ঢাকা , মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫ , ৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম :
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন পোস্ট পুলিশের নতুন ইউনিফর্ম : ভেতরে-বাইরে মিশ্র আলোচনা কার বিরুদ্ধে কী আদেশ দিলেন ট্র্যাইব্যুনাল সহিংসতার ষড়যন্ত্র সফল হবে না: পরিবেশ উপদেষ্টা ধানমন্ডি ৩২ ভাঙতে এক্সকাভেটর নিয়ে ছাত্রজনতা, উত্তেজনা চরমে শেখ হাসিনার রায় -ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার, তল্লাশি-চেকপোস্ট ইথিওপিয়ায় প্রথমবারের মতো মারবার্গ ভাইরাস শনাক্ত, কীভাবে ছড়ায়? ড্রামের ভেতর পাওয়া মরদেহের রংপুরে দাফন সকালে চা নাকি কফি, কোনটা আপনার জন্য ভালো? মঙ্গল অভিযানে নাসার দুই মহাকাশযান অঙ্গীকার করেছিলাম, যত শক্তিশালী হোক না কেন, প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়া হবে: তাজুল ইসলাম যে চার বিষয়ে হবে গণভোট, একটি প্রশ্নে ‘হ্যাঁ’ বা ‘না’ দিয়ে মতামত দেশে এই মুহূর্তে গৃহযুদ্ধের ভাব বিরাজ করছে: নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে জুলাই সনদ লঙ্ঘিত হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ বিএনপির স্থায়ী কমিটির জরুরি বৈঠক সন্ধ্যায় গণভোট ও সংসদ নির্বাচন একই দিনে: প্রধান উপদেষ্টা অস্কার মনোনীত অভিনেত্রী স্যালি কার্কল্যান্ড মারা গেছেন প্রতিদিন কতটুকু চা খাওয়া যাবে? রোববারের মধ্যে দাবি না মানলে যমুনার সামনে অবস্থানের ঘোষণা জামায়াতসহ ৮ দলের আল-কায়েদার সাথে সম্পর্ক এখন অতীত: সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন পোস্ট

  • আপলোড সময় : ১৮-১১-২০২৫ ০২:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন
  • আপডেট সময় : ১৮-১১-২০২৫ ০২:৩৬:৪৬ অপরাহ্ন
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন পোস্ট
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হওয়া মীর কাসেম আলীর মেয়ে সুমাইয়া রাবেয়া সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি আবেগঘন পোস্ট করেছেন।সোমবার (১৭ নভেম্বর) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে নিজের অতীত যন্ত্রণা, পারিবারিক ভাঙন এবং বিচারপ্রক্রিয়ার তুলনামূলক বৈষম্য নিয়ে বিস্তারিত লিখেছেন তিনি।ফেসবুক স্ট্যাটাসে রাবেয়া লিখেন, ‘আব্বুর রায় ঘোষণার দিন। আমি তখন সদ্য conceive করেছি, প্রথম সন্তান, জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা। সেই সময় আব্বুর বাড়ি আর শ্বশুরবাড়িতে পুলিশের রেইড। ভাইয়েরা পালিয়ে পালিয়ে দূরে কোথাও লুকিয়ে আছে। এত অস্থিরতার মাঝেও আমার conceive করার খবরটা ছিল আমাদের ঘরে একমাত্র আলোর ঝলক।



আব্বুও সেই ভয়াবহ সময়ে আরমান ভাইয়াকে নিয়ে আমার জন্য দোয়া করেছিলেন। আরমান ভাইয়া, যেহেতু আব্বুর ল’ইয়ার, তাই স্বাভাবিক ভিজিটেশনের বাইরে গিয়েও দেখা করতে পারতেন। এদিকে সরকারের ওপর আন্তর্জাতিক চাপ বাড়ছিল। চারদিকে সবাই সান্ত্বনা দিচ্ছিল; মীর কাসেম তো সরাসরি রাজনৈতিক ব্যক্তি নন। আর ’৭১ সালে তার বয়স ছিল মাত্র ১৯। তাকে চট্টগ্রামের “মাস্টারমাইন্ড” বলা, সেনাবাহিনী থেকে শুরু করে সব বাহিনী তার অধীনে চলত—এসবই ছিল সম্পূর্ণ অযৌক্তিক।




যাই হোক… মনে মনে ভাবছিলাম, ফাঁসি হবে না ইনশাআল্লাহ। আজীবন হলেও অন্তত আব্বুকে দেখতে পাবো, তার দোয়া পাবো। কিন্তু আমাদের সেই সামান্য আশাটুকু পর্যন্ত মুছে গেল ফাঁসির রায়ে।আব্বু বের হয়ে বিজয়ের চিহ্ন দেখালেন—Victory sign। কিন্তু আমি তখন pregnant অবস্থায় অতিরিক্ত মানসিক চাপ আর হরমোনের কারণে পুরোপুরি ভেঙে পড়েছিলাম। মনে হয়েছিল দুনিয়াটা এক মুহূর্তে উলটে গেল। এরপর তাকে এসি বাস তো দূরের কথা, মুরির টিনের মতো সংকীর্ণ ভ্যানে গাদাগাদি করে তুলে নিয়ে যাওয়া হলো। সরাসরি কনডেম্নড সেলে ঢোকানো হলো।




আরমান ভাইয়া জেলগেট থেকে নড়তেই পারছিলেন না। আব্বুকে ওই কনডেম্নড সেলে রেখে তিনি কীভাবে বাড়ি ফিরবেন? আমরা বারবার ফোন করে ফিরতে বলছিলাম, আর তিনি জেলগেটের সামনে দাড়িয়ে হাউমাউ করে কাঁদছিলেন। তার সেই কান্নার শব্দ দু’দিন ধরে আমার কানে বাজছিল। আর সেই অসহ্য কষ্ট আমি আর সহ্য করতে না পেরে… আমার বাবুটাকেও হারালাম।’

কমেন্ট বক্স
হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন পোস্ট

হাসিনার মৃত্যুদণ্ডের রায়ের পর মীর কাসেম আলীর মেয়ের আবেগঘন পোস্ট