঙ্কিত শিক্ষকেরা শেষ স্ট্যাটাসে হাদিকে নিয়ে যা লিখেছিলেন এনসিপির নেত্রী রুমী দ্রুত বিচার আইনের দুই মামলায় বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস-আমানসহ ৪৫ জনকে অব্যাহতি

সুন্দরবনে দুবলারচরে শুরু হয়েছে রাস উৎসব

  • আপলোড সময় : ১৪-১১-২০২৪ ১২:১৩:০৩ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৪-১১-২০২৪ ১২:১৫:৩৫ অপরাহ্ন
সুন্দরবনে দুবলারচরে শুরু হয়েছে  রাস উৎসব
সুন্দরবনের দুবলারচরে তিন দিনব্যাপী রাস উৎসব শুরু হয়েছে। রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ নভেম্বর) থেকে ১৬ নভেম্বর পর্যন্ত এ উৎসব হবে।শুক্লপক্ষের চাঁদের আলোয় শোভিত নীরব সুন্দরবন চরাঞ্চল সরব হয়ে উঠবে পূণ্যার্থীদের পূজা ও আরাধনায়। দুর্গম সাগর-প্রকৃতির অভাবমায় সৌন্দর্যের মাঝে পূর্ণ অর্জন আর সঞ্চার যেন মিলেমিশে একাকার হয়ে যায়। কার্তিক-অগ্রহায়ণে শুক্লপক্ষের ভরাপূর্ণিমা সাগর উছলে ওঠে। চাঁদের আলোয় সাগর-দুহিতা দুবলারচরে আলোর কোল মেতে ওঠে রাস উৎসবে।বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ প্রাচীন সমুদ্র রাস উৎসব সুন্দরবনের সাগরদুহিতা দুবলারচরে অনুষ্ঠিত হয়। রাস উৎসব নিয়ে নানা মত রয়েছে। ধারণা করা হয়, ১৯২৩ সালে ঠাকুর হরিচাঁদের অনুসারি হরিভজন নামে এক সাধু এই উৎসব শুরু করেছিলেন।এই সাধু ২৪ বছরেও বেশি সময় ধরে সুন্দরবনে গাছের ফল-মূল খেয়ে জীবন-যাপন করতেন। তিনি হরিচাঁদ ঠাকুরের স্বপ্নাদৃষ্টি হয়ে পূজা-পর্বনাদি ও অনুষ্ঠান শুরু করেন দুবলারচরে। তারপর থেকে মেলা বসেছে, লোকালয়ে এই মেলা নীল কোমল মেলা নামে পরিচিত।

অন্যমতে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের অবতার শ্রীকৃষ্ণ কোনো এক পূর্ণিমা তিথিতে পাপমোচন এবং পুণ্যলাভে গঙ্গাস্নানের স্বপ্নাদেশ পান। সেই থেকে শুরু হয় রাস উৎসব। আবার কারও কারও মতে শারদীয় দুর্গোৎসবের পর পূর্ণিমা রাতে বৃন্দাবনবাসী গোপীদের সঙ্গে রাস নৃত্যে মেতেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ।বঙ্গোপসাগরের মোহনায় সুন্দরবনের দুবলাচরে ও আলোরকোলে রাস পূর্ণিমায় রাধাকৃষ্ণের পূজা, পুণ্যস্নান অনুষ্ঠিত হবে। এ উপলক্ষে রাস উৎসবে পূর্ণিমা তিথিতে চরে নির্মিত মন্দিরে নামযজ্ঞ, রাধাকৃষ্ণ, কমল কামিনি ও বনবিবির পূজা হবে। অটুট বিশ্বাস আর পূর্ণ ভক্তিতে কমল কামিনীর দর্শন মেলে। পুণ্যার্থীরা কমল কামিনী দর্শনের আশায় নিলকোমলের সাগর মোহনায় সাগর ঢেউয়ে স্নান করেন।রাস পূর্ণিমায় প্রথম আসা সমুদ্র ঢেউকে নিলকোমলের ঢেউ বলা হয়। এই ঢেউয়ে পুণ্যার্থীরা তাদের হাতে ধরে রাখা প্রসাদ উৎসর্গ করে, এরপর স্নান শেষে চলে আসেন। প্রকৃতির অকৃপণ হাতের সৃষ্টি লোনা জলের সাগরের এই রাসমেলায় দূর-দূরান্তে তীর্থযাত্রীদের ঢল নামে।

হিন্দুধর্মাবলম্বী লোকেরা পূর্ণিমার প্রথম প্রহরে সাগর জলে স্নান করে মনোবাসনা পূর্ণ ও পাপমোচন হবে এ বিশ্বাস নিয়ে রাসমেলায় যোগ দিলেও সময়ের ব্যবধানে উৎসব নানা ধর্ম ও বর্ণের মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে। এসময় অসংখ্য বিদেশি পর্যটকদেরও আগমন ঘটে। আবাল বৃদ্ধ বনিতা, নির্বিশেষে সাগর চর এলাকায় উপস্থিতিতে কোলাহল, পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠবে। প্রতি বছর রাস উৎসব মানুষের মিলনমেলায় রূপ নেয়। সাগরপাড়ে দুবলা ও আলোরকোল চর সমূহে অনুষ্ঠিত রাস উৎসব সুন্দরবনের ঐতিহ্যকে আরও সমৃদ্ধ করেছে।পুণ্যস্নানে নিরাপদে যাতায়াতের জন্য দর্শনার্থী ও তীর্থযাত্রীদের জন্য সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগ পাঁচটি পথ নির্ধারণ করেছে। এসব পথে বন বিভাগ, পুলিশ, বিজিবি ও কোস্টগার্ডের টহল দল তীর্থযাত্রী ও দর্শনার্থীদের জানমালের নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত থাকবে।

প্রতিটি অনুমতিপত্রে সিল মেরে পথ-রুট উল্লেখ করা হবে ও যাত্রীরা নির্ধারিত রুটগুলোর মধ্যে পছন্দমতো একটি মাত্র পথ ব্যবহারের সুযোগ পাবেন। ১৫ নভেম্বর দিনের ভাটায় যাত্রা শুরু করতে হবে এবং নৌযানগুলো কেবল দিনের বেলায় চলাচল করতে পারবে।বনবিভাগের চেকিং পয়েন্ট ছাড়া অন্য কোথাও নৌকা, লঞ্চ বা ট্রলার থামানো যাবে না। প্রতিটি ট্রলারের গায়ে রং দিয়ে বিএলসি অথবা সিরিয়াল নম্বর লিখতে হবে। সুন্দরবনের অভ্যন্তরে অবস্থানকালীন সবসময় টোকেন ও টিকেট নিজের সঙ্গে রাখতে হবে। প্রতিটি লঞ্চ, নৌকা ও ট্রলারকে আলোরকোলে স্থাপিত কন্ট্রোল রুমে রিপোর্ট করতে হবে। রাসপূর্ণিমা পুণ্যস্নানের সময় কোনো বিস্ফোরকদ্রব্য, আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার ও বহন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।

কারো কাছে আগ্নেয়াস্ত্র, বিস্ফোরকদ্রব্য, হরিণ মারার ফাঁদ, দড়ি, গাছ কাটার কুড়াল, করাত ইত্যাদি কিছু পাওয়া গেলে তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ট্রলারে কোনো প্লাস্টিকের খাবারের প্লেট বহন করা যাবে না। লঞ্চ, ট্রলার, নৌকায় এবং পুণ্যস্নান স্থালে মাইক বাজানো, পটকা, বাজি ফোটানোসহ কোনো প্রকার শব্দ দূষণ করা যাবে না। রাস পূর্ণিমায় আগত পুণ্যার্থীদের সুন্দরবনে প্রবেশের সময় জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানের থেকে প্রাপ্ত নাগরিকত্বের সনদপত্রের মূলকপি সাথে রাখতে হবে।

সুন্দরবন পশ্চিম বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. সারওয়ার আলম জানান, রাসপূর্ণিমায় পূজা ও পুণ্যস্নানে আগত তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তার বিষয়ে পশ্চিম বন বিভাগের অভিযান পরিচালনার জন্য কয়েকটি টিম কাজ করবে।

 

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
হঠাৎ অসুস্থ বিএনপি মহাসচিব

হঠাৎ অসুস্থ বিএনপি মহাসচিব