বিনামূল্যের পাঠ্যপুস্তক মুদ্রণ ও শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে হাজার কোটি টাকার অনিয়ম দুর্নীতি হয়েছে জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড তথা এনসিটিবিতে। বিশেষ করে চলতি বছর মাধ্যমিক পর্যায়ের সপ্তম শ্রেণীর ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান বিষয়ের বই নিয়ে তুমুল বিতর্ক শুরু হলে অনুশীলনী ও অনুসন্ধানী বই দু’টি বাতিল করায় সরকারের বিশাল অঙ্কের টাকা গচ্চা গেছে। অন্যদিকে বিতর্কিত কারিকুলাম বাস্তবায়নে শিক্ষক প্রশিক্ষণের নামে দেড় হাজার কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে একটি চক্র। যে কারিকুলাম বাস্তবায়নের আগেই সেটি বাতিল করার জন্য সব পক্ষ থেকে জোর দাবি উঠেছিল সেটার বিষয়েই প্রশিক্ষণ খাতে খরচ দেখানো হয়েছে সাড়ে ১৩ শ’ কোটি টাকা। এই খাতে মোট বরাদ্দ দেড় হাজার কোটি টাকার বাকি দেড় শ’ কোটি টাকাও ভুয়া বিল-ভাউচারে হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে।এদিকে বিতর্কিত কারিকুলামের বই মুদ্রণ এবং প্রশিক্ষণে কী পরিমাণ অর্থের অপচয় হয়েছে তা দ্রুততম সময়ে প্রধান উপদেষ্টার দফতরকে জানাতে এনসিটিবিকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার এ বিষয়ে তদন্ত করতে নড়েচড়ে বসেছে এনসিটিবি। যদিও আগে থেকেই আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে সতর্ক ছিল এনসিটিবি। তাই এনসিটিবির চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. রিয়াজুল হাসান দায়িত্ব নেয়ার পর পরই এ বিষয়ে একটি কমিটি গঠন করেছিলেন। সেই কমিটি নতুন করে এখন পুনর্গঠন করে দায়িত্ব দেয়া হয়েছে এনসিটিবির পাঁচ কর্মকর্তাকে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত আর্থিক বিষয়ের অনিয়ম নিয়ে তদন্ত কাজ করেছে এই কমিটি। আগামী এক-দু’দিনের মধ্যেই তারা প্রধান উপদেষ্টার দফতরের চাহিদামতো এনসিটিবির আর্থিক দুর্নীতির খতিয়ান প্রেরণ করবে।
সূত্র মতে, এনসিটিবির আর্থিক অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটি ২০২৪ সালের বিতর্কিত কারিকুলামের বিনামূল্যের পাঠ্যবই মুদ্রণে যে টাকা খরচ হয়েছে তার একটি হিসাব তৈরি করছে। একই সাথে সরকারি এই বিপুল পরিমাণ অপচয় বা দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের একটি তালিকাও প্রস্তুত করছেন। বিশেষ করে এনসিটিবির সাবেক সদস্য (কারিকুলাম) মো: মশিউজ্জামান ও তার অনুগত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগে একটি শ্বেতপত্র বা প্রতিবেদনও তৈরি করে জমা দেবে এই কমিটি। সেখানে কোন খাতে সরকারের কত টাকা গচ্চা গেছে তার একটি স্পষ্ট বিবরণীও দেয়া হবে।
সূত্র আরো জানায়, আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতি তদন্তে এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা প্রথম থেকেই এনসিটিবিতে কর্মরত ছিলেন। কেননা এই কর্মকর্তারাই মূলত আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে প্রথম থেকেই সাক্ষী ছিলেন। আবার তাদের সম্মুখেই এই অনিয়মগুলো হয়েছে। কিন্তু যেহেতু তারা আর্থিক বিষয়াদি দেখভাল করতেন না অথবা তারা এ বিষয়ে দায়িত্ববানও ছিলেন না তাই তাদের পক্ষে অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার মতো কোনো ভূমিকা নেয়াও সম্ভব ছিল না।গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন প্রফেসর মো: নজরুল ইসলাম (হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা), প্রফেসর আবু নাসের টুকু (উৎপাদক নিয়ন্ত্রক), মো: আব্দুল মুমিন মোছাব্বির (ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ) মো: হাফিজুর রহমান (বিতরণ নিয়ন্ত্রক), মীর রাহাত মাসুম (বিশেষজ্ঞ)। পাঁচ সদস্যের এই কমিটির কাজকে আরো দ্রুত ও সহজ করতে এনসিটিবির আরো বেশ কয়েকজনকে কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়েছে। সূত্র জানায় কো-অপ্ট করা সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ড. প্রবীর চন্দ্র রায়, সাইফা সুলতানা, মাসুম হোসেন, শাহ মো: জুলফিকার রহমান প্রমুখ।আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর মো: নজরুল ইসলাম জানান, এনসিটিবিতে বিতর্কিত কারিকুলামের পাঠ্যবই মুদ্রণে বিশাল অঙ্কের টাকা গচ্চা গেছে। বিশেষ করে মাধ্যমিকের দুটি বই মুদ্রণের পর সেগুলো আবার বাতিলও করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রীয় বড় অঙ্কের অর্থের অপচয় হয়েছে। আবার বই মুুুদ্রণে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টিও সামনে এসেছে। এসব বিষয়েই আমরা তদন্ত করছি। কবে নাগাদ দুর্নীতির এই তথ্য প্রধান উপদেষ্টার তফতরে দেয়া সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব আর্থিক বিষয়াদির অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণী আমরা দিতে সক্ষম হবো।
কমিটির অপর এক সদস্য নয়া দিগন্তকে জানান, এনসিটিবিতে বড় অঙ্কের অর্থের দুর্নীতি হয়েছে নতুন কারিকুলাম বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ দেয়ার নামে। এই খাতে মোট বরাদ্দ ছিল দেড় হাজার কোটি টাকা। কিন্তু নামে মাত্র শিক্ষক প্রশিক্ষণ দিয়ে সাড়ে ১৩ শ’ কোটি টাকাই খরচ দেখানো হয়েছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন মো: মাহফুজ আলী। বর্তমানে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) বদলি হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে বর্তমানে তিনি শিক্ষক প্রশিক্ষণ খাতের অব্যহৃত বাকি দেড় শ’ কোটি টাকা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা তদবির করছেন।এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রিয়াজুল হাসান গতকাল রাতে নয়া দিগন্তের এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি এনসিটিবিতে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বিগত দিনে এখানকার আর্থিক অনিয়মের বিষয়াদি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও চাইছে সব ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত হোক। আমরাও সেভাবেই আমাদের কাজকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, উপদেষ্টার দফতর থেকে আমাদের চিঠি দিয়েছে। তবে আমরা এখন চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব এনসিটিবির আর্থিক অনিয়ম বিষয়ে একটি পুরো খতিয়ান প্রস্তুত করে উপদেষ্টার দফতরে পৌঁছে দেয়ার।
সূত্র মতে, এনসিটিবির আর্থিক অনিয়ম তদন্তে গঠিত কমিটি ২০২৪ সালের বিতর্কিত কারিকুলামের বিনামূল্যের পাঠ্যবই মুদ্রণে যে টাকা খরচ হয়েছে তার একটি হিসাব তৈরি করছে। একই সাথে সরকারি এই বিপুল পরিমাণ অপচয় বা দুর্নীতির সাথে যারা জড়িত ছিলেন তাদের একটি তালিকাও প্রস্তুত করছেন। বিশেষ করে এনসিটিবির সাবেক সদস্য (কারিকুলাম) মো: মশিউজ্জামান ও তার অনুগত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে সরকারি অর্থ অপচয়ের অভিযোগে একটি শ্বেতপত্র বা প্রতিবেদনও তৈরি করে জমা দেবে এই কমিটি। সেখানে কোন খাতে সরকারের কত টাকা গচ্চা গেছে তার একটি স্পষ্ট বিবরণীও দেয়া হবে।
সূত্র আরো জানায়, আর্থিক অনিয়ম বা দুর্নীতি তদন্তে এমন ব্যক্তিদের সমন্বয়ে কমিটি গঠন করা হয়েছে যারা প্রথম থেকেই এনসিটিবিতে কর্মরত ছিলেন। কেননা এই কর্মকর্তারাই মূলত আর্থিক অনিয়মের বিষয়ে প্রথম থেকেই সাক্ষী ছিলেন। আবার তাদের সম্মুখেই এই অনিয়মগুলো হয়েছে। কিন্তু যেহেতু তারা আর্থিক বিষয়াদি দেখভাল করতেন না অথবা তারা এ বিষয়ে দায়িত্ববানও ছিলেন না তাই তাদের পক্ষে অনিয়মের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ার মতো কোনো ভূমিকা নেয়াও সম্ভব ছিল না।গঠিত পাঁচ সদস্যের কমিটিতে রয়েছেন প্রফেসর মো: নজরুল ইসলাম (হিসাবরক্ষণ কর্মকর্তা), প্রফেসর আবু নাসের টুকু (উৎপাদক নিয়ন্ত্রক), মো: আব্দুল মুমিন মোছাব্বির (ঊর্ধ্বতন বিশেষজ্ঞ) মো: হাফিজুর রহমান (বিতরণ নিয়ন্ত্রক), মীর রাহাত মাসুম (বিশেষজ্ঞ)। পাঁচ সদস্যের এই কমিটির কাজকে আরো দ্রুত ও সহজ করতে এনসিটিবির আরো বেশ কয়েকজনকে কমিটিতে কো-অপ্ট করা হয়েছে। সূত্র জানায় কো-অপ্ট করা সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন ড. প্রবীর চন্দ্র রায়, সাইফা সুলতানা, মাসুম হোসেন, শাহ মো: জুলফিকার রহমান প্রমুখ।আর্থিক অনিয়ম ও দুর্নীতি তদন্ত কমিটির প্রধান প্রফেসর মো: নজরুল ইসলাম জানান, এনসিটিবিতে বিতর্কিত কারিকুলামের পাঠ্যবই মুদ্রণে বিশাল অঙ্কের টাকা গচ্চা গেছে। বিশেষ করে মাধ্যমিকের দুটি বই মুদ্রণের পর সেগুলো আবার বাতিলও করা হয়েছে। এতে রাষ্ট্রীয় বড় অঙ্কের অর্থের অপচয় হয়েছে। আবার বই মুুুদ্রণে আর্থিক দুর্নীতির বিষয়টিও সামনে এসেছে। এসব বিষয়েই আমরা তদন্ত করছি। কবে নাগাদ দুর্নীতির এই তথ্য প্রধান উপদেষ্টার তফতরে দেয়া সম্ভব হবে এমন প্রশ্নের জবাবে এই কর্মকর্তা বলেন, আমরা চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব আর্থিক বিষয়াদির অনিয়ম ও দুর্নীতির একটি পূর্ণাঙ্গ বিবরণী আমরা দিতে সক্ষম হবো।
কমিটির অপর এক সদস্য নয়া দিগন্তকে জানান, এনসিটিবিতে বড় অঙ্কের অর্থের দুর্নীতি হয়েছে নতুন কারিকুলাম বিষয়ে শিক্ষক প্রশিক্ষণ দেয়ার নামে। এই খাতে মোট বরাদ্দ ছিল দেড় হাজার কোটি টাকা। কিন্তু নামে মাত্র শিক্ষক প্রশিক্ষণ দিয়ে সাড়ে ১৩ শ’ কোটি টাকাই খরচ দেখানো হয়েছে। শিক্ষক প্রশিক্ষণের দায়িত্বে ছিলেন মো: মাহফুজ আলী। বর্তমানে তিনি মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদফতরে (মাউশি) বদলি হয়েছেন। অভিযোগ রয়েছে বর্তমানে তিনি শিক্ষক প্রশিক্ষণ খাতের অব্যহৃত বাকি দেড় শ’ কোটি টাকা ভুয়া বিল ভাউচারের মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়ার চেষ্টা তদবির করছেন।এ বিষয়ে এনসিটিবির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. রিয়াজুল হাসান গতকাল রাতে নয়া দিগন্তের এই প্রতিবেদককে বলেন, আমি এনসিটিবিতে দায়িত্ব নেয়ার পরপরই বিগত দিনে এখানকার আর্থিক অনিয়মের বিষয়াদি নিয়ে একটি কমিটি গঠন করেছি। এখন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারও চাইছে সব ধরনের অনিয়ম দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত হোক। আমরাও সেভাবেই আমাদের কাজকে এগিয়ে নিতে চেষ্টা করছি। অপর এক প্রশ্নের জবাবে চেয়ারম্যান বলেন, উপদেষ্টার দফতর থেকে আমাদের চিঠি দিয়েছে। তবে আমরা এখন চেষ্টা করছি যত দ্রুত সম্ভব এনসিটিবির আর্থিক অনিয়ম বিষয়ে একটি পুরো খতিয়ান প্রস্তুত করে উপদেষ্টার দফতরে পৌঁছে দেয়ার।