ঢাকা , বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫ , ২২ কার্তিক ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
জামায়াত নেতা তাহেরের হুঁশিয়ারি নো হাংকি পাংকি’ গণভোট লাগবেই, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা হবে একাধিক বিয়ে কোন কোন ক্ষেত্রে করা যাবে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে গুগল অ্যাসিস্ট্যান্টের বিদায়, আসছে নতুন যুগের ‘জেমিনি যুক্তরাষ্ট্রে বিমান বিধ্বস্তে নিহত বেড়ে ৭, আরও হতাহতের শঙ্কা লাম্বি জুদাই’ খ্যাত রেশমাকে সম্মান জানালেন নেপালি গায়ক মেট্রোরেলের নকশায় ত্রুটি থাকতে পারে: ডিএমটিসিএল পরিচালক বিএনপির স্থায়ী কমিটির গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক চলছে প্রাইভেটকারের সঙ্গে ট্রাকের সংঘর্ষ, নিহত ১ অন্তর্বর্তী সরকারের সংবাদ সম্মেলন আজ আজ থেকে জাতীয় নির্বাচনের ক্যাম্পেইন শুরু, প্রথম টিজার প্রকাশ যে কারণে ১৫ মিনিট বন্ধ মেট্রোরেল কেনিয়ায় ভূমিধসে ২১ জনের মৃত্যু নির্বাচনের পরে হবে ইজতেমা: ধর্ম উপদেষ্টা রাশিয়ার তরুণদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ওজন কমানোর বিপজ্জনক পিল যথাসময়ে ভোটের পাশাপাশি জুলাই সনদের আইনি ভিত্তি ও বাস্তবায়ন চায় এনসিপি ব্যবহৃত মোবাইল ফোন নিবন্ধিত কি না, যেভাবে জানবেন প্রেমিকার সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে মারধরের শিকার প্রেমিকের মৃত্যু সালমান শাহর ভক্তদের স্লোগানে উত্তাল প্রেসক্লাব টাঙ্গাইলে অসময়ে রেকর্ড বৃষ্টি, শীতকালীন সবজির ক্ষতির শঙ্কা

অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে

  • আপলোড সময় : ০৬-১১-২০২৫ ১২:৪০:০৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ০৬-১১-২০২৫ ১২:৪০:০৬ অপরাহ্ন
অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনসহ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে
৭ নভেম্বর মহান জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষ্যে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার মহিমান্বিত আত্মদানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিষ্টরা দেশ ছেড়ে পালাতে বাধ্য হয়। মানুষের মধ্যে গণতন্ত্রের মুক্তির পথ প্রসারিত হয়েছে। এখন চূড়ান্ত গণতন্ত্রের চর্চার জন্য অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচনসহ গণতন্ত্রের অপরিহার্য শর্ত মানুষের মৌলিক মানবাধিকার নিশ্চিত করতে হবে। বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী স্বাক্ষরিত এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।দেশবাসীসহ সবাইকে আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দনের পাশাপাশি সুখ-শান্তি ও সমৃদ্ধি কামনা করে তারেক রহমান বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বর সিপাহী-জনতার বিপ্লব শুধু মোড় পরিবর্তনকারী ঘটনা নয়, এদেশে আধিপত্যবাদ বিরোধী জাতীয়তাবাদী রাজনীতির অভ্যুদয়ের সূচনা। সিপাহী-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা পায়।




তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের এই দিনে দেশপ্রেমে উদ্দীপ্ত হয়ে সিপাহী-জনতা রাজপথে নেমে এসেছিল জাতীয় স্বাধীনতা সুরক্ষা ও গণতন্ত্র পুণরুজ্জীবনের অঙ্গীকার নিয়ে। তাই ৭ নভেম্বরের ঐতিহাসিক বিপ্লব অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। স্বাধীনতাত্তোর ক্ষমতাসীন গোষ্ঠী নিজ স্বার্থে দেশকে আধিপত্যবাদের থাবার মধ্যে ঠেলে দেয়। এর উদ্দেশ্য ছিল ক্ষমতাকে চিরদিনের জন্য ধরে রাখা। সেজন্য একদলীয় বাকশাল গঠন করে গণতন্ত্রকে হত্যা করা হয়। 




তিনি আরও বলেন, বাকশালী সরকার চরম অগণতান্ত্রিক ও ফ্যাসিবাদী পন্থায় মানুষের ন্যায়সংগত অধিকারগুলোকে হরণ করে। দেশমাতৃকার এই চরম সংকটকালে ৭৫ এর ৩ নভেম্বর কুচক্রীরা মহান স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমানকে সপরিবারে ক্যান্টনমেন্টে বন্দি করে। জাতির এই গভীর সংকটকালে ৭নভেম্বর স্বজাতির স্বাধীনতা রক্ষায় অকুতোভয় সৈনিক এবং জনতার ঢলে রাজপথে এক অনন্য সংহতির স্ফুরণ ঘটে এবং স্বাধীনতার ঘোষক জিয়াউর রহমান মুক্ত হন।




এই পটপরিবর্তনে রাষ্ট্রপতি জিয়ার নেতৃত্বে দেশে প্রাণচাঞ্চল্য তৈরি হয় এবং গণতন্ত্র অর্গলমুক্ত হয়ে বাক-ব্যক্তি ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা সুপ্রতিষ্ঠিত হয়। মানুষের মনে স্বস্তি ফিরে আসে। কিন্তু আধিপত্যবাদী শক্তির এদেশিয় এজেন্টরা উদ্দেশ্য সাধনের পথে কাঁটা মনে করে ১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াকে চট্টগ্রাম সার্কিট হাউসে পৈশাচিকভাবে হত্যা করে। জিয়া শাহাদাত বরণ করলেও তার আদর্শে বলীয়ান মানুষ দেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্র রক্ষায় এখনও ঐক্যবদ্ধ ও দৃঢ় সংকল্পবদ্ধ বলেও জানান তিনি।





বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, আবারও চক্রান্তের গোপন পথে আওয়ামী ফ্যাসিষ্টরা প্রায় ১৬ বছর গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে রাষ্ট্রক্ষমতাকে হাতের মুঠোর মধ্যে ধরে রাখে। এদের নতজানু নীতির কারণেই দেশের সার্বভৌমত্ব দিনের পর দিন দুর্বল হয়ে পড়েছিল। আওয়ামী ফ্যাসিষ্ট সরকার গণতন্ত্রের পক্ষে লড়াকু নেতা-কর্মীদেরকে বিভৎস নির্মমতায় দমন করেছে, আয়নাঘর, গুম, খুন, বিচারবহির্ভূত হত্যাসহ দূর্নীতি ও অপশাসনের এক ভয়াল রাজত্ব কায়েম করেছিল। 




তিনি বলেন, ‘গণতন্ত্রের প্রতীক’ খালেদা জিয়াকে বন্দি করে বহু বছর মুক্তি দেওয়া হয়নি। বার্তায়, সমাজে ন্যায়বিচার ও সুশাসন প্রতিষ্ঠা করার ওপর জোর দেন তারেক রহমান।তিনি আরও বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিষ্টরা পরিকল্পিতভাবে দেশীয় কৃষ্টি, ঐতিহ্য, ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আগ্রাসন চালাতে সুযোগ দিয়েছিল। তাই আমি মনে করি ৭ নভেম্বরের চেতনায় সকল জাতীয়তাবাদী শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে শক্তিশালী গণতন্ত্র বিনির্মাণ করতে হবে। আর সেজন্য জাতীয় স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব রক্ষা করা এই মূহুর্তে অত্যন্ত জরুরি।

কমেন্ট বক্স
সর্বশেষ সংবাদ
জামায়াত নেতা তাহেরের হুঁশিয়ারি   নো হাংকি পাংকি’ গণভোট লাগবেই, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা হবে

জামায়াত নেতা তাহেরের হুঁশিয়ারি নো হাংকি পাংকি’ গণভোট লাগবেই, সোজা আঙুলে ঘি না উঠলে আঙুল বাঁকা হবে