ইসরাইলি আগ্রাসন ও সর্বাত্মক অবরোধের কারণে গাজায় দুর্ভিক্ষ পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। ইসরাইলের অবরোধ ভাঙার লক্ষ্যে চলতি মাসের শুরুর দিকে যাত্রা শুরু করে গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা। তবে ইসরাইল এই নৌবহর আটকে দেয়ার ঘোষণা দেয়। তাদের দাবি, স্বেচ্ছাসেবকরা ‘আইনসম্মত নৌ অবরোধ লঙ্ঘন করার’ চেষ্টা করছে। যদিও মানবিক সাহায্য প্রবেশের অনুমতি দেয়ার বিষয়ে স্পষ্ট আন্তর্জাতিক আইন রয়েছে।নৌবহরটি গত বুধবার (১ অক্টোবর) গাজার কাছাকাছি পৌঁছায়। আয়োজকরা জানান, নৌবহর ইসরাইল ঘোষিত ‘বিপৎসীমায়’ প্রবেশ করেছে যা গাজার উপকূল থেকে প্রায় ২২৫ কিলোমিটার বা প্রায় ১২১ নটিক্যাল মাইল দূরে।
আগেরবারের ফ্লোটিলাগুলোকে এখানেই আটকানো বা আক্রমণ করা হয়েছিল। আজ বৃহস্পতিবার (২ অক্টোবর) ভোর ৫টায় তাদের গাজা উপকূলে পৌঁছানোর কথা ছিল। তার আগেই রাতে নৌবহরে হামলা চালিয়েছে ইসরাইলি নৌবাহিনী। গ্লোবাল সুমুদ ফ্লোটিলা জানিয়েছে, ইসরাইল এখন পর্যন্ত ১৩টি জাহাজ জব্দ করেছে। সেই সঙ্গে জাহাজগুলোতে থাকা দুই শতাধিক স্বেচ্ছাসেবককে আটক করা হয়েছে। তবে ৩০টি জাহাজ ক্ষুধার্ত ফিলিস্তিনিদের জন্য সাহায্য নিয়ে এখনও যুদ্ধবিধ্বস্ত অঞ্চলের উপকূলে পৌঁছানোর পথে রয়েছে।ফ্লোটিলার এক বার্তায় বলা হয়েছে, ‘ইসরাইলি অবৈধ বাঁধা আমাদের দমিয়ে রাখতে পারবে না। আমরা অবরোধ ভাঙতে এবং একটি মানবিক করিডোর খোলার লক্ষ্যে আমাদের অভিযান চালিয়ে যাচ্ছি।’
ফ্লোটিলার মুখপাত্র সাইফ আবুকেশেক এক ইনস্টাগ্রাম বার্তায় জানিয়েছেন, জব্দ জাহাজগুলোতে ৩৭টি দেশের ২০১ জনেরও বেশি লোক ছিল, যার মধ্যে ৩০ জন স্পেনের; ২২ জন ইতালির; ২১ জন তুরস্কের এবং ১২ জন মালয়েশিয়ার।তিনি বলেন, ইসরাইলি বাঁধা ও জাহাজ জব্দ হওয়া সত্ত্বেও ‘মিশন চলছে’ এবং গাজার অবরোধ ভাঙার জন্য ভূমধ্যসাগর পেরিয়ে’ জাহাজগুলো যাত্রা অব্যাহত রেখেছে।
মুখপাত্রের কথায়, ‘আমাদের প্রায় ৩০টি জাহাজ এখনও গাজার উপকূলে পৌঁছানোর চেষ্টা করছে। দখলদার বাহিনীর সামরিক জাহাজ থেকে দূরে থাকার চেষ্টা করছে। তারা দৃঢ়প্রতিজ্ঞ। তারা অনুপ্রাণিত এবং তারা ভোরের মধ্যে এই অবরোধ ভেঙে ফেলার এবং একসাথে গন্তব্যে পৌঁছানোর জন্য সবকিছু করছে।’