গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবিক অপরাধের অভিযোগে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি) গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছে। এই পরোয়ানা কার্যকর করতে প্রস্তুতির কথা জানিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়নের সাতটি দেশ। দেশগুলো হলো—নেদারল্যান্ডস, সুইজারল্যান্ড, আয়ারল্যান্ড, ইতালি, সুইডেন, বেলজিয়াম ও নরওয়ে।
আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান গত মে মাসে নেতানিয়াহু, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এবং গাজার হামাস সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানার আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত এবং দেইফের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রসেত্তো বলেছেন,"নেতানিয়াহু যদি ইতালি সফরে আসেন, আমরা তাকে গ্রেপ্তার করব। এটি কোনো রাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একটি আইনি বাধ্যবাধকতা।"
নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্প বলেছেন, "আমাদের সরকার আইসিসির নির্দেশ মেনে চলবে এবং যাদের ওপর পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের সঙ্গে সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ বন্ধ রাখা হবে।"
অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রতিক্রিয়া ছিল তুলনামূলক সংযত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্তোফি লেমোনি বলেছেন, "আইসিসির এই সিদ্ধান্ত একটি জটিল আইনি বিষয়।" তবে নেতানিয়াহু ফ্রান্সে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না—এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
এর বিপরীতে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান আইসিসির পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি নেতানিয়াহুকে শিগগিরই হাঙ্গেরি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আইসিসির এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি এবং পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কারণে এই ইস্যু এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।
আইসিসির কৌঁসুলি করিম খান গত মে মাসে নেতানিয়াহু, ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত এবং গাজার হামাস সামরিক শাখার প্রধান মোহাম্মদ দেইফসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানার আবেদন করেন। সেই আবেদনের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার (২২ নভেম্বর) নেতানিয়াহু, গ্যালান্ত এবং দেইফের বিরুদ্ধে এই পরোয়ানা জারি করা হয়। তবে ইসমাইল হানিয়া ও ইয়াহিয়া সিনওয়ার নিহত হওয়ায় তাদের নাম বাদ দেওয়া হয়েছে।
পরোয়ানা জারি হওয়ার পর ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। ইতালির প্রতিরক্ষামন্ত্রী গুইদো ক্রসেত্তো বলেছেন,"নেতানিয়াহু যদি ইতালি সফরে আসেন, আমরা তাকে গ্রেপ্তার করব। এটি কোনো রাজনৈতিক নয়, বরং আন্তর্জাতিক আইন অনুযায়ী একটি আইনি বাধ্যবাধকতা।"
নেদারল্যান্ডসের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ক্যাসপার ভেল্ডক্যাম্প বলেছেন, "আমাদের সরকার আইসিসির নির্দেশ মেনে চলবে এবং যাদের ওপর পরোয়ানা জারি হয়েছে, তাদের সঙ্গে সব ধরনের অপ্রয়োজনীয় যোগাযোগ বন্ধ রাখা হবে।"
অন্যদিকে ফ্রান্সের প্রতিক্রিয়া ছিল তুলনামূলক সংযত। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ক্রিস্তোফি লেমোনি বলেছেন, "আইসিসির এই সিদ্ধান্ত একটি জটিল আইনি বিষয়।" তবে নেতানিয়াহু ফ্রান্সে এলে তাকে গ্রেপ্তার করা হবে কি না—এ নিয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
এর বিপরীতে, হাঙ্গেরির প্রধানমন্ত্রী ভিক্টর অরবান আইসিসির পদক্ষেপের নিন্দা জানিয়েছেন। তিনি নেতানিয়াহুকে শিগগিরই হাঙ্গেরি সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
আইসিসির এই পদক্ষেপ আন্তর্জাতিক কূটনীতিতে নতুন বিতর্ক সৃষ্টি করেছে। ইউরোপীয় দেশগুলোর মধ্যে বিভক্তি এবং পশ্চিমা বিশ্বে মিশ্র প্রতিক্রিয়ার কারণে এই ইস্যু এখন আন্তর্জাতিক রাজনীতির কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে।