কুমিল্লা নগরীতে হাতি দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানসহ সাধারণ মানুষের কাছ থেকে চাঁদাবাজির সময় দুই জনকে আটক করে পুলিশে হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী। একইসঙ্গে দুইটি হাতি উদ্ধার করে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানা হেফাজতে রাখা হয়।
বুধবার (১৩ নভেম্বর) বিকেলে নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তবে হাতি রাখার জায়গা না থাকায় মুচলেকা নিয়ে দুই মাহুতকে ছেড়ে দেওয়া হয়।কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহিনুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।আটকরা হলেন, মৌলভীবাজারের বড়লেখা উপজেলার মৌলভীবাজার এলাকার মো. ইমরান ও মাদারীপুরের কালকিনি এলাকার চর ঠেংগামারার বাসিন্দা নাজমুল কাজী।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন ধরে হাতি ব্যবহার করে কুমিল্লা নগরীসহ জেলার বিভিন্ন স্থানে চাঁদা তোলার অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এতে ব্যবসায়ী ও স্থানীয় বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে ওঠেন। অনেকেই বিষয়টি স্থানীয় প্রশাসনকে জানান। কয়েকবার চেষ্টা করেও হাতি ও মাহুতকে ধরা যায়নি। অবশেষে বুধবার বিকেলে নগরীর কাপ্তানবাজার এলাকা থেকে কুমিল্লার আরবান ভলেন্টিয়ার্সদের সহযোগিতায় দুইটি হাতি ও দুই মাহুতকে আটক করে সেনাবাহিনী। পরে তাদেরকে কুমিল্লা কোতয়ালি থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাহিনুল ইসলাম জানান, কুমিল্লা বন বিভাগের কাছে হাতি রাখার মতো কোনো পরিবেশ না থাকায় দুই মাহুতের কাছ থেকে মুচলেকা রেখে হাতিসহ তাদেরকে নিজ এলাকায় ফিরে যাওয়ার জন্য বলা হয়েছে।