বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে উঠে আসার জন্য ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার জন্য বোর্ডার-গাভাস্কার ট্রফির গুরুত্ব ছিল অপরিসীম। পার্থে প্রথম টেস্ট জিতে ভারত কিছুটা এগিয়ে থাকলেও অ্যাডিলেডে গোলাপি বলের টেস্টে রোহিত শর্মার দল একেবারেই উড়ে গেছে অস্ট্রেলিয়ার কাছে।
প্রথম ইনিংসে মিচেল স্টার্ক এবং দ্বিতীয় ইনিংসে প্যাট কামিন্সের বোলিং তোপে ভারত মাত্র ১৯ রানের টার্গেট দেয় অজিদের। মাত্র তিন ওভার ২ বলেই সেই টার্গেট ছুঁয়ে ফেলে অস্ট্রেলিয়া, ফলে ভারত হারে ১০ উইকেটে। এটি ছিল ভারত-অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে সবচেয়ে কম বল খেলে ভারতীয় দলের হার।
দিবারাত্রির অ্যাডিলেড টেস্টের ম্যাচটি শেষ হয়েছে মাত্র তিন দিনে, যেখানে দুই দল মিলে ১০৩১ বল খেলেছে, যা এই দুই দলের মধ্যে সর্বনিম্ন বলের পরিমাণ।
শনিবার (৭ ডিসেম্বর) টেস্টের দ্বিতীয় দিনেই ১২৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে রোহিত শর্মার দল অনেকটাই নিয়ন্ত্রণ হারায়। রোববার তৃতীয় দিনে ভারত অলআউট হয় ১৭৫ রানে। অস্ট্রেলিয়া তাদের প্রথম ইনিংসে ১৫৭ রানের লিড নিয়ে ভারতকে মাত্র ১৮ রানের লক্ষ্য দেয়। এরপর, নাথান ম্যাকসুইনি ১০ এবং উসমান খাজা ৯ রানে অপরাজিত থেকে সেই লক্ষ্য পেরিয়ে যায়।
অ্যাডিলেড টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বড় ভূমিকা ছিল ট্রাভিস হেডের ১৪০ রানের ইনিংস। এই ইনিংসের সুবাদে অস্ট্রেলিয়া দেড়শ রানের লিড পায়। প্রথম ইনিংসে ভারতের ১৮০ রানের বিপরীতে অস্ট্রেলিয়া তোলে ৩৩৭ রান, ফলে ১৫৭ রানের লিড পায়।
অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ে মিচেল স্টার্ক ৪৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে ভারতের প্রথম ইনিংস গুটিয়ে দেন, যা তার ক্যারিয়ার সেরা বোলিং ফিগার। দ্বিতীয় ইনিংসে, কামিন্স ৫ উইকেট নেন, স্কট বোল্যান্ড নেন ৩ এবং স্টার্ক ২ উইকেট।
ভারতীয় ব্যাটারদের জন্য বড় লক্ষ্য তোলার দায়িত্ব ছিল, কিন্তু তারা তা করতে পারেনি। নিতিশ কুমার রেড্ডি সর্বোচ্চ ৪২ রান করেন, তবে রেড্ডি না থাকলে ভারত ইনিংস ব্যবধানে হেরে যেতে পারতো। ওপেনিংয়ে লোকেশ রাহুল এবং রোহিত শর্মা ব্যর্থ হয়েছেন, সেই সঙ্গে বিরাট কোহলি রান পাননি।
অস্ট্রেলিয়ার বোলারদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ভারত ম্যাচে একেবারে মাটিতে পড়ে যায়। ম্যাচসেরা পুরস্কার জেতেন ট্রাভিস হেড, যার ব্যাটিং পারফরম্যান্স অস্ট্রেলিয়ার জয়কে নিশ্চিত করে।