শ্বেতপত্র কমিটি স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে বাংলাদেশের উত্তরণের পক্ষে মত দিলেও হাসিনা সরকারের দেওয়া তথ্যে অতিরঞ্জনের অভিযোগ তুলেছে। সোমবার (২ ডিসেম্বর) আগারগাঁওয়ে শ্বেতপত্র কমিটির প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন কমিটির প্রধান ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য।
তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সক্ষমতা ও আয়তন এলডিসি তালিকায় থাকার মতো নয়। কিন্তু এসব তথ্য-উপাত্তে অনেক অতিরঞ্জন রয়েছে। তবে গ্র্যাজুয়েশন প্রক্রিয়া বাংলাদেশের জন্য জরুরি।”
কমিটির সদস্য ড. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, “রফতানিকারকদের প্রণোদনা ধীরে ধীরে কমানোর পরিকল্পনা থাকলেও তারা এটি মানতে নারাজ। অথচ এলডিসি থেকে উত্তরণের পর এটি বড় সমস্যা হতে পারে।”
এদিকে কমিটির আরেক সদস্য ড. জাহিদ হোসেন বলেন, “বাংলাদেশ এখন মধ্য আয়ের ফাঁদে আটকে গেছে। পদ্ধতিগত সংস্কার এবং সঠিক তথ্যের ভিত্তিতে এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।”
তবে উত্তরণের আগে তাড়াহুড়ো না করে আরও বিচার-বিশ্লেষণের পরামর্শ দিয়েছেন ব্যবসায়ী নেতারা। বিকেএমইএর নির্বাহী সভাপতি ফজলে শামীম এহসান বলেন, “গরিব দেশের পরিচিতি আমরা চাই না। তবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে তথ্য-উপাত্ত যাচাই-বাছাই প্রয়োজন।”
২০২৬ সালে চূড়ান্ত উত্তরণের জন্য তথ্য বিশ্লেষণ এবং কৌশলগত প্রস্তুতির ওপর জোর দিয়েছে শ্বেতপত্র কমিটি।