যুক্তরাষ্ট্র ভারতকে ‘অসহযোগী রাষ্ট্র’ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে। এতে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্কের ওপর চাপ তৈরি হবে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে এসব তথ্য।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের কঠোর অভিবাসননীতিরই প্রতিফলন এই সিদ্ধান্ত। সম্প্রতি মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে থাকা ১৫ লাখ অবৈধ অভিবাসীর তালিকায় ১৮ হাজার ভারতীয় রয়েছেন।
আইসিই বলছে, প্রত্যর্পণ প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা না করায় ভারতের নাম তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর আগে এই তালিকায় ভুটান, কিউবা, ইরান, পাকিস্তান, রাশিয়া ও ভেনেজুয়েলা ছিল। এবার ভারতও সেখানে স্থান পেয়েছে।
এনডিটিভি বলছে, অভিবাসন সম্পর্কিত সহযোগিতার অভাবে যুক্তরাষ্ট্র এই পদক্ষেপ নিয়েছে। আইসিইর দাবি, সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ভ্রমণ নথি ইস্যু এবং নাগরিকদের ফেরত পাঠানোর কাজে ভারত সহযোগিতা করেনি।
এর আগে ৯০ হাজার ভারতীয়কে যুক্তরাষ্ট্রে অবৈধ প্রবেশের সময় আটক করা হয়। এর বেশিরভাগই পাঞ্জাব, গুজরাট এবং অন্ধ্রপ্রদেশের বাসিন্দা।
অন্যদিকে, সুইজারল্যান্ডও ভারতকে ‘সবচেয়ে সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের’ তালিকা থেকে বাদ দিয়েছে। ইন্ডিয়া টুডে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, সুইস সরকারের এই সিদ্ধান্তের ফলে ভারতীয় কোম্পানিগুলোকে অতিরিক্ত ১০ শতাংশ উৎসে কর দিতে হবে।
সুইজারল্যান্ড সরকারের এই সিদ্ধান্ত প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘এ বিষয়ে আমার কাছে কোনো আপডেট নেই। আমরা পরে বিস্তারিত জানাব।’
বিশ্লেষকরা বলছেন, অভিবাসন এবং কূটনৈতিক সহযোগিতার অভাব ভারতের জন্য দীর্ঘমেয়াদে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারে।