তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ধারাবাহিকভাবে তীব্র হচ্ছে। আজ (১৯ নভেম্বর) শিক্ষার্থীরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে ক্যাম্পাসে ক্লোজড ডাউন কর্মসূচি পালন করছে। আন্দোলনকারীরা জানিয়েছেন, সরকারের প্রতিশ্রুতির প্রতি সম্মান জানিয়ে তারা রাস্তায় অবরোধ থেকে সরে এসেছেন। তবে তিন কার্যদিবসের মধ্যে কমিটি গঠন করে রূপান্তরের উদ্যোগ না নেওয়া হলে আরও কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তারা।
তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি নতুন নয়। ১৯৯৭ সাল থেকে এ দাবিতে আন্দোলন চলছে বলে শিক্ষার্থীরা উল্লেখ করেছেন। সাম্প্রতিক মাসগুলোতে এই দাবি জোরদার করার জন্য তারা নিয়মিত কর্মসূচি পালন করছেন।
গতকাল শিক্ষার্থীদের অবরোধ চলাকালে ঢাকাগামী একটি ট্রেন থামানোর চেষ্টা করেন আন্দোলনকারীরা। কিন্তু ট্রেন থামেনি, ফলে উত্তেজিত কিছু শিক্ষার্থী ট্রেনে ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করেন। এতে বেশ কয়েকজন যাত্রী আহত হন। শিক্ষার্থীরা আজকের ব্রিফিংয়ে এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করেছেন এবং দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
আজ শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ অন্যান্য উপদেষ্টাদের সঙ্গে বৈঠক করার কথা রয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে দ্রুততার সঙ্গে একটি সমাধানে পৌঁছানোর চেষ্টা করা হচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি পূরণে কোনো কার্যকর উদ্যোগ না নিলে আন্দোলন আরও তীব্র হতে পারে।
ক্যাম্পাস এবং আশেপাশের এলাকায় আজ কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা লক্ষ্য করা গেছে। পুলিশের জলকামান ও টিয়ারশেল প্রস্তুত রাখা হয়েছে, যাতে কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়ানো যায়।
তিতুমীর কলেজ বাংলাদেশের বৃহৎ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটি, যেখানে বহু শিক্ষার্থী অধ্যয়নরত। তাদের এই দাবিটি শুধু শিক্ষাক্ষেত্র নয়, বৃহত্তর সামাজিক এবং প্রশাসনিক স্তরে প্রভাব ফেলতে পারে। দীর্ঘমেয়াদী স্থায়ী সমাধানের জন্য সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি।