আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পুনর্বাসন ঠেকাতে এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে চলমান অস্থিরতা নিরসনের লক্ষ্যে আগামী এক সপ্তাহব্যাপী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র সংগঠনের সমন্বয়ে ‘জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ’ পালনের ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে এক সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
দেশব্যাপী চলমান আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে ১৯টি ছাত্র সংগঠনের নেতারা ওই বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা আগামী এক সপ্তাহ জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালনের ঘোষণা দিয়েছি। এই সময়ে ছাত্র সংগঠনগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাবে এবং সেখানে আমাদের একতা ও সংহতির বার্তা পৌঁছে দেবে। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক মেলবন্ধন সুদৃঢ় করার চেষ্টা করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা গত কয়েক দিন যাবৎ দেখছি আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এমনকি একই সময়ে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। ছাত্র পরিচয়ে লুঙ্গি পরা ব্যক্তিরাও এসে শিক্ষার্থীদের পেটাচ্ছে, যাদের যে কেউ দেখলেই বুঝতে সক্ষম তারা কারা। আমরা দেখেছি রিকশাচালকদের আন্দোলনেও ছাত্রলীগ উসকানি দিয়েছে এবং সহিংস পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। তাই আজকে আমরা সব ছাত্র সংগঠন একমত হয়েছি যে, আগামী এক সপ্তাহ আমরা জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালন করব।”
হাসনাত আরও বলেন, “সব ছাত্র সংগঠন একমত হয়েছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে। কোনো ফরম্যাটেই তাদের সুযোগ দেওয়া হবে না। তারা একেকবার একেক ফরম্যাটে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করব।”
তিনি বলেন, “গত ১৬ বছরের দুঃশাসনে আওয়ামী লীগ টাকা পাচার করে দেশের ব্যাংকগুলোকে খালি করেছে। আপনারা জানেন, একজন এমপিরও বিদেশে ৩ শতাধিক বাড়ি রয়েছে। আমরা আজকের বৈঠকে সকলেই ঐকমত্য হয়েছি যে, দ্রুততম সময়ে সেসব এমপি-মন্ত্রীদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আমরা দেখছি বিদেশে বসেও তারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা না হলে, এভাবে তারা ষড়যন্ত্র করতেই থাকবে এবং একের পর এক দেশে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সব ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল’ গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা এ বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করব। সামনের সভাতেও এ নিয়ে আলোচনা হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের আলোচনা চলবেই।”
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত থেকে কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না বাড়ানোর আহ্বান জানান।
সোমবারের সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (নুর) সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) আহ্বায়ক মোল্লা রহমাতুল্লাহ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কাউসার আহমাদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দিন মুহাম্মদ খালিদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশের সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, ইনকিলাব মঞ্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম জুমা, কওমী ছাত্র ফোরামের নুর হোসাইন, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদে আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ, জাতীয় ছাত্র সমাজের (জাফর) মো. মেহেদি হাচান, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিশের সেক্রেটারি আশিকুর রহমান জাকারিয়া, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসির মাহমুদ, জাতীয় ছাত্র সমাজের (পার্থ) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) থেকে এক সপ্তাহব্যাপী এ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছে ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম শক্তি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন।
সোমবার (২৫ নভেম্বর) রাতে রাজধানীর বাংলামোটরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আয়োজনে অন্যান্য ছাত্র সংগঠনের সঙ্গে জরুরি বৈঠক শেষে এই ঘোষণা দেন সংগঠনটির আহ্বায়ক হাসনাত আব্দুল্লাহ।
দেশব্যাপী চলমান আন্তঃপ্রাতিষ্ঠানিক দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে ১৯টি ছাত্র সংগঠনের নেতারা ওই বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন।
হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “ফ্যাসিবাদবিরোধী সব ছাত্র সংগঠনের ঐকমত্যের ভিত্তিতে আমরা আগামী এক সপ্তাহ জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালনের ঘোষণা দিয়েছি। এই সময়ে ছাত্র সংগঠনগুলো বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে যাবে এবং সেখানে আমাদের একতা ও সংহতির বার্তা পৌঁছে দেবে। আওয়ামী লীগের পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে আমাদের ঐক্যবদ্ধ থাকার কোনো বিকল্প নেই। এর মাধ্যমে আমাদের প্রাতিষ্ঠানিক মেলবন্ধন সুদৃঢ় করার চেষ্টা করব।”
তিনি আরও বলেন, “আমরা গত কয়েক দিন যাবৎ দেখছি আওয়ামী ফ্যাসিবাদীদের পুনর্বাসনে নানা ষড়যন্ত্র চলছে। এমনকি একই সময়ে বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক আন্দোলন শুরু হয়েছে। ছাত্র পরিচয়ে লুঙ্গি পরা ব্যক্তিরাও এসে শিক্ষার্থীদের পেটাচ্ছে, যাদের যে কেউ দেখলেই বুঝতে সক্ষম তারা কারা। আমরা দেখেছি রিকশাচালকদের আন্দোলনেও ছাত্রলীগ উসকানি দিয়েছে এবং সহিংস পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করেছে। তাই আজকে আমরা সব ছাত্র সংগঠন একমত হয়েছি যে, আগামী এক সপ্তাহ আমরা জাতীয় ছাত্র সংহতি সপ্তাহ পালন করব।”
হাসনাত আরও বলেন, “সব ছাত্র সংগঠন একমত হয়েছে, আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে আমাদের জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে। কোনো ফরম্যাটেই তাদের সুযোগ দেওয়া হবে না। তারা একেকবার একেক ফরম্যাটে ফিরে আসার চেষ্টা করছে। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার পাঁয়তারা করছে। আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে তা প্রতিহত করব।”
তিনি বলেন, “গত ১৬ বছরের দুঃশাসনে আওয়ামী লীগ টাকা পাচার করে দেশের ব্যাংকগুলোকে খালি করেছে। আপনারা জানেন, একজন এমপিরও বিদেশে ৩ শতাধিক বাড়ি রয়েছে। আমরা আজকের বৈঠকে সকলেই ঐকমত্য হয়েছি যে, দ্রুততম সময়ে সেসব এমপি-মন্ত্রীদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করতে হবে। আমরা দেখছি বিদেশে বসেও তারা দেশবিরোধী নানা ষড়যন্ত্র অব্যাহত রেখেছে। তাদের সব সম্পদ বাজেয়াপ্ত করা না হলে, এভাবে তারা ষড়যন্ত্র করতেই থাকবে এবং একের পর এক দেশে নানা বিশৃঙ্খলা তৈরি করবে। তাই আমরা সরকারের কাছে দাবি জানাই, দ্রুততম সময়ের মধ্যে তাদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করার ব্যবস্থা নিতে হবে।”
সব ছাত্র সংগঠনের পক্ষ থেকে ‘জাতীয় ছাত্র কাউন্সিল’ গঠনের বিষয়ে প্রস্তাব এসেছে জানিয়ে হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, “আমরা এ বিষয়টি নিয়ে পরিকল্পনা করব। সামনের সভাতেও এ নিয়ে আলোচনা হবে। ঐক্যবদ্ধভাবে সিদ্ধান্ত নিতে আমাদের আলোচনা চলবেই।”
এ সময় তিনি শিক্ষার্থীদের শান্ত থেকে কোনো ষড়যন্ত্রের ফাঁদে পা না বাড়ানোর আহ্বান জানান।
সোমবারের সভায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মুখপাত্র উমামা ফাতেমা, মুখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ, ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান, ছাত্রশিবিরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সেক্রেটারি এস এম ফরহাদ, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (নুর) সভাপতি বিন ইয়ামিন মোল্লা, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের (রেজা কিবরিয়া) আহ্বায়ক মোল্লা রহমাতুল্লাহ, ছাত্র জমিয়ত বাংলাদেশের কাউসার আহমাদ, স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্র সংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দিন মুহাম্মদ খালিদ, বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্র মজলিশের সভাপতি মুহাম্মদ রায়হান আলী, ছাত্র ফেডারেশনের সভাপতি মশিউর রহমান রিচার্ড, ইনকিলাব মঞ্চ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সদস্য সচিব ফাতিমা তাসনিম জুমা, কওমী ছাত্র ফোরামের নুর হোসাইন, বিপ্লবী ছাত্র পরিষদে আহ্বায়ক আব্দুল ওয়াহেদ, জাতীয় ছাত্র সমাজের (জাফর) মো. মেহেদি হাচান, বাংলাদেশ খেলাফত ছাত্র মজলিশের সেক্রেটারি আশিকুর রহমান জাকারিয়া, ইসলামী ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি জেনারেল মুনতাসির মাহমুদ, জাতীয় ছাত্র সমাজের (পার্থ) সাইফুল ইসলাম প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।