জুলাই থেকে অক্টোবর মাস পর্যন্ত ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে যায়, ফলে বাড়তে থাকে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গুর প্রধান লক্ষণ হলো জ্বর, যা ৯৯ থেকে ১০৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত উঠতে পারে। জ্বর ছাড়াও শরীরের ব্যথা, মাথাব্যথা, চোখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ বা ফুসকুড়ি দেখা দেয়।
যদি আপনার পরিবারে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন, তবে আতঙ্কিত না হয়ে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:
সঠিক চিকিৎসা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ডেঙ্গুর প্রভাব কমানো সম্ভব। পরিবারের সকল সদস্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সতর্ক থাকুন।
যদি আপনার পরিবারে কেউ ডেঙ্গু আক্রান্ত হন, তবে আতঙ্কিত না হয়ে কিছু বিষয় মনে রাখতে হবে:
ডেঙ্গু রোগীর খাবার
- পেঁপে পাতার রস: প্লাটিলেট বাড়াতে পেঁপে পাতার রস খুবই উপকারী।
- দুগ্ধজাতীয় খাবার: দই ও দুগ্ধজাত খাবার শরীরে পটাশিয়াম, ফসফরাস ও সোডিয়ামের পরিমাণ ঠিক রাখতে সাহায্য করে।
- প্রোটিনজাতীয় খাবার: মাছ, মাংস, ডাল, ডিম ও বাদাম রোগ সারাতে সাহায্য করে।
- ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার: কমলালেবু, জলপাই, আনারস, বেরি ও কিউই বেশি বেশি খাওয়া উচিত।
- সবুজ শাকসবজি: পালং শাক, পুদিনা, বাঁধাকপি রক্তে প্লাটিলেটের সংখ্যা বাড়াতে সাহায্য করে।
- কুমড়ো: কুমড়ো ভিটামিন এ-এর উৎস যা রক্ত জমাট বাঁধতে সাহায্য করে।
- তরল খাবার: মাংসের স্যুপ, দইয়ের লস্যি, ডাবের পানি ও ফলের জুস খাওয়ানো উচিত।
ডেঙ্গু রোগীর ওষুধ
- প্যারাসিটামল: ডেঙ্গু জ্বরে প্যারাসিটামল খাওয়াতে হবে, তবে লিভার বা কিডনি সমস্যা থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।
- অ্যাসপিরিন ও আইবুপ্রোফেন: এই ওষুধগুলো ডেঙ্গু জ্বরে গ্রহণ করা উচিত নয়, কারণ তা রক্তক্ষরণের শঙ্কা বাড়াতে পারে।
ডেঙ্গু মশা নিধনের উপায়
- জমে থাকা পানি পরিষ্কার করুন।
- ছাদ ও টবে জমে থাকা পানি ফেলে দিন।
- ফ্রিজ ও এসি থেকে ঝরানো পানি পরিষ্কার করুন।
- বাথরুমের বালতির পানি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।
- কেরাসিন তেল ছিটিয়ে মশার আবাসস্থল ধ্বংস করুন।
সঠিক চিকিৎসা ও সুরক্ষা ব্যবস্থা গ্রহণ করে ডেঙ্গুর প্রভাব কমানো সম্ভব। পরিবারের সকল সদস্যের স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সতর্ক থাকুন।