চলে গেলেন বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কালজয়ী ‘পথের পাঁচালী’র ‘দুর্গা’খ্যাত উমা দাশগুপ্ত। সত্যজিৎ রায়ের পরিচালনায় অপু-দুর্গার জীবনের এক টুকরো কাহিনি, আজও বাঙালির হৃদয়জুড়ে। দীর্ঘদিন লাইট-ক্যামেরা-অ্যাকশন থেকে দূরে থাকলেও, সকলের মনে রয়ে গিয়েছে উমার অভিনয়। সেই উমা আর নেই।অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর জানালেন অভিনেতা ও বিধায়ক চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তী।
ভারতীয় গণমাধ্যম সূত্রে জানা যায়, বেশ কিছু দিন ধরেই অসুস্থ ছিলেন উমা দাশগুপ্ত। একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন অভিনেত্রী। সোমবার (১৮ নভেম্বর) সকালে তার জীবনাবসান ঘটে।চিরঞ্জিৎ চক্রবর্তীকে অভিনেত্রীর কন্যা দুঃসংবাদটি দেন বলেও জানিয়েছেন অভিনেতা।চলতি বছরে হঠাৎই ছড়িয়ে পড়েছিল অভিনেত্রীর মৃত্যুর খবর। সোশ্যাল মিডিয়া জুড়ে হয়েছিল নানা আলোচনাও। পরবর্তীতে জানা যায়, সুস্থ রয়েছেন তিনি।
তবে এবার সেই গুঞ্জনকে সত্যি করে না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন উমা দাশগুপ্ত।মাত্র একটি ছবিতে অভিনয় করেই বিশ্বজোড়া খ্যাতি অর্জন করেন উমা। ১৯৫৫ সালে সত্যজিৎ রায়ের ‘পথের পাঁচালী’তে তিনি ‘অপু’র দিদি ‘দুর্গা’। কিশোরী বয়সের সেই চরিত্রকে পর্দায় জীবন্ত করেছিলেন উমা। এর পর তাঁকে আর পর্দায় দেখা যায়নি।
পেশাগত জীবনে তিনি ছিলেন শিক্ষক।শৈশব থেকেই থিয়েটার করতেন উমা দাশগুপ্ত। যে স্কুলে পড়তেন, সেখানকার প্রধানশিক্ষকের সঙ্গে সত্যজিৎ রায়ের পরিচয় ছিল। আর সেই শিক্ষকের সুবাদেই মাণিকবাবু আবিষ্কার করেছিলেন ‘পথের পাঁচালি’র দুর্গা উমা দাশগুপ্তকে। যদিও তাঁর বাবা চাননি মেয়ে সিনেদুনিয়ায় আসুক। তবে শেষমেশ উমার পরিবারকে রাজি করিয়ে নেন পরিচালক। রূপালি পর্দায় দুর্গার মৃত্যু শুধু অপুর মনেই ক্ষতের সৃষ্টি করেনি, কাঁদিয়েছিল গোটা দর্শক মহলকে। এবার উমার প্রয়ানে সেই কান্না আবারও ছুঁয়ে গেল সিনেমাপ্রেমীদের।