পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতার মুখে পড়ে সামরিক আইন প্রত্যাহার করছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। মঙ্গলবার (৩ ডিসেম্বর) আকস্মিক এ আইন জারির পর পার্লামেন্টে ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন বিপক্ষে ভোট দেন।পার্লামেন্ট সদস্যদের বিরোধিতার মুখে অবশেষে সামরিক আইন জারির আদেশ প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। তিনি বলেন, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া হচ্ছে।দেশটির স্থানীয় সংবাদমাধ্যমের বরাতে বিবিসি জানায়, সিউলের মন্ত্রিসভায় সামরিক আইন প্রত্যাহারের প্রস্তাবে সায় দিয়েছেন ইউন। অবিলম্বে আদেশটি বাতিল করা হবে। মঙ্গলবার আকস্মিক মার্শাল ল' জারির আদেশ মেনে নিতে পারেননি দেশটির আইন প্রণেতারা। পরে পার্লামেন্টের ৩০০ সদস্যের মধ্যে ১৯০ জন ভোট দেন এর বিপক্ষে।
এ বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটের পর ইউন বলেন, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের অবস্থান তিনি মেনে নিচ্ছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ আইন প্রত্যাহার করা হবে।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেন, ‘পার্লামেন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা সামরিক বাহিনীকে জানিয়েছি।’দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, পার্লামেন্টের প্রস্তাব গ্রহণ ও সামরিক আইন প্রত্যাহার করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠক করছে। বৈঠকের পরই সামরিক আইন তুলে নেয়া হবে।এর আগে, জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারির খবরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশটির সাধারণ মানুষ। পালার্মেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানান তারা। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ।বিক্ষোভকারীরা বলেন, `নাগরিক হিসেবে আমার পদক্ষেপ নেয়া উচিত। মনে হচ্ছে একনায়কতন্ত্রের যুগে চলে এসেছি। প্রেসিডেন্টের এই কাজটি করা মোটেও উচিত হচ্ছে না।'আরেক বাসিন্দা বলেন, `আমি খুবই আতঙ্কিত। এমন একটি পদক্ষেপ জাতির জন্য লজ্জার কারণ।'
সামরিক আইন জারির ঘোষণার সময় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইউন বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সামরিক আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ পুনর্গঠন করবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধ দেখা দেয়। বাজেট প্রস্তাবের বিরোধীদের উত্তর কোরিয়াপন্থি হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের নির্মূলের ঘোষণা দেন ইউন সুক।
এ বিষয়ে পার্লামেন্টে ভোটের পর ইউন বলেন, সামরিক আইনের অবসান ঘটাতে পার্লামেন্টের অবস্থান তিনি মেনে নিচ্ছেন। মন্ত্রিসভার বৈঠকের পর এ আইন প্রত্যাহার করা হবে।
টেলিভিশনে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল বলেন, ‘পার্লামেন্টের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে আমি সামরিক আইন প্রত্যাহারের কথা সামরিক বাহিনীকে জানিয়েছি।’দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট আরও বলেন, পার্লামেন্টের প্রস্তাব গ্রহণ ও সামরিক আইন প্রত্যাহার করে এগিয়ে যাওয়ার জন্য মন্ত্রিসভা বৈঠক করছে। বৈঠকের পরই সামরিক আইন তুলে নেয়া হবে।এর আগে, জরুরি ভিত্তিতে সামরিক আইন জারির খবরে বিক্ষোভে ফেটে পড়েন দেশটির সাধারণ মানুষ। পালার্মেন্টের বাইরে জড়ো হয়ে প্রেসিডেন্টের পদত্যাগের দাবি জানান তারা। এক পর্যায়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে তাদের ওপর চড়াও হয় পুলিশ।বিক্ষোভকারীরা বলেন, `নাগরিক হিসেবে আমার পদক্ষেপ নেয়া উচিত। মনে হচ্ছে একনায়কতন্ত্রের যুগে চলে এসেছি। প্রেসিডেন্টের এই কাজটি করা মোটেও উচিত হচ্ছে না।'আরেক বাসিন্দা বলেন, `আমি খুবই আতঙ্কিত। এমন একটি পদক্ষেপ জাতির জন্য লজ্জার কারণ।'
সামরিক আইন জারির ঘোষণার সময় জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে ইউন বলেছিলেন, উত্তর কোরিয়ার কমিউনিস্ট বাহিনীর হাত থেকে দেশকে রক্ষা করতে এ পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। সামরিক আইনের মাধ্যমে একটি স্বাধীন ও গণতান্ত্রিক দেশ পুনর্গঠন করবেন বলেও আশা ব্যক্ত করেন তিনি।
চলতি সপ্তাহে ইউনের পিপল পাওয়ার পার্টি এবং প্রধান বিরোধী দল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির মধ্যে আগামী বছরের বাজেট বিল নিয়ে ব্যাপক মতবিরোধ দেখা দেয়। বাজেট প্রস্তাবের বিরোধীদের উত্তর কোরিয়াপন্থি হিসেবে আখ্যা দিয়ে তাদের নির্মূলের ঘোষণা দেন ইউন সুক।