কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে আড়াই বছর বয়সী প্রতিবন্ধী শিশু কন্যাকে গলায় রশি দিয়ে হত্যার পর মা আত্মহত্যা করেছেন। উপজেলার রামকৃষ্ণপুর ইউনিয়নের ইনসাফনগর গ্রামে মেয়ের বাবার বাড়িতে বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, সৌদি প্রবাসী রহিদুল ইসলামের স্ত্রী রেশমা খাতুন (২৫) পারিবারিক অশান্তি ও আর্থিক অস্বচ্ছলতার কারণে বেশ কয়েক দিন ধরে মানসিক অশান্তিতে ভুগছিলেন। এরই জেরে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রেশমা খাতুন তার শিশুকন্যা লামিয়াকে প্রথমে গলায় ফাঁস দিয়ে হত্যার পর নিজেও ঘরের ডাফের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
স্থানীয় বাসিন্দারা আরও জানান, পাশের বাড়ির লোকজন রেশমার বাড়িতে গিয়ে তাদের ডেকে না পেলে ঘরের জানালা দিয়ে দেখেন রেশমা খাতুন বাঁশের ডাফের সঙ্গে ঝুলে আছে। পরে অন্যদের খবর দিলে দরজা ভেঙে তাদের উদ্ধার করে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। রেশমার সঙ্গে সৌদি প্রবাসী রহিদুলের চার বছর আগে বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে রেশমা বাবার বাড়িতে থাকতেন।
দৌলতপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলয়মান শেখ বলেন, স্থানীয় বাসিন্দাদের দেওয়া খবর পেয়ে পুলিশ নিহত মা ও মেয়ের মরদেহ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে গেছে। ময়নাতদন্তের জন্য আজ (শুক্রবার) সকালে তাদের মরদেহ কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়। ঘটনাটি তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে প্রতিবন্ধী শিশুকে নিয়ে ও দীর্ঘদিনের পারিবারিক অশান্তির কারণে এই আত্মহত্যার ঘটনা ঘটতে পারে।
Mytv Online