শুক্রবার (১৫ নভেম্বর) কেরানীগঞ্জের জিনজিরা ও আগানগর এবং রাজধানীর নয়াবাজার ও কারওয়ান বাজারসহ বেশকটি বাজার ঘুরে দেখা যায়, লিটারপ্রতি খোলা সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে অন্তত ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত।বাজারে এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেল দাম বেড়ে প্রতি লিটার ১৭৫-১৮০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে। তবে বোতলজাত সয়াবিন তেলের দাম বাড়েনি; বিক্রি হচ্ছে আগের দাম ১৬৭ টাকায়। আর দাম বেড়ে খোলা পাম তেল বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়।সরকারি বিপণন সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) বাজারদরের তথ্যেও প্রমাণ মিলেছে দাম বাড়ার। জানা যায়, এক মাসের ব্যবধানে খোলা সয়াবিন তেলের দাম লিটারে ১১ শতাংশ পর্যন্ত বেড়ে গেছে। লিটারে ১২ শতাংশ পর্যন্ত দাম বেড়ে বিক্রি হচ্ছে খোলা পাম তেল।
তবে দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে গত অক্টোবরে পরিশোধিত সয়াবিন তেল ও পরিশোধিত পাম তেল সরবরাহের ক্ষেত্রে স্থানীয় উৎপাদন পর্যায়ে আরোপিত ১৫ শতাংশ এবং স্থানীয় ব্যবসায়ী পর্যায়ে আরোপিত ৫ শতাংশ মূসক অব্যাহতি দিয়েছিল জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
এছাড়া, অপরিশোধিত সয়াবিন তেল, অপরিশোধিত পাম তেল ও পরিশোধিত পাম তেলসহ অন্যান্য পরিশোধিত সয়াবিন তেল আমদানির ক্ষেত্রে আমদানি পর্যায়ের মূসক ১৫ শতাংশের পরিবর্তে ১০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়েছিল। ভোজ্যতেলের এ অব্যাহতি সুবিধা চলতি বছরের ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত অব্যাহত থাকবে।অথচ শুল্ক হ্রাসের কোনো প্রভাবই পড়েনি বাজারে। ব্যবসায়ীরা বলছেন, রমজানকে কেন্দ্র করে ডিলাররা বাড়াতে শুরু করে পণ্যের দাম। পর্যাপ্ত তেল তারা সরবরাহ করছে না। এক মাসের ব্যবধানে তেলের দাম লিটারে ১৫-২০ টাকা পর্যন্ত বেড়ে গেছে।
তেলের দাম ঊর্ধ্বমুখী হওয়ায় বিপাকে সাধারণ ভোক্তারা। তারা জানান, দাম বাড়ানোর খেলায় মেতেছেন ব্যবসায়ীরা। আজ এক পণ্যের দাম বাড়ে তো, কাল আরেকটার। রোজা আসতে এখনও ঢের দেরি; কিন্তু এখনই বাড়তে শুরু করেছে দাম।
এদিকে, বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দাম নিয়ন্ত্রণে দেশে আরেক দফা কমানো হতে পারে তেলের আমদানি শুল্ক।