ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডের ওপর ইসরায়েলি দখলদারিত্ব বন্ধ করতে হবে বলে মন্তব্য করেছে ফিনল্যান্ড। জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দেওয়া ভাষণে ফিনিশ প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব বলেন, ইসরায়েলকে অবশ্যই ১৯৬৭ সাল থেকে ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে চলমান দখলদারিত্ব শেষ করতে হবে।
তিনি গাজার মানবিক বিপর্যয়কে “অসহনীয়” উল্লেখ করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, মানবিক সহায়তা প্রবেশ ও বন্দিদের মুক্তির আহ্বানও জানিয়েছেন। একইসঙ্গে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের কোনো অধিকার ইসরায়েলের নেই বলেও মন্তব্য করেন আলেকজান্ডার স্টাব।
বৃহস্পতিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) এক প্রতিবেদনে এই তথ্য জানিয়েছে বার্তাসংস্থা আনাদোলু।
প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার স্টাব জাতিসংঘ সনদে বর্ণিত সার্বভৌমত্ব, মানবাধিকার ও মৌলিক নীতিগুলো রক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, “রাশিয়ার ইউক্রেনে আগ্রাসনের কোনো অধিকার নেই। একইভাবে ইসরায়েলেরও ফিলিস্তিনে আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘনের অধিকার নেই। কোনো রাষ্ট্রেরই অর্থনৈতিক বা কৌশলগত স্বার্থে সুদান কিংবা কঙ্গোর ভূখণ্ডে প্রক্সি যুদ্ধ চালানোর অধিকার নেই।তিনি গাজায় চলমান মানবিক বিপর্যয়ের কথা উল্লেখ করে অবিলম্বে যুদ্ধবিরতি, বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবেশ এবং বন্দিদের মুক্তির দাবি জানান।স্টাব বলেন, আলোচনার মাধ্যমে ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং ফিলিস্তিনিদের রাষ্ট্র ও সার্বভৌমত্বের ন্যায্য আকাঙ্ক্ষার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হবে। তার ভাষায়, “১৯৬৭ সালে যে দখলদারিত্ব শুরু হয়েছিল, তা শেষ করতে হবে এবং সব ইস্যুর স্থায়ী সমাধান করতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, “গাজার সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন। মানবিক বিপর্যয় অসহনীয় পর্যায়ে পৌঁছেছে। এটি আন্তর্জাতিক ব্যবস্থার ব্যর্থতারই প্রতিফলন।জাতিসংঘের তদন্তকারীরা সম্প্রতি জানিয়েছেন, গাজায় ইসরায়েল গণহত্যা চালাচ্ছে। ২০২৩ সালের ৭ অক্টোবর যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে সেখানে এখন পর্যন্ত ৬৫ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন।নিজের ভাষণে স্টাব জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদ সংস্কারেরও আহ্বান জানান। তিনি বলেন, কম প্রতিনিধিত্বশীল অঞ্চলগুলোকে আরও সুযোগ দিতে হবে এবং কোনো রাষ্ট্রের ভেটো ক্ষমতা থাকা উচিত নয়।
তিনি প্রস্তাব করেন, নিরাপত্তা পরিষদের স্থায়ী সদস্য সংখ্যা বাড়াতে হবে— এশিয়ার জন্য দুইটি, আফ্রিকার জন্য দুইটি এবং লাতিন আমেরিকার জন্য একটি আসন যোগ করতে হবে। এছাড়া, কোনো সদস্য যদি জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করে, তবে তার ভোটাধিকার স্থগিত করতে হবে।